মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ করেন, ‘মহান আল্লাহ পাক উনার নিদর্শন সম্বলিত দিবসগুলিকে স্মরণ করিয়ে দিন সমস্ত কায়িনাতকে। নিশ্চয়ই এর মধ্যে ধৈর্যশীল ও শোকরগোজার বান্দা-বান্দীদের জন্য ইবরত ও নছীহত রয়েছে।’
বেমেছাল ফযীলতযুক্ত ১৭ই রমাদ্বান শরীফ। এ দিন উম্মুল মু’মিনীন হযরত আয়িশা ছিদ্দীক্বা আলাইহাস সালাম উনার মহাসম্মানিত বিছাল শরীফ দিবস।
অতএব প্রত্যেক মুসলমানসহ সব মুসলিম-অমুসলিম সরকারের জন্য ফরয-ওয়াজিব হচ্ছে, হযরত উম্মুল মু’মিনীন, হযরত আহলে বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের সাওয়ানেহ উমরী মুবারক জানা, পাঠ্যসূচিতে অন্তর্ভুক্ত করা। এ দিনে সরকারীভাবে ছুটির ঘোষণা করা।
এবং সরকারি ও বেসরকারিভাবে বেমেছাল তা’যীম-তাকরীম ও ব্যাপক কর্মসূচির মাধ্যমে যথাযথভাবে উনার বিছাল শরীফ দিবস পালনের ব্যবস্থা করা।
যামানার ইমাম ও মুজতাহিদ, মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমামুল আইম্মাহ, কতুবুল আলম, আওলাদে রসূল, রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, মহান ১৭ই রমাদ্বান শরীফ- ইসলামের ইতিহাসে এক বেমেছাল ফযীলতপূর্ণ, রহমতপূর্ণ, গুরুত্বপূর্ণ এবং আলাদা বৈশিষ্ট্যমন্ডিত দিন। এ দিন উম্মুল মু’মিনীন হযরত খাদীজাতুল কুবরা আলাইহাস সালাম, উম্মুল মু’মিনীন হযরত আয়িশা সিদ্দীক্বা আলাইহাস সালাম, বিনতু রসূলিল্লাহি ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হযরত রুকাইয়া আলাইহাস সালাম এবং ইসলামের চতুর্থ খলীফা, আমীরুল মু’মিনীন হযরত আলী কাররামাল্লাহু ওয়াজহাহু আলাইহিস সালাম উনাদের মহাসম্মানিত বিছাল শরীফ দিবস। সুবহানাল্লাহ! এছাড়া ইসলামের প্রথম জিহাদ অর্থাৎ বদরের জিহাদ সংঘটিত হয় এবং মক্কা শরীফও বিজয় হয় এ দিনেই। সুবহানাল্লাহ!
মহিমান্বিত ১৭ রমাদ্বান শরীফ-এর বুযুর্গী, ফাযায়িল-ফযীলত এবং এ দিবসটি উদযাপনের গুরুত্ব বর্ণনাকালে তিনি এসব কথা বলেন।
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, মহান আল্লাহ পাক তিনি কুরআন শরীফ-এ সূরা মারইয়াম-এর ১৫ নম্বর আয়াত পাক-এ হযরত ইয়াহইয়া আলাইহিস সালাম উনার শানে ইরশাদ ফরমান- “উনার প্রতি শান্তি সালাম অবারিত ধারায় বর্ষিত হোক যে দিন তিনি দুনিয়ায় আগমন করেন অর্থাৎ বিলাদত শরীফ লাভ করেন ও যে দিন তিনি বিছাল শরীফ লাভ করেন আবার যে দিন তিনি জীবিত অবস্থায় পুনরুত্থিত হবেন।” সুবহানাল্লাহ!
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি এ আয়াত শরীফ-এর ব্যাখ্যায় বলেন, এ আয়াত শরীফ থেকে প্রত্যেক ঈমানদার মুসলমানসহ কায়িনাতের সকলের জন্যই জানা জরুরী যে, হযরত উম্মুল মু’মিনীন, হযরত আহলে বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম, খাছ উম্মতে হাবীবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের বিলাদত শরীফ ও বিছাল শরীফ উভয়টিই উম্মতের তথা কায়িনাতের জন্য বেমেছাল ফযীলত, রহমত হাছিল এবং খুশির কারণ। যেহেতু এতে স্বয়ং মহান আল্লাহ পাক রব্বুল আলামীন তিনি খুশি থাকেন।
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, হযরত উম্মুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনারা একদিকে হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার ছাহাবীগণ উনাদের অন্তর্ভুক্ত। আরেকদিকে উনারা হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার আহাল তথা আহলে বাইত উনাদের অন্তর্ভুক্ত। সর্বোপরি উনারা হচ্ছেন হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পবিত্র আহলিয়া বা আযওয়াজে মুত্বাহহারাত।
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, হযরত আনাস বিন মালিক রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ ফরমান, মহিলাদের মধ্যে আমার নিকট হযরত আয়িশা ছিদ্দীক্বা আলাইহাস সালাম তিনি ও পুরুষদের মধ্যে উনার পিতা হযরত আবু বকর ছিদ্দীক্ব আলাইহিস সালাম তিনি সর্বাধিক প্রিয়।” (মুসলিম, বুখারী, ইবনে মাজাহ, কানযুল উম্মাল ৩৪৩৪৫)
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি উম্মুল মু’মিনীন হযরত আয়িশা ছিদ্দীক্বা আলাইহাস সালাম উনার ব্যাপারে ইরশাদ করেন, “তোমরা দ্বীনি ইলম হুমায়রা অর্থাৎ উম্মুল মু’মিনীন হযরত ছিদ্দীক্বা আলাইহাস সালাম উনার কাছ থেকে গ্রহণ করবে।”
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, অন্য হাদীছ শরীফ-এ বর্ণিত হয়েছে- হযরত আবু মুসা আশয়ারী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ করেন, “হযরত আয়িশা ছিদ্দীক্বা আলাইহাস সালাম উনার ফযীলত অন্যান্য মহিলাদের উপর এত বেশি যেমন খাদ্য বা তরকারির মধ্যে লবণের ফযীলত বা শ্রেষ্ঠত্ব।” (বুখারী, মুসলিম, তিরমিযী, নাসাঈ, ইবনু মাজাহ, কানযুল উম্মাল, মিশকাত ৫০৯)
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, হাদীছ শরীফ-এ আরো বর্ণিত হয়েছে, “হযরত মুসলিম আল বাত্বীন রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু মুরসাল সূত্রে বর্ণনা করেন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ করেন, হযরত আয়িশা ছিদ্দীক্বা আলাইহাস সালাম তিনি জান্নাতে আমার আহলিয়া হিসেবে থাকবেন।” (ইবনে সা’দ, কান্যুল উম্মাল)
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, “হযরত ছিদ্দীক্বা আলাইহাস সালাম তিনি ছিলেন মানুষের মধ্যে সবচেয়ে বড় ফক্বীহ, সবচেয়ে বেশি জানা ব্যক্তি এবং আম জনতার মধ্যে সবচেয়ে সুন্দর মতামতের অধিকারিণী।” সুবহানাল্লাহ! (আল মুসতাদরিক-৪/১১)
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, মূলকথা হলো- বেমেছাল ফযীলতযুক্ত ১৭ই রমাদ্বান শরীফ। এ দিন উম্মুল মু’মিনীন হযরত আয়িশা ছিদ্দীক্বা আলাইহাস সালাম উনার মহাসম্মানিত বিছাল শরীফ দিবস। অতএব প্রত্যেক মুসলমানসহ সব মুসলিম-অমুসলিম সরকারের জন্য ফরয-ওয়াজিব হচ্ছে, হযরত উম্মুল মু’মিনীন, হযরত আহলে বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের সাওয়ানেহ উমরী মুবারক জানা, পাঠ্যসূচিতে অন্তর্ভুক্ত করা। এ দিনে সরকারীভাবে ছুটির ঘোষণা করা। এবং সরকারি ও বেসরকারিভাবে বেমেছাল তা’যীম-তাকরীম ও ব্যাপক কর্মসূচির মাধ্যমে যথাযথভাবে উনার বিছাল শরীফ দিবস পালনের ব্যবস্থা করা।
সর্বশেষ এডিট : ০৩ রা আগস্ট, ২০১২ ভোর ৬:৪৩