somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

দুইটি সত্যি প্রেমের গল্প

১৯ শে অক্টোবর, ২০১২ রাত ৩:০৮
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

গল্প ১:
গল্পটি প্রথম পাওয়া যায় এলান রগডার পো কাছ থেকে। গল্পটি ফ্রাস্নের ১৮ শতকের।

এক ধনী মেয়ের প্রেমে পড়ে এক দরিদ্র যুবক। ক্রমেই তারা খুবই ঘনিষ্ঠ হয়ে যায়। ছেলেটি মেয়েটিকে বিয়ে করতে চাইলে মেয়ের পরিবার রাজী হয় না। প্রচন্ড কষ্ট পেয়ে ছেলেটি দেশ ছেড়ে চলে যায়। মেয়েটির বিয়ে হয় এক ধনী, বদমেজাজী লোকের সাথে। লোকটি মেয়েটির সাথে খুব খারাপ ব্যবহার করত, মারত। মেয়েটির বিয়ের কয়েক বছর পর মারা যায়। প্রচলিত নিয়মেই লাশ দাফন ‍করা হয়। এদিকে মেয়েটির প্রেমিক ছেলেটির নিজের অবস্থা উন্নতি করে দেশে আসে মেয়েটিকে বিয়ে করার জন্য। কিন্তু এসে দেখে, মেয়েটি তিন দিন আগেই মারা গেছে। শুনে ছেলেটি পাগলের মত হয়ে যায়। রাতের আধারে কবরের কাছে যায়, তারপর কবর খোড়া শুরু করে, এই ভেবে যে, একবারের জন্য হলেও সে তার প্রিয়তমাকে দেখবে। কবর খোড়ার পর যখন কফিনের ঢাকনা খুলে, তখন সে দেখে যে, মেয়েটির লাশ এখন্ও পচন ধরে নি। লাশ দেখে মনে হয় যেন, ঘুমিয়ে আছে। সে প্রচন্ড আবেগে লাশের কপালে চুমু খায় এবং সবচাইতে অবাক করা বিষয হল, মেয়েটি তখনই জেগে উঠে, যেন ঘুম থেকে উঠল। তারা দুজনেই খুব অবাক এবং খুবই খুশি হয়। কিন্তু এই খুশি তাদের জন্য অচিরেই বিপদ হিসেবে দেখা দেয়। তখন চার্চ শাসিত সমাজে মৃত ব্যক্তি কখনই জীবিত হতে পারে না। একমাত্র শয়তানই মৃত মানুষের মধ্যে বসবাস করে। ফলে মেয়েটিকে পুড়িয়ে মারার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। কিন্তু কৌশলে তারা ইতালিতে পালিয়ে যায়। তারা সেখানেই তাদের বাকী জীবন কাটিয়ে দেয়।

বি: দ্র: অনেকের কাছেই অবাক লাগতে পারে যে, মৃত ব্যক্তি কিভাবে জীবিত হল। এর কারন হিসেবে বলা যায় যে, মধ্যযুগে আজকের মত এত উন্নত চিকিৎসা ছিল না। তারা অনেক টা ধারনা বশবর্তী হয়েই মানুষকে কবর দিত। পরে যখন জায়গা সংকটের কারনে লাশ স্থানান্তর করা হত, তখন দেখা যেত যে, লাশ উল্টা হয়ে আছে। মানে লাশটি কবর দেওয়ার পর আবার জীবিত হত আর ছটফট করতে করতে ‍আবার মারা যেত। এজন্য পরে প্রত্যেক লাশের সাথে একটি করে ঘন্টা লাগানো হত, যাতে করে কেউ জীবিত হলে সে ঘন্টা বাজাতে পারে।

**************************************************

গল্প ২ ::
এই গল্পটাও ফ্রান্সের একটি উপনিবেশের। সেখানে একজন তরুন সেনা অফিসার নতুন কাজে যোগ দেয়। অফিসারটি যে বাসায় থাকত সেখানে একটি কুয়ো ছিল যেখান থেকেই সবাই পানি নিত। অফিসারটি যখন অবসারের সময়ে বাসায় থাকত তখন একটি মেয়ে পানি নিতে আসত। মেয়েটিকে দেখে অফিসারের ভাল লাগে। মেয়েটিও ছেলেটিকে পছন্দ করে। তাদের মাঝে গভীর ভালবাসার সৃষ্টি হয়। এভাবে বেশ কিছু চলতে থাকে। একদিন ফ্রান্স সরকারের একটি অতিগোপনীয় কাজে কাউকে কিছু না জানিয়ে অফিসারটি ফ্রান্সে চলে আসে। মেয়েটি তখন অফিসারকে না পেয়ে ভাবে যে, সে তাকে ফেলে চলে গেছে, আর কোনদিন আসবে না। তখন মেয়েটি সব সময় শুধু কাদত। এভাবে ২ বছর চলার পর মেয়েটি মারা যায়। এদিকে অফিসারটি কখনই মেয়েটিকে ভোলেনি। কিন্তু সে কোন ভাবেই যোগাযোগ করতে পারে নি। ৫ বছর পর অফিসার সেখাবে যায়, দেখে যে সাগর পাড়ে মেয়েটিকে কবর দেওয়া হয়েছে। অফিসারটি মেয়েটির এই পরিণতি জন্য নিজেকেই দায়ী করে।তখন অফিসার সবচাইতে অবাক করার মত কাজ করল। প্রথমে সে তার চাকরী ছেড়ে দেয়। ( এখানে বলে রাখা ভাল যে, মেয়েটির সবচাইতে বড় একটি বিষয় হল, মেয়েটি সব সময় নীল রংয়ের জিনিস পড়ত, নীল কাপড়, নীল চুড়ি এবং অন্যান্য ।) এরপর অফিসার মেয়েটির সেই নীল রংয়ের পোষাক পড়তে শুরু করে। সেই অফিসার পরে আরও ৪০ বছর বেচে ছিল, সে বিয়ে করে নি, আর এই ৪০ বছর সে মেয়েটির কবরের পাশে বসে থাকত, আর অবশ্যই নীল রংয়ের পোষাক পড়ে।
১টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। সমাধান দিন

লিখেছেন শাহ আজিজ, ১৯ শে মে, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৩১




সকালে কন্যা বলল তার কলিগরা ছবি দিচ্ছে রিকশাবিহীন রাস্তায় শিশু আর গার্জেনরা পায়ে হেটে যাচ্ছে । একটু বাদেই আবাসিক মোড় থেকে মিছিলের আওয়াজ । আজ রিকশাযাত্রীদের বেশ দুর্ভোগ পোয়াতে... ...বাকিটুকু পড়ুন

=নিছক স্বপ্ন=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ১৯ শে মে, ২০২৪ রাত ৯:৪৮



©কাজী ফাতেমা ছবি
তারপর তুমি আমি ঘুম থেকে জেগে উঠব
চোখ খুলে স্মিত হাসি তোমার ঠোঁটে
তুমি ভুলেই যাবে পিছনে ফেলে আসা সব গল্প,
সাদা পথে হেঁটে যাব আমরা কত সভ্যতা পিছনে ফেলে
কত সহজ... ...বাকিটুকু পড়ুন

একদম চুপ. দেশে আওয়ামী উন্নয়ন হচ্ছে তো?

লিখেছেন তানভির জুমার, ১৯ শে মে, ২০২৪ রাত ১০:৫৯



টাকার দাম কমবে যতো ততোই এটিএম বুথে গ্রাহকরা বেশি টাকা তোলার লিমিট পাবে।
এরপর দেখা যাবে দু তিন জন গ্রাহক‍কেই চাহিদা মতো টাকা দিতে গেলে এটিএম খালি। সকলেই লাখ টাকা তুলবে।
তখন... ...বাকিটুকু পড়ুন

যে গরু দুধ দেয় সেই গরু লাথি মারলেও ভাল।

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ২০ শে মে, ২০২৪ রাত ১২:১৮


০,০,০,২,৩,৫,১৬, ৭,৮,৮,০,৩,৭,৮ কি ভাবছেন? এগুলো কিসের সংখ্যা জানেন কি? দু:খজনক হলেও সত্য যে, এগুলো আজকে ব্লগে আসা প্রথম পাতার ১৪ টি পোস্টের মন্তব্য। ৮,২৭,৯,১২,২২,৪০,৭১,৭১,১২১,৬৭,৯৪,১৯,৬৮, ৯৫,৯৯ এগুলো বিগত ২৪ ঘণ্টায়... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইরানের প্রেসিডেন্ট কি ইসরায়েলি হামলার শিকার? নাকি এর পিছে অতৃপ্ত আত্মা?

লিখেছেন ...নিপুণ কথন..., ২০ শে মে, ২০২৪ সকাল ১১:৩৯


ইরানের প্রেসিডেন্ট হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত হয়ে নিহত!?

বাঙালি মুমিনরা যেমন সারাদিন ইহুদিদের গালি দেয়, তাও আবার ইহুদির ফেসবুকে এসেই! ইসরায়েল আর।আমেরিকাকে হুমকি দেয়া ইরানের প্রেসিডেন্টও তেমন ৪৫+ বছরের পুরাতন আমেরিকান হেলিকপ্টারে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×