somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

বনে বাঁদাড়ে.....৪৮

০২ রা অক্টোবর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:২৪
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


প্রকৃতির সৌন্দর্যের সাথে আমার প্রেম । বনে বাঁদাড়ে ঘুরে বেড়াই, পাখি দেখি, ফুল দেখি, আর মাঝে মাঝে ছবি তোলার চেষ্টা করি। ইচ্ছে করে পাহাড়ে হেলান দিয়ে নীল আকাশ দেখি, ইচ্ছে করে ঘাস ফুলদের সাথে চুপি চুপি কথা বলি, ইচ্ছে করে সাগর, নদী খাল-বিলে সাতার কাটি রাজহংসের মতো। ইচ্ছে করে বাংলার প্রতিটি ইঞ্চি মাটির সুবাস নেই।

ইচ্ছেগুলো কতটা সফল হবে জানিনা, তবে সংসারের যাতাকল থেকে সুযোগ পেলেই আমি হারিয়ে যাই আমার ইচ্ছে ভুবনে । সেই সাথে আমার দেখা সৌন্দর্যকে ধরে রাখার জন্য তুলে রাখি অঢেল ছবি, আর সেই ছবিগুলো নিয়েই আমার বনে বাঁদাড়ে সিরিজটা শুরু করলাম, আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে।


(২) লাল শাপলা, নরসিংদীর মরজাল এলাকা থেকে তোলা ছবি।


(৩) জাফলং, সিলেট শহর থেকে ৬২ কিলোমিটার উত্তর-পূর্ব দিকে, ভারতের মেঘালয় সীমান্ত ঘেঁষে খাসিয়া-জৈন্তা পাহাড়ের পাদদেশে অবস্থিত, এবং এখানে পাহাড় আর নদীর অপূর্ব সম্মিলন বলে এই এলাকা বাংলাদেশের অন্যতম একটি পর্যটনস্থল হিসেবে পরিচিত।


(৪) গ্রামের নাম জাদিপাই, বান্দরবানের কেউকারাডাং এর ওপারের পাহাড়ি গ্রাম এটা।


(৫) বাঁশের সাকো, শ্রীমঙ্গলের বাইক্কা বিল এলাকা থেকে তোলা ছবি।


(৬) একটি হরিণ ও দুটি গো-বক। সুন্দবনের কচিখালি এলাকা থেকে তোলা ছবি। গো-বক মাটির ওপর বা ঘাসবনের ভেতর দিয়ে যেমন মার্চ করতে পারে, তেমনি উড়ন্ত পোকা-পতঙ্গকে লাফ দিয়ে শূন্য থেকে পেড়ে ফেলতে পারে অ্যাক্রোব্যাটদের কৌশলে। মূল খাদ্য এদের পোকামাকড়, গিরগিটি, ব্যাঙ, টিকটিকি; গরু-মহিষ-ভেড়া-ছাগলের শরীরের পরজীবী পোকা-কীটসহ আটালি ও ডাঁশ মাছি। জোঁক এরা খায় না। তবে গবাদিপশুর নাকের ভেতরে, খুরের ফাঁকে, তলপেটে জোঁক লাগলে সেগুলো এরা টেনে বের করে ফেলে শালিকদের মতো। নাকের ভেতরে জোঁক ঢুকলে গবাদিপশু হ্যাঁচ্চো দিতে থাকে। শালিক ও গো-বকেরা আসে। পশুটি মুখ নামিয়ে দেয়। নাকের ভেতরে ঠোঁট ঢুকিয়ে দিয়ে বের করে আনে জোঁক। জোঁকেরাও অতি বুদ্ধিমান। গবাদিপশুর এমন সব জায়গায় লাগে, যেখানে পশুটি জিভ দিয়ে চাটতে পারবে না, চাটা দিলে জোঁকের বাবারও সাধ্য নেই লেগে থাকে। গো-বক তাই গবাদিপশুর পরম বন্ধু। গবাদিপশু কাত হয়ে শুয়ে আছে, গো-বক কানের ভেতরের বা শিংয়ের গোড়ার আটালি বের করে খাচ্ছে বাংলায় আজও এটি সাধারণ দৃশ্য। গবাদিপশু ঘাসবনে চরছে, নড়ছে ঝোপঝাড়, উড়ছে পোকামাকড়, খাচ্ছে গো-বকেরা। এটিও চিরচেনা দৃশ্য। এমনিতেও গো-বকেরা ঘাসবনে পাশাপাশি দলবেঁধে হাঁটে, নিজেরাই পা ও পাখা দিয়ে ঝোপঝাড়-ঘাস নাড়ায়, পোকামাকড় বের হলেই পাকড়াও করে। ঘাসবনের ওপর দিয়ে উড়তে উড়তে এরা দুই পাখার বাতাস ঢেলে পোকামাকড় বের করার কৌশল জানে। শুধু পোষা প্রাণী নয়, বুনো শূকর, হরিণ, হাতি ইত্যাদির সঙ্গে একই কারণে বন্ধুত্ব গো-বকের। এরা দিবাচর। তবে প্রয়োজনে নিশাচর হতে পারে। (এই বিষয়টা সেদিন প্রথম আলো পত্রিকা পড়েই জানলাম, আগে আমি শুধু ভাবতাম পশুদের সাথে বকদের এই বন্ধুত্ব কিসের ভিত্তিতে?)।


(৭) মিষ্টি মধুর কলকলানিতে পাথরের ধাপ বেয়ে নেমে অসম্ভব সুন্দর এই ঝর্ণার নামই জাদিপাই ঝর্ণা। উঁচু পাহাড় আর চার দিকে সবুজের সমারোহ। নির্মল নিস্তব্ধতা। মাঝে পাহাড়ের বুক চিরে স্বচ্ছ পানির ধারা পাথর বেয়ে নিচে নেমে আসছে। বান্দরবানের কেওকারাডং পাহাড় থেকে জাদিপাই ঝর্ণাটির দূরত্ব প্রায় দেড় কিলোমিটার।


(৮) পথের পসার, মহা সড়কের পাশের জমিগুলো থেকে মিষ্টি কুমড়া, তরমুজ, বাঙ্গি, চাল কুমড়া ইত্যাদি নিয়ে ওরা সড়কের পাশে বসে থাকে। রাস্তায় চলাচলকারী গাড়িগুলো থামিয়ে ওদের কাছ থেকে এসব কিনে নেয়। জায়গাটা নাটোরের চলন বিল এলাকা থেকে তোলা।


(৯) জাহাজের পিছনে উড়ন্ত গাংচিল, টেকনাফের নাফ নদী থেকে তোলা ছবি।


(১০) কাশ্মীরের মোগল সড়ক, কাশ্মীর থেকে তোলা ছবি।


(১১)কনকচূড়া ফুল, বটেশ্বর নরসিংদী থেকে তোলা ছবি।


(১২) স্বর্ণ মন্দির, বান্দরবান থেকে তোলা ছবি।


(১৩) লাল আকন্দ ফুল, ভেষজ গুণে ভরপুর এই গাছ টি গ্রামাঞ্চলে রাস্তার পাশে ঝোপঝাড়ের মতো জন্মে থাকে। সোনার গাঁওয়ের নুনের টেক গ্রাম থেকে তোলা ছবি।


(১৪) ঐতিহাসিক ছোট সোনামসজিদের কিছুদূরে - শাহ নেয়ামতুল্লাহ (রহ.)-এর মাজার, চাপাই নবাবগঞ্জ থেকে তোলা ছবি।


(১৫) জলকেলীরত মহিষ, শ্রীমঙ্গল থেকে তোলা ছবি।


(১৬) শরতের কাশফুল, সোনারগাঁও এর মোগরাপাড়া থেকে তোলা ছবি।


(১৭) ঈসাখাঁর রাজধানী সোনারগাঁ লোকশিল্প যাদুঘর।


(১৮/১৯) টেকনাফ সৈকত থেকে তোলা এই দুইটা ছবি।




(২০) ১৯৩৫-১৯৩৭ খ্রিষ্টাব্দে মেঘনা নদীর উপর King George the Sixth Bridge বা ‘রাজা ৬ষ্ট জর্জ সেতু’ (ভৈরব রেল সেতু)। সেতুটির নির্মাণ ব্যয় হয় তৎকালিন ভারতীয় মুদ্রায় ৬৪ লক্ষ টাকা।
সর্বশেষ এডিট : ০৩ রা অক্টোবর, ২০১৬ সকাল ৯:০২
৩১টি মন্তব্য ৩১টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

মিশন: কাঁসার থালা–বাটি

লিখেছেন কলিমুদ্দি দফাদার, ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৯:২৭

বড় ভাই–ভাবীর ম্যারেজ ডে। কিছু একটা উপহার দেওয়া দরকার। কিন্তু সমস্যা হলো—ভাই আমার পোশাক–আশাক বা লাইফস্টাইল নিয়ে খুবই উদাসীন। এসব কিনে দেওয়া মানে পুরো টাকা জ্বলে ঠালা! আগের দেওয়া অনেক... ...বাকিটুকু পড়ুন

আওয়ামী লীগের পাশাপাশি জামায়াতে ইসলামীকেও নিষিদ্ধ করা যেতে পারে ।

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১২:৪৫


বাংলাদেশে আসলে দুইটা পক্ষের লোকজনই মূলত রাজনীতিটা নিয়ন্ত্রণ করে। একটা হলো স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি এবং অন্যটি হলো স্বাধীনতার বিপক্ষ শক্তি। এর মাঝে আধা পক্ষ-বিপক্ষ শক্তি হিসেবে একটা রাজনৈতিক দল... ...বাকিটুকু পড়ুন

J K and Our liberation war১৯৭১

লিখেছেন ক্লোন রাফা, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:০৯



জ্যাঁ ক্যুয়ে ছিলেন একজন ফরাসি মানবতাবাদী যিনি ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইন্সের একটি বিমান হাইজ্যাক করেছিলেন। তিনি ৩ ডিসেম্বর, ১৯৭১ তারিখে প্যারিসের অরলি... ...বাকিটুকু পড়ুন

এবার ইউনুসের ২১শে অগাষ্ঠ ২০০৪ এর গ্রেনেড হামলার তদন্ত করা উচিৎ

লিখেছেন এ আর ১৫, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:৪০



এবার ইউনুসের ২১শে অগাষ্ঠ ২০০৪ এর গ্রেনেড হামলার তদন্ত করা উচিৎ


২০০৪ সালের ২১ শে অগাষ্ঠে গ্রেনেড হামলার কারন হিসাবে বলা হয়েছিল , হাসিনা নাকি ভ্যানেটি ব্যাগে... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাংলাদেশের রাজনীতিতে নতুন ছায়াযুদ্ধ: R থেকে MIT—কুয়াশার ভেতর নতুন ক্ষমতার সমীকরণ

লিখেছেন এস.এম. আজাদ রহমান, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:৪৪



বাংলাদেশের রাজনীতিতে নতুন ছায়াযুদ্ধ: R থেকে MIT—কুয়াশার ভেতর নতুন ক্ষমতার সমীকরণ

কেন বিএনপি–জামায়াত–তুরস্ক প্রসঙ্গ এখন এত তপ্ত?
বাংলাদেশের রাজনীতিতে দীর্ঘদিন ধরে একটি পরিচিত ভয়–সংস্কৃতি কাজ করেছে—
“র”—ভারতের গোয়েন্দা সংস্থা নিয়ে রাজনীতিতে গুজব,... ...বাকিটুকু পড়ুন

×