somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

যেভাবে বাড়ছে দ্রব্যমূল্য!

৩০ শে মার্চ, ২০১০ রাত ৩:১৬
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

জানি না কীভাবে প্রতিনিয়ত দ্রব্যমূল্য বেড়েই চলেছে। অথচ সেই তূলনায় কমছে সৌখিন জিনিসের দাম। সরকারতো চেষ্টা করছেই কিন্তু পারছে না। এদিকে গ্যাস সংকট, বিদ্যুত সংকট, পানি সংকট, যানজট, জীবনের নিরাপত্তাহীনতায় অতীষ্ট নগরবাসী। চুরি ছিনতাইবৃদ্ধি, হত্যা সন্ত্রাস খুন রাহাজানিসহ দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি খুবই নাজুক সময় কাটাচ্ছে। বেকার সমস্যারও কোনও কুল কিনারা এখনও হলো না। কিন্তু সরকার বসে বসে আংগুল চুষছে এটা ভাবাকি সঙ্গত?
আসলে দেশের রাজনীতিটাই যেন কেমন! কাকে যে ভালো আর কাকে যে খারাপ বলবো বুঝতে পারি না। আমার বরবরই ইচ্ছে যখন যেই সরকার থাকে তার আনুগত্য পোষণ করা। কিন্তু বরাবরই এ ক্ষেত্রে এমন বিরোধিতার মুখোমুখি হই যে কোনও যুক্তি খুঁজে পাই না। তত্ত্বাবধায়ক আমলেও আমি তাদের সমর্থন করতাম। দুর্নীতি প্রতিরোধসহ আইনশৃংখলা পরিস্থিতির উন্নয়নে এবং যানজট নিরসণেও যতোটা সাফল্য এনছিল এখন তার কিছুই নেই। অথচ সে সময় যারা রাজনেতিক দলের পক্ষেই জোরালো মত দিয়েছেন তারাই এখন সরকারের চেষ্টার কথা বললে প্রায় তেড়ে আসে...এমনই ক্ষুব্ধ! আমরা এমনই এক জাতি যাদেরকে কেউই সন্তুষ্ট করতে পারেনি। যখন যে থাকে তার বিরোধিতা করি, বাকীদের ভালো বলি...প্রবলেমটাকি তবে আমাদেরই নয়?
সাকা চৌধুরী দারুণ এক গেম খেলে প্রমাণ করে দিলেন হাসিনা কতো বড় মিথ্যুক! এর কি কোনও প্রয়োজন ছিল? তারাও কি সবসময় সত্যপন্থা অবলম্বন করেন?

তারেকজিয়ার বিরুদ্ধে যতোগুলো মামলা সব কি মিথ্যা? তবে সবগুলো পুরোপুরি সত্য আমার তাও মনে হয় না। আবর জয় দুধে ধোয়া এমন দাবি যারা করেন সেটাওকি মুর্খামি নয়?

তবে সবচেয়ে বেশি বিরক্ত লাগে মিডিয়ার ওপর, এদের অনেকরকম কারসাজি থাকে...খালেদা জিয়ার লালদিঘির ভাষণ নিয়ে একেক পত্রিকা একেরকম লিখেছে...
সস্তা পত্রিকা আমাদের সময় একটা খোঁচা দিয়েছে কর্মসূচি না পেয়ে নেতাকর্মীরা হতাশ!
সত্যিই কি নেতাকর্মীরা হতাশ? কেন হতাশ? তারা কি আন্দোলনে নামতে উসখুস করছেন? আমারতো তা মনে হয় না। যদি সাধারণ মানুষ আন্দোলনের প্রয়োজন অনুভব করেন তাহলেই নেতানেত্রীরা আন্দোলনের ডাক দেন। স্বাধীনতার ঘোষণাও কি ঘোষক দিয়েছিলেন? নাকি জনগণ দিতে বাধ্য করেছিলেন? তাজউদ্দিন আহমদ একটি খসড়া ঘোষণাপত্র বঙ্গবন্ধুকে দিলে তিনি কী তা গ্রহণ করেছিলেন? তিনি নাকি বলেছেন এটা আমার বিরুদ্দে রাষ্ট্রদ্রোহিতার ডকুমেন্ট হয়ে থাকবে। কিন্তু জনগণের দাবির কাছে প্রত্যাশার কাছে শেসপর্যন্ত বলথে বাধ্য হননি এবারের সংগ্রাম...
দ্বিতয়িত...খালেদা জিয়া ভাষনে কী বলবেন না বলবেন তাতো আগে থেকেই ঠিক করা। সাধারণ জনগণ না জানুক নেতারাতো জানতেন....জানতেন না? কেমন নেতা তারা?
আসলে এর উদ্দেশ্য কি এমন যে বিরোধীদলকে উৎপীড়িত করে দেশে আন্দোলনের নামে মানুষের জানমাল সময়ের অপচয় করা?
দেশকে অস্থিরতার দিকে টেরে দিয়ে কাউকে আন্দোলনে নামতে উস্কানী দিয়ে মিডিয়ার লাভ কী? পত্রিকার কাটতি? হায়রে স্বার্থপর! কতো অল্পে তোরা কতো বড় ক্ষতি করিস। নাকি অন্য কোনও শক্তির ইন্ধন! অন্য কোনও শক্তির ফায়দা লুটবার পায়তারা?
ছাত্রলীগের ভিতরে শিবির আছে ঘোষণায় যতোটা না শিবিরের ক্ষতি হয়েছে তারচে বেশি ক্ষতি কি রীগের হয়নি। প্রতিদ্বন্দীগ্রুপ এক অপরকে তুই শিবির বলে পাকরাও করে পরাস্ত করে নিজের পদটা ভারি করার চেষ্টাকি করছে না? বিশ্বাস বা একে অপরের মধ্যেকার সম্পর্ককি ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি এতে?
সরকারের দূর্বলতাই দ্রব্যমূল্যের কারন। আর সরকারকে দূর্বল করে প্রতীযমান করছে কারা মিডিয়া নয়? ফারুক খান ব্যর্থ এ প্রমাণ কারা করেছে নিশ্চই মিডিয়া?
এভাবে কী তাদের কোনও ক্ষতি হচ্ছে? তারা হয়ত আগামীতে আর আসতে পারবে না কিন্তু যেই আসুক তার পেছনেই কি আবার মিডিয়াগুলো উঠেপড়ে লাগবে না?
এবারতো দেখছি বিরোধীদলও শক্তিহীন তাহরে শক্তিশালী কারা? নিশচই দুষ্ট জনগণ! একই কারনেই কি সীমান্তে অনায়াসে বাঙালি হত্যা চলছে না?.....
আমাদের কী কিছু ফান্ডামেন্টাল বিষয়ে একমত হওয়া, বিতর্কের উর্ধে থাকা উচিৎ নয়?
আমিতো মনে করি বাংলাদেশের জনগণ এক হলে একমুহূর্তে দ্রব্যমূল্য হাতের নাগালে চলে আসতে পারে। সবাই কেবল সরকারকে দোষারোপ করে আত্মতৃপ্তি, আর সরকার বিরোধীদরকে দোষারোপ করে আত্মতৃপ্তি পেতে থাকলে এদেশের জনহণকে আর কিছুদিনপর না খেয়ে মরতে হবে....
তারপর মৃত মানুষদের কেটেকুটে প্রমাণ করা হবে না খেয়ে মরেনি, অন্তত বিষ খেয়ে মরেছে। অথবা ডেত সার্টিফিকেটে লেখা থাকবে অমুক ব্যামোতে মারা গেছে। সরকারও গলাবাজি করে বলবে একটি লোকও না খেয়ে মারা যায়নি....
জবিনের নিরাপত্তা চাইলে বলবে হায়াত মউতের মালিক আল্লাহ!
কিন্তু নিজেরা কেন এসএসএপ ব্যবহার করেন? তার উত্তর কেউ দেবে না।
আসুন রাজনীতিবিদদের পদলেহন বন্ধ করে জনগণের প্রকৃত সমস্যা নিয়ে কণ্ঠে কন্ঠ মিলাই....বলি...আগামী একমাসের মধ্যে দ্রব্যমূল্য কমাও, পানি দাও, খাদ্য দাও, চিকিৎসা দাও, বিদ্যুত দাও....না পারলে নিজেদের গাড়ি-বাড়ি-এসি-এসএসএফগুলো ছেড়ে দাও....
৩টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

বন্ডাইর মত হত্যাকাণ্ড বন্ধে নেতানিয়াহুদের থামানো জরুরি...

লিখেছেন নতুন নকিব, ১৬ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১১:২৫

বন্ডাইর মত হত্যাকাণ্ড বন্ধে নেতানিয়াহুদের থামানো জরুরি...

বন্ডাই সৈকতের হামলাস্থল। ছবি: রয়টার্স

অস্ট্রেলিয়ার সিডনির বন্ডাই সৈকত এলাকায় ইহুদিদের একটি ধর্মীয় অনুষ্ঠানে সমবেত মানুষের ওপর দুই অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী অতর্কিতে গুলি চালিয়েছে। এতে... ...বাকিটুকু পড়ুন

আল্লাহ সর্বত্র বিরাজমাণ নন বলা কুফুরী

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ১৬ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:১৪



সূরাঃ ২ বাকারা, ২৫৫ নং আয়াতের অনুবাদ-
২৫৫। আল্লাহ, তিনি ব্যতীত কোন ইলাহ নেই।তিনি চিরঞ্জীব চির বিদ্যমাণ।তাঁকে তন্দ্রা অথবা নিদ্রা স্পর্শ করে না।আকাশ ও পৃথিবীতে যা কিছু আছে সমস্তই... ...বাকিটুকু পড়ুন

বিজয়ের আগে রাজাকারের গুলিতে নিহত আফজাল

লিখেছেন প্রামানিক, ১৬ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৫:১৩


ঘটনা স্থল গাইবান্ধা জেলার ফুলছড়ি থানার উড়িয়া ইউনিয়নের গুণভরি ওয়াপদা বাঁধ।

১৯৭১সালের ১৬ই ডিসেম্বরের কয়েক দিন আগের ঘটনা। আফজাল নামের ভদ্রলোক এসেছিলেন শ্বশুর বাড়ি বেড়াতে। আমাদের পাশের গ্রামেই তার... ...বাকিটুকু পড়ুন

৫৫ বছর আগে কি ঘটেছে, উহা কি ইডিয়টদের মনে থাকে?

লিখেছেন জেন একাত্তর, ১৬ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৫:৫৮




ব্লগের অনেক প্রশ্নফাঁস ( Gen-F ) ১ দিন আগে পড়া নিউটনের ২য় সুত্রের প্রমাণ মনে করতে পারে না বলেই ফাঁসকরা প্রশ্নপত্র কিনে, বইয়ের পাতা কেটে পরীক্ষার হলে নিয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

১৯৭১ সালে পাক ভারত যুদ্ধে ভারত বিজয়ী!

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:০৯


দীর্ঘ ২৫ বছরের নানা লাঞ্ছনা গঞ্জনা বঞ্চনা সহ্য করে যখন পাকিস্তানের বিরুদ্ধে বীর বাঙালী অস্ত্র হাতে তুলে নিয়ে বীরবিক্রমে যুদ্ধ করে দেশ প্রায় স্বাধীন করে ফেলবে এমন সময় বাংলাদেশী ভারতীয়... ...বাকিটুকু পড়ুন

×