somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

রমাদ্বান শরীফ হচ্ছে শাহরুন আযীম অর্থাৎ মহা সম্মানিত মাস

২১ শে জুলাই, ২০১২ রাত ২:৩৬
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ করেন, ‘যে ব্যক্তি মহান আল্লাহ পাক উনার খাছ মাস রমাদ্বান শরীফকে সম্মান করবে, মহান আল্লাহ পাক তিনি তাকে জান্নাত দিয়ে এবং জাহান্নাম থেকে নাযাত দিয়ে সম্মানিত করবেন।’

যে ব্যক্তি এ মাসে কোনো রোযাদারকে ইফতার করাবে, এটা তার জন্যে গুনাহ মাফ ও দোযখের আগুন হতে নাজাতের কারণস্বরূপ হবে। আর সে রোযাদারের সমান সাওয়াব পাবে, অথচ রোযাদারের সাওয়াবও কম হবে না। সুবহানাল্লাহ!

রমাদ্বান শরীফ হচ্ছে শাহরুন আযীম অর্থাৎ মহা সম্মানিত মাস।

যে ব্যক্তি রমাদ্বান মাসে একটি নফল আমল করলো, সে যেন অন্য সময়ের একটি ফরয আদায় করলো, আর যে ব্যক্তি একটি ফরয আদায় করলো, সে যেন অন্য মাসের সত্তরটি ফরয আদায় করলো। সুবহানাল্লাহ!

এ মাসের প্রথম দশ দিন রহমত, দ্বিতীয় দশ দিন মাগফিরাত ও তৃতীয় দশ দিন নাজাতের।

প্রত্যেকের দায়িত্ব-কর্তব্য হচ্ছে, রমাদ্বান শরীফ-এর পবিত্রতা রক্ষা ও হক্ব যথাযথ আদায় করতঃ মহান আল্লাহ পাক উনার এবং উনার হাবীব নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের খাছ রেযামন্দি হাছিল করা।

যামানার খাছ লক্ষ্যস্থল ওলীআল্লাহ, যামানার ইমাম ও মুজতাহিদ, ইমামুল আইম্মাহ, মুহইস সুন্নাহ, কুতুবুল আলম, মুজাদ্দিদে আ’যম, আওলাদুর রসূল, হাবীবুল্লাহ, সাইয়্যিদুনা ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, পবিত্র রমাদ্বান মাস রহমত, মাগফিরাত ও নাজাতের মাস। এ মাসের অনেক মর্যাদা ও সম্মান রয়েছে। এ মাস মহান আল্লাহ পাক উনার খাছ মাস। এ প্রসঙ্গে হাদীছ শরীফ-এ ইরশাদ হয়েছে, “পবিত্র রমাদ্বান মাসের প্রথম দশদিন রহমতের, দ্বিতীয় দশদিন মাগফিরাতের ও শেষ দশদিন নাজাতের।” সুবহানাল্লাহ!

রমাদ্বান মাসের বুযূর্গী ও সম্মান সম্পর্কে হাদীছ শরীফ-এ আরো বর্ণিত হয়েছে, “রমাদ্বান মহান আল্লাহ পাক উনার খাছ মাস, যে ব্যক্তি মহান আল্লাহ পাক উনার মাস রমাদ্বান শরীফকে সম্মান করলো মহান আল্লাহ পাক তিনি তাকে জান্নাত দিয়ে এবং জাহান্নাম থেকে নাজাত দিয়ে সম্মানিত করবেন।” সুবহানাল্লাহ!

মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি বলেন, যখন রমাদ্বান মাস আসে তখন আসমানের, রহমতের ও জান্নাতের দরজাগুলো খুলে দেয়া হয় এবং জাহান্নামের দরজাগুলো বন্ধ করে দেয়া হয়। আর ইবলিস শয়তানকে শিকল দিয়ে আবদ্ধ করে রাখা হয়। সুবহানাল্লাহ!

মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, কিতাবে উল্লেখ আছে, রজব মাস মহান আল্লাহ পাক উনার দরজায় পৌঁছার মাস, শা’বান মাস মহান আল্লাহ পাক উনার নৈকট্য লাভ করার মাস, আর রমাদ্বান শরীফ মহান আল্লাহ পাক উনার সাথে সাক্ষাৎ করার মাস। সুবহানাল্লাহ! আরো বর্ণিত রয়েছে, ‘রজব’ বীজ বপনের মাস, ‘শা’বান’ বীজে পানি দেয়ার মাস, ‘রমাদ্বান শরীফ’ ফসল কাটার মাস। সুবহানাল্লাহ!

মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, রমাদ্বান শরীফ-এর হক্ব ও ফযীলত সম্পর্কে বিশিষ্ট ছাহাবী হযরত সালমান ফারসী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি বলেন, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি শা’বান মাসের শেষ দিন আমাদের নিকট খুতবা দিতেন বা ওয়াজ করতেন। (উক্ত খুতবায়) তিনি বলেন, “হে লোক সকল! নিশ্চয় তোমাদের নিকট এক মহান মাস (রমাদ্বান মাস) উপস্থিত। এ মাসে এমন একটি রাত্র রয়েছে, যা হাজার মাসের চেয়েও উত্তম।

মহান আল্লাহ পাক তিনি রমাদ্বান মাসের দিনের বেলায় রোযাকে ফরয করেছেন ও রমাদ্বান মাসের রাত্রি বেলায় কিয়ামুল লাইল অর্থাৎ তারাবীহ নামাযকে সুন্নত করেছেন।

যে ব্যক্তি রমাদ্বান মাসে একটি নফল আমল করলো, সে যেন অন্য সময়ের একটি ফরয আদায় করলো, আর যে ব্যক্তি একটি ফরয আদায় করলো, সে যেন অন্য মাসের সত্তরটি ফরয আদায় করলো।

রমাদ্বান মাস হলো ছবরের মাস, আর ছবরের বিনিময় হলো জান্নাত, এটা সহানুভূতির মাস। এটা এমন মাস, যে মাসে মু’মিনের রিযিক বৃদ্ধি করা হয়। যে ব্যক্তি এ মাসে কোনো রোযাদারকে ইফতার করাবে, এটা তার জন্যে গুনাহ মাফ ও দোযখের আগুন হতে নাজাতের কারণস্বরূপ হবে। আর সে রোযাদারের সমান সাওয়াব পাবে, অথচ রোযাদারের সাওয়াবও কম হবে না।

হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনারা বললেন, ইয়া রসূলাল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আমাদের প্রত্যেকের তো এমন সামর্থ্য নেই, যা দ্বারা রোযাদারকে ইফতার করাবো। তখন হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি বলেন, ‘মহান আল্লাহ পাক তিনি এ ছাওয়াব দান করবেন তাকে, যে এক চুমুক দুধ দ্বারা অথবা একটি খেজুর দ্বারা অথবা এক চুমুক পানি দ্বারা কোনো রোযাদারকে ইফতার করাবে। আর যে ব্যক্তি তৃপ্তি সহকারে রোযাদারকে খাদ্য খাওয়াবে, মহান আল্লাহ পাক তিনি তাকে আমার হাউজে কাওছার হতে পানি পান করাবেন, যার কারণে জান্নাতে প্রবেশ করা পর্যন্ত তার পিপাসা লাগবে না।’

ওটা এমন এক মাস, যে মাসের প্রথম দশদিন “রহমত” দ্বিতীয় দশদিন “মাগফিরাত” আর তৃতীয় দশদিন হচ্ছে জাহান্নাম হতে নাজাত পাওয়ার”। আর যে ব্যক্তি রমাদ্বান মাসে তার কর্মচারীর কাজ কমায়ে দিবে, মহান আল্লাহ পাক তিনি তাকে ক্ষমা করবেন ও জাহান্নাম থেকে নাজাত দিবেন।” (বায়হাক্বী ফি শুয়াবিল ঈমান)

মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, মূলকথা হলো- রমাদ্বান শরীফ হচ্ছে শাহরুন আযীম অর্থাৎ মহা সম্মানিত মাস। এ মাসের প্রথম দশ দিন রহমত, দ্বিতীয় দশ দিন মাগফিরাত ও তৃতীয় দশ দিন নাজাতের।

প্রত্যেকের দায়িত্ব-কর্তব্য হচ্ছে, রমাদ্বান শরীফ-এর পবিত্রতা রক্ষা ও হক্ব যথাযথ আদায় করতঃ মহান আল্লাহ পাক উনার এবং উনার হাবীব নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের খাছ রেযামন্দি হাছিল করা।
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

=কবিতাগুলো যেনো এক একটি মধুমঞ্জুরী ফুল=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ১৩ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৪:২০



©কাজী ফাতেমা ছবি
মনের মাধুরী মিশিয়ে যে কবিতা লিখি
কবিতাগুলো যেনো আমার এক একটি মঞ্জুরী লতা ফুল,
মনের ডালে ডালে রঙবাহারী রূপ নিয়ে
ঝুলে থাকে কবিতা দিবানিশি
যে কবিতার সাথে নিত্য বাস,
তাদের আমি... ...বাকিটুকু পড়ুন

ফিরে দেখা - ১৩ মে

লিখেছেন জোবাইর, ১৩ ই মে, ২০২৪ রাত ৮:০৩

১৩ মে ২০০৬


দমননীতির অদ্ভুত কৌশল
সরকার নির্বাচনকে সামনে রেখে বিরোধী দলের ওপর দমন নীতির আশ্রয় নেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। দ্রুত বিচার আইন ও পুলিশ প্রশাসনকে ব্যবহার করে দমন... ...বাকিটুকু পড়ুন

কাঁচা আম পাড়ার অভিযান

লিখেছেন মরুভূমির জলদস্যু, ১৩ ই মে, ২০২৪ রাত ১০:৩২



গাজীপুর জেলার জয়দেবপুরের বাড়ীয়া ইউনিয়নের দেউলিয়া গ্রামে আমার প্রায় ৫২ শতাংশ জমি কেনা আছে। সেখানে ছোট একটি ডোবা পুকুর, অল্প কিছু ধানের জমি আর বাকিটা উঁচু ভিটা জমি। বেশ... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমরা কেন এমন হলাম না!

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১৪ ই মে, ২০২৪ সকাল ৯:৪১


জাপানের আইচি প্রদেশের নাগোইয়া শহর থেকে ফিরছি৷ গন্তব্য হোক্কাইদো প্রদেশের সাপ্পোরো৷ সাপ্পোরো থেকেই নাগোইয়া এসেছিলাম৷ দুইটা কারণে নাগোইয়া ভালো লেগেছিল৷ সাপ্পোরোতে তখন বিশ ফুটের বেশি পুরু বরফের ম্তুপ৷ পৃথিবীর... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমাদের গ্রামে মুক্তিযুদ্ধের প্রস্তুতি

লিখেছেন প্রামানিক, ১৪ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১:৩১



২৬শে মার্চের পরে গাইবান্ধা কলেজ মাঠে মুক্তিযুদ্ধের উপর ট্রেনিং শুরু হয়। আমার বড় ভাই তখন ওই কলেজের বিএসসি সেকেন্ড ইয়ারের ছাত্র ছিলেন। কলেজে থাকা অবস্থায় তিনি রোভার স্কাউটে নাম... ...বাকিটুকু পড়ুন

×