আদিবাসীদের মানবাধিকার লঙ্ঘনের জন্য সেনাবাহিনীকে সবচেয়ে বেশি দায়ী করেছে দেশের নৃতাত্ত্বিক জনগোষ্ঠীর একটি সংগঠন কাপেং ফাউন্ডেশন।
গত দুই বছরে আদিবাসীদের মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে এক প্রতিবেদনে তারা এ অভিযোগ তুলেছে।
অভিযোগের পক্ষে তারা এক পরিসংখ্যানে জানিয়েছে, পাহাড়ে বসতি স্থাপনকারী বাঙালি এবং সামরিক বাহিনী হাতে ধর্ষণের শিকার হয়েছেন ১৪ জন আদিবাসী নারী।
এছাড়া পার্বত্য চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় গত দুই বছরে নয় নারীসহ ১৫ জন আদিবাসী খুন হয়েছে বলেও প্রতিবেদনে বলা হয়।
রাজধানীর কাঁটাবনে জাতীয় পরিকল্পনা ও উন্নয়ন একাডেমি মিলনায়তনে কাপেং ফাউন্ডেশনের প্রতিবেদন প্রকাশ অনুষ্ঠানে ছিলেন অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি গোলাম রাব্বানী, জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের সদস্য নিরূপা দেওয়ান, আদিবাসী অধিকার আন্দোলনের সাধারণ সম্পাদক মেসবাহ কামাল প্রমুখ।
কাপেং ফাউন্ডেশনের উপদেষ্টা মঙ্গল কুমার চাকমা প্রতিবেদনের মূল বিষয়গুলো তুলে ধরেন।
প্রতিবেদনে আদিবাসীদের মানবাধিকার লঙ্ঘনের চিত্র তুলে ধরে বলা হয়, "সরকার জাতীয় মানবাধিকার কমিশন গঠন করেছে। কিন্তু এর সবচেয়ে বড় দুর্বল দিক হচ্ছে- সেনা ও আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে কমিশনের আওতায় আনা হয়নি। অথচ সেনাবাহিনী-ই আদিবাসীদের মানবাধিকার সবচেয়ে বেশি লঙ্ঘন করছে।"
কাপেং ফাউন্ডেশন বলছে, শান্তি চুক্তি অনুযায়ী পার্বত্য চট্টগ্রাম এলাকার ৫৪৩টি অস্থায়ী সেনা ছাউনি (ক্যাম্প) প্রত্যাহারের কথা। কিন্তু এখন পর্যন্ত মাত্র ৩৫টি প্রত্যাহার হয়েছে। অন্য ছাউনিগুলো প্রত্যাহারে তেমন কোনো উদ্যোগও নেই। বরং এসব প্রত্যাহার করা হলে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হবে বলে গুজব ছড়ানো হচ্ছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, গত দুই বছরে পার্বত্য এলাকায় বসতি স্থাপনকারী বাঙালি এবং সামরিক বাহিনীর হাতে পাঁচ নারীসহ সাতজন এবং সমতল এলাকায় চার নারীসহ আটজন খুন হয়।
এ সময় পার্বত্য এলাকায় আদিবাসীদের ৫১১টি বসতবাড়ি এবং সমতল এলাকায় ৭৪টি বাড়ি ভাংচুর ও ধ্বংস করা হয় বলে এতে বলা হয়। এসব ঘটনায় আরো কমপক্ষে ৯৭ জন আহত হয়। পুলিশ এসব ঘটনায় তিনজন আদিবাসীকে গ্রেপ্তার ও সাতজনকে আটক করে।
সরকারের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি এবং বাজেট বৈষম্যের চিত্র তুলে ধরে প্রতিবেদনে বলা হয়, দেশে বর্তমানে মোট জনসংখ্যার প্রায় ১ দ
সর্বশেষ এডিট : ১১ ই ডিসেম্বর, ২০১০ বিকাল ৪:৩৭

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




