ঈদ এর আগের দিন সন্ধ্যাই সব ভাই বোনরা মিলে গাছ তলাই(ছবি)অপেক্ষ করতাম ডেউরি ঘর (ছবি) টার উপর কখন ঈদ এর চাঁদ দেখা যাবে.কার আগে কে চাঁদ দেখতে পাব তা নিয়ে চলত প্রতিযোগিতা.আর চাঁদ দেখা গেলেই সবার চিৎকার চাঁদ উটসে ,চাঁদ উটসে.ঈদ এর দিন নামায পড়ে এসেই শহরে চলে আসার জন্য ছটফট করতাম.কারণ যত তারাতারি শহরে আসতে পারব ততবেশি ঘুরাঘুরি হবে আর ঈদ এর বখশিস ও বেশি পাওয়া যাবে.কিন্তু সবাই একসাথে আসতে আসতে সন্ধ্য হয়ে যেত.মন খারাপ করে বসে থাকা ছারা কিছুই করতে পারতাম না.তখন ঈদ এর বখশিস পাওয়াটাই আনন্দের ব্যাপার ছিল.
এখনো সেই গাছ টা দাড়িয়ে থাকে,এখনো ঘর টার উপরে ঈদের চাঁদ উঠে কিন্তু কেউ চাঁদ দেখার জন্য অপেক্ষা করে থাকে না.
আর এখন ঈদ এর চাঁদ দেখার তেমন আগ্রহ পাই না.কোন আলাদা অনুভূতি হয় না.প্রতিদিনের মত ঈদের আগের রাতেও ঘুমাতে ঘুমাতে অনেক রাত হয়ে যাই.ফজরের নামাযের পরপরই ঘুমঘুম চোখে সবাই মিলে বাড়ির দিকে রওনা দিই.দাদা ,দাদির কবর বাড়িতে বলেই হয়ত যাওয়া হয়.ঈদ এর নামায পড়ে দশটা,এগরটার দিকে আমরা ভাইরা মিলে শহরের বাসাই চলে আসি.তারপর একটা ঘুম দেওয়া লাগে.এখন খুব একটা ঘুরাঘুরি হয় না.নির্দিষ্ট কয়েকজন আত্মীয়ের বাসাই যাওয়া হয়.এখন কিন্তু ঈদ এর বখশিস পাই(দওয়ার সময় এখনো হয় নি).
এখনের ঈদএর আনন্দ হল নিজের ইচ্ছা মত ঘুরতে পারি.সারা বছর যাদের সাথে দেখা হয়না ঈদে তাদের দেখা পাওয়া যাই.এর আগের বার এলাকার পোলাপান রা সবাই মিলে ঈদ এর দুই দিন পর গেলাম সেন্টমার্টিন.এইবার আশা করছি ঈদের পর সিলেট যাব.
তবে আমি তুলনা করতে পারবনা ছোটবেলার ঈদ না এখনের ঈদ আনন্দের কাটে.সময়ের সাথে আনন্দ গুলোও পরিবর্তন হয়ে যাই.
...............................................................
সবাইকে এই পোস্ট টা ঈদের লাচ্ছা(ভেজাল) সেমাই হিসাবে দিলাম.

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।


