somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

বাকলাই পাড়া, পাহাড়ে এক শান্তির জনপদ (ফটোব্লগ)।

২৫ শে মে, ২০১৫ সকাল ৯:৩১
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


বাকলাই পাড়া নামের মাহাত্ব্য কি আমি জানিনা। তবে এর অর্থ যদি আমি বলি সুন্দর, শান্ত, নির্জন একটা শান্তির জনপদ তাহলে মনে হয় একটুও বেশী বলা হবে না। বগালেক, কেওকারাডং হয়ে তাজিংডং যাওয়ার পথে এই সুন্দর পাহাড়ি গ্রাম বাকলাই পাড়া। এই রুটে চলা ট্রেকারদের অনেক পছন্দের একটি ক্যাম্পিং জোন এই বাকলাই। এখানাকার নিরাপত্তা সুবিধা হিসেবে আছে আর্মি ক্যাম্প, যা বারতি নিরাপত্তা প্রদান করে অভিযাত্রিদের। তবে বান্দরবানের পাহাড়ি গ্রামগুলো তথা গ্রামের মানুষগুলোকে কখনো আমার হুমকি স্বরূপ মনে হয়নি, বরঞ্চ ওদেরকে আমি সব সময় অতিথী পরায়ন হিসাবেই পেয়েছি। ২০১৩ সালে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ চুড়া সাকা হাফং যাওয়ার সময় ভ্রমণ বাংলাদেশের সদস্য হিসাবে এই চমৎকার গ্রামটিতে একটি রাত থাকার সৌভাগ্য হয়েছিলো, আর ঘটনাক্রমে সেদিন আকাশে ছিলো পূর্ণিমার চাঁদ।


(২) পাসিং পাড়া। কেওকারাডং থেকে নেমে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ এই গ্রাম পাড়ি দিয়েই যেতে হয় বাকলাই পাড়ার দিকে।


(৩) পাহাড়ের কোলে দাড়িয়ে থাকা ছোট্ট এই গ্রামের নাম গ্রামের নাম জাদিপাই পাড়া। পাসিং পাড়া থেকে নেমে বাকলাইয়ের দিকে যাওয়ার সময় এই পাড়া থাকে হাতের ডানে।


(৪) সুংসাং পারা। এই গ্রামটা আরো অনেক নিচে এবং একটা বড় গ্রাম, এটা পড়বে হাতের বামে।


(৫) এটা সুংসাং পাড়া আর্মি ক্যাম্প, এক অসাধারণ সুন্দর জায়গা।


(৬/৭) অনেক চড়াই উৎরাই পাড়ি দিয়ে আমাদের যেতে হয়েছিলো বাকলাই পাড়ার দিকে।




(৮) এক সময় আমাদের পানি শেষ হয়ে গেলে পাহাড়ের এমন কার্ণিস বেয়ে পড়া পানি সংগ্রহ করে খেতে হয়।


(৯) সেই ট্যুরে আমাদের দলনেতা ছিলেন তাহসিন ভাই (তাহসিন মামা)। তিনিই এক সময় ক্লান্ত হয়ে বসে পড়লেন, আর আমাদের অবস্থাটা নাইবা বললাম।


(১০) মাটিতে ফুটে থাকা এমন সুন্দর ফুলগুলো আমাদেরকে বাকলাই পাড়া যাওয়ার পথে পথে স্বাগত জানাচ্ছিল।


(১১) ভয়ঙ্কর এমন সুন্দর দেখে মাঝে মাঝে চমকেও উঠছিলাম।


(১২) বাকলাই পাড়ার উপকন্ঠে এসে এমন গয়ালগুলো দেখে ভড়কে গিয়েছিলাম, পরে দেখলাম না ওরা অত্যন্ত নিরিহ প্রাণী।


(১৩) বাকলাই পাড়া থেকে নিচের দিকে দাড়িয়ে থাকা পাহাড়গুলোতে এমনভাবেই মেঘগুলো আটকে ছিলো।


(১৪) বাকলাই পাড়া ঢোকার মুখে ছোট্ট এই ঝর্ণার নাম চুম্পি ঝর্ণা, এখানে শীতল জলে নামার পর সারাদিনের ভ্রমন ক্লান্তি নিমেষেই ধুয়ে মুছে পরিষ্কার করে দেয়।


(১৫) ওই তো বাকলাই পাড়া। আমাদের একটি রাতের বাসস্থান।


(১৬) বাকলাই পারায় একটা অন্য রকম গাছ।


(১৭) বাকলাই পাড়ার শিশুরা।


(১৮) পুর্ণিমার চাঁদতো সব জায়গায়ই একই রকম, বাকলাই পাড়ারটা একটু অন্য রকম কি ?


(১৯) সকাল হতেই পাহাড়ি জনপদের এই মানুষগুলো কাজে ঝাপিয়ে পড়ে।


(২০) চমৎকার এই গ্রামটিতে আরো একটা দিন থেকে যেতে পারলে মন্দ হতোনা, কিন্তু সময় স্বল্পতায়......


(২১) বাকলাই ছেড়ে এক সময় আমরা এগিয়ে চললাম আমাদের পরবর্তি গন্তব্যের উদ্দশ্যে। পিছনে রেখে গেলাম এক রাতের সুখ স্মৃতি। আবার কখনো বাকলাই পাড়ায় যাওয়া হবে কিনা জানিনা, তবে এক রাতের সেই স্মৃতি ক্ষণে ক্ষণে মনকে পুলকিত করবে এটা বলা যায় নিঃসন্দেহে।

সর্বশেষ এডিট : ২৫ শে মে, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:২৫
১৫টি মন্তব্য ১৪টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

দু'টো মানচিত্র এঁকে, দু'টো দেশের মাঝে বিঁধে আছে অনুভূতিগুলোর ব্যবচ্ছেদ

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ১২:৩৪


মিস ইউনিভার্স একটি আন্তর্জাতিক সুন্দরী প্রতিযোগিতার নাম। এই প্রতিযোগিতায় বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সুন্দরীরা অংশগ্রহণ করলেও কখনোই সৌদি কোন নারী অংশ গ্রহন করেন নি। তবে এবার রেকর্ড ভঙ্গ করলেন সৌদি... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমার প্রফেশনাল জীবনের ত্যাক্ত কথন :(

লিখেছেন সোহানী, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ সকাল ৯:৫৪



আমার প্রফেশনাল জীবন বরাবরেই ভয়াবহ চ্যালেন্জর ছিল। প্রায় প্রতিটা চাকরীতে আমি রীতিমত যুদ্ধ করে গেছি। আমার সেই প্রফেশনাল জীবন নিয়ে বেশ কিছু লিখাও লিখেছিলাম। অনেকদিন পর আবারো এমন কিছু নিয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমি হাসান মাহবুবের তাতিন নই।

লিখেছেন ৎৎৎঘূৎৎ, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ দুপুর ১:৩৩



ছোটবেলা পদার্থবিজ্ঞান বইয়ের ভেতরে করে রাত জেগে তিন গোয়েন্দা পড়তাম। মামনি ভাবতেন ছেলেটা আড়াইটা পর্যন্ত পড়ছে ইদানীং। এতো দিনে পড়ায় মনযোগ এসেছে তাহলে। যেদিন আমি তার থেকে টাকা নিয়ে একটা... ...বাকিটুকু পড়ুন

মুক্তিযোদ্ধাদের বিবিধ গ্রুপে বিভক্ত করার বেকুবী প্রয়াস ( মুমিন, কমিন, জমিন )

লিখেছেন সোনাগাজী, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৫:৩০



যাঁরা মুক্তিযদ্ধ করেননি, মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে লেখা তাঁদের পক্ষে মোটামুটি অসম্ভব কাজ। ১৯৭১ সালের মার্চে, কৃষকের যেই ছেলেটি কলেজ, ইউনিভার্সিতে পড়ছিলো, কিংবা চাষ নিয়ে ব্যস্ত ছিলো, সেই ছেলেটি... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। সাংঘাতিক উস্কানি মুলক আচরন

লিখেছেন শাহ আজিজ, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:০৪



কি সাঙ্ঘাতিক উস্কানিমুলক আচরন আমাদের রাষ্ট্রের প্রধানমন্ত্রীর । নাহ আমি তার এই আচরনে ক্ষুব্ধ । ...বাকিটুকু পড়ুন

×