বান্দর - একটি ফটোপোষ্ট
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
Tweet
গ্রামের নাম রামপুর। এটা নরসিংদী জেলার মনোহরদী থানার অন্তর্গত একটি গ্রাম। এই গ্রামটিতে প্রচুর লোকসংখ্যা থাকলেও একটা অংশে বিশাল বিশাল প্রাচীন গাছ আর ঝোপঝাড়ের কারণে এটাকে অনেকটা বনভুমীর মতোই দেখা যায়। বলতে পারেন বানরের আবাসস্থলের জন্য যা খুবই উপযোগী। অনেকে এটাকে বানরের গ্রামও বলে থাকে। তো একদিন চলে গেলাম রামপুরের বানর দেখতে। যাদের সাথে দেখা হলো তাদের নিয়েই আমার আজকের বানরীয় পোষ্ট স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা যায় এই গ্রামে আট থেকে দশটি দল আছে বানরের। একেক দলে ২০ থেকে ২৫টি বানর থাকে। সেই হিসাবে ২০০ থেকে ২৫০টি বানর এই গ্রামে বাস করে, যদিও খাদ্য আর মানুষের অত্যাচারে ওদের জীবন এখানে বিপন্ন প্রায়।
(২/৩) আগের বার বানরদের দেখা পেয়েছিলাম মন্দিরের উপরের বটগাছে, এবার অনেকক্ষণ বট গাছের নিচে বসেও ওদের সাক্ষাৎ পাইনি, শেষে একজন বললো শশ্মান ঘাটের দিকে গেলে পেতে পারেন, কারণ ওরা এক যায়গায় স্থির থাকে না। শশ্মান ঘাটের বাঁশের ঝাড়ে ঠিকই ওদের পেয়ে গেলাম।
(৪/৫) পর্যটকদের ওরা চেনে, কেউ আসে খাবার নিয়া কেউ আবার ঢিল ছুরে ওদের বিরক্ত করে, তাই বাঁশ বাগানে বসে আমাদের ওরা ভালোভাবে পর্যবেক্ষণ করছে।
(৬) ক্যামেরা দেখে ভালোই পোজ দিলো, কি বলেন
(৭) কেউ আবার আমাদের চাইতে বাচ্চার দিকেই বেশী মনোযোগী।
(৮/৯) ইতিমধ্যে আবার বৃষ্টি শুরু হওয়ায় আমাদের আর বানরদের দুপক্ষেরই অসুবিধায় পরতে হয়।
(১০/১১) প্রথমে বিস্কুট দিয়ে বুঝলাম এভাবে সব বানরকে বাঁশ ঝাড় থেকে বের করা সম্ভব নয় তাই নিয়ে আসলাম মুড়ি, আর ছিটিয়ে দিলাম পাশের খালি জায়গায়। ব্যস একে একে সবাই বেড়িয়ে আসতে লাগলো।
(১২) ওরা আমাদের দেওয়া মুড়িগুলো কুড়িয়ে খেতে লাগলো, আর আমরা মনের সুখে ওদের ছবি তুললাম।
(১৩/১৪) মায়ের আশে পাশে বাচ্চাটি মনের সূখে খাচ্ছে খেলছে।
(১৫) এই দুইটার নাম দিছি আমি মাথা নষ্ট, ওরা বার বার আমাদের আক্রমণ করার চেষ্টা করে।
(১৬) বানরের বাচ্চাগুলোর কার্যক্রমই সব চেয়ে মজার।
(১৭/১৮) মুড়ি খাওয়ার পর কেউ কেউ কাঠাল খাওয়ার ব্যস্ত হয়ে পরে।
(১৯) খাওয়ার শেষ হওয়ার পর অনেকেই আয়েশ করে জিরিয়ে নিচ্ছে, আর আমরাও বাড়ির পথে পা বাড়ালাম।
১৩টি মন্তব্য ১৪টি উত্তর
আলোচিত ব্লগ
বিসিএস দিতে না পেরে রাস্তায় গড়াগড়ি যুবকের
আমাদের দেশে সরকারি চাকরি কে বেশ সম্মান দেওয়া হয়। আমি যদি কোটি টাকার মালিক হলেও সুন্দরী মেয়ের বাপ আমাকে জামাই হিসেবে মেনে নিবে না। কিন্তু সেই বাপ আবার ২০... ...বাকিটুকু পড়ুন
শাহ সাহেবের ডায়রি ।। আমের খাট্টা
তাতানো গরমে কাল দুপুরে কাচা আমের খাট্টা দেখে ব্যাপারটা স্বর্গীয় মনে হল । আহা কি স্বাদ তার । অন্যান্য জিনিসের মত কাচা আমের দাম বাড়াতে ভুল করেনি... ...বাকিটুকু পড়ুন
ডাক্তার ডেথঃ হ্যারল্ড শিপম্যান
উপরওয়ালার পরে আমরা আমাদের জীবনের ডাক্তারদের উপর ভরশা করি । যারা অবিশ্বাসী তারা তো এক নম্বরেই ডাক্তারের ভরশা করে । এটা ছাড়া অবশ্য আমাদের আর কোন উপায়ই থাকে না... ...বাকিটুকু পড়ুন
আমার ইতং বিতং কিচ্ছার একটা দিন!!!
এলার্ম এর যন্ত্রণায় প্রতিদিন সকালে ঘুম ভাঙ্গে আমার। পুরাপুরি সজাগ হওয়ার আগেই আমার প্রথম কাজ হয় মোবাইলের এলার্ম বন্ধ করা, আর স্ক্রীণে এক ঝলক ব্লগের চেহারা দেখা। পরে কিছু মনে... ...বাকিটুকু পড়ুন
কে কাকে বিশ্বাস করবে?
করোনার সময় এক লোক ৯৯৯ এ ফোন করে সাহায্য চেয়েছিল। খবরটা স্থানীয় চেয়ারম্যানের কানে গেলে ওনি লোকটাকে ধরে এনে পিটিয়েছিলেন। কারণ, ৯৯৯ এ ফোন দেওয়ায় তার সম্মানহানি হয়েছে।
সমাজে এমন... ...বাকিটুকু পড়ুন