ইসলামী আন্দোলনে যারা নাম লেখান, তারা প্রথম দিন থেকেই মৃত্যুর জন্য তৈরি থাকেন...আনেকে আছেন যারা সাদা কাফনের কাপড় নিয়ে রাস্তায় নামেন। অতএব মৃত্যু ভয় যে এদের নেই তা নিশ্চিত করেই বলা যায়। কিন্তু অপবাদের মৃত্যু, অপমানের মৃত্যু কেউকি মেনে নিতে পারে সহসা?
জানি না কী প্রতিক্রিয়া হবে জামায়াত-শিবিরের তবে প্রতিক্রিয়া যা-ই হোক তাতে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের কোনও ক্ষতি হবে বলে মনে হয় না। ক্ষতি যা হবার হবে দেশের। দেশটাকে পোড়ামাটি করার পরিকল্পনা নিয়েই এই সরকার এই বিচারিক কাজটি সম্প্ন করেছে। বিচার প্রক্রিয়াকে বিতর্কিত করার পেছনে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা রেখেছে স্বয়ং আওয়ামী লীগ। কিন্তু কেন? কারণ আওয়ামী লীগ চায় অশান্তি। দেশ অশান্ত থাকলে অনেক কাজ সহজ হয়ে যায়। যেমন কেউ হাসপাতালে থাকলে পরিবারের সব সদস্য কুণ্ঠিত চিন্তিত থাকলেও উঠতি বয়সী নারী-পুরুষ থাকে বেমালুম নির্বিঘ্নে। কারণ ওরা তখন স্বাধীন। কেউ পড়তে বলে না, ছাদে গেলি কেন জিজ্ঞেস করে না, ফোনে কার সাথে কথা বলছিস জিজ্ঞেস করে না..এই ফাঁকে তারা অনেক কিছুই করতে পারে....যেভাবে শেয়ারবাজার গিলে খাওয়া হলো, যেভাবে পিলখানা চাপা দেয়া হলো, যেভাবে হলমার্ক-সোনালিব্যাংক নামক সোনার হাঁস জবাই হলো....
দেশ অশান্তি থাকলে লাভ প্রতিবেশি দেশের। তাদের বাণিজ্য হয় রমরমা। কূটনৈতিক চালে জেতা যায়, কারণ অশান্ত রাষ্ট্রের নৃপতিরা অন্যের ওপর নির্ভরশীল হয়।...
অনেক অনেক আগ-পিছ ভেবে সরকার একেক সময় একেকটা ইস্যু নিয়ে মাঠ গরম রেখেছে। কিন্তু এবারের গেমটা একেবারে ভিন্ন...যখন সরকারপতনের আন্দোলন অত্যাসন্ন তখন এই রায় দিয়ে সরকার সরকারপতনের আন্দোলনকে ভিন্নরূপে প্রচার করতে পারবে। আর আশাকরি বি এনপিএই ফাঁদে পা দিবে সুন্দরভাবেই। কারণ বিএনপি'র মধ্যেও জামায়াতবিরোধী নেতার সংখ্যা কম নয়।..এমনকি স্থায়ী কমিটিতেও আওয়ামী চর আছেএমন গুঞ্জন সন্দেহ অনেকটা প্রকাশ্য এখন...অতএব, পাল্টা রিঅ্যাকশন কী হবে, নাকি চেইন রিঅ্যাকশন হবে...ভাবনাটা আমাদের। কারণ আমাদেরকে প্রতিদিন রাস্তায় বের হতে হয়, কর্মস্থলে যেতে হয়...চেইন রিঅ্যাকশন হবে খুব ভয়াবহ। কখন কী হবে কেউ জানবে না...গোটা দেশ থাকবে ভয়ে কম্পিত....সরকার কি কোনও কিছু মোকাবেলা করতে পেরেছে কখনও? জান মাল ক্ষতি কি ঠেকানো গেছে? না ঠেকানোর চেষ্টা ছিল কখনও?..এবার দেশ পোড়ামাটি হলেও তাতে কিছু যায় আসে না এই সরকারের...

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




