আমি বলি প্রকৃতি মানেই স্বর্গ। বাংলাদেশে এমন সব প্রাকৃতিক দৃশ্য আছে যা স্বর্গের থেকে কোনও অংশে কম নয়। কাশ্মীরকে কেন বলা হয় ভূস্বর্গ বলা হয় তা নিয়ে অনেক ভেবেছি। কিন্তু যখন কাশ্মীরে গেলাম তখন বুঝতে পারলাম স্বর্গের মধ্যেও স্বর্গ আছে। এখানে জন্মে লক্ষ টাকা মূল্যের জাফরান, এখানে জন্মে স্বর্গের ফল আপেল। এখানের উঁচু পাহাড়গুলো বরফের টুপি পড়ে বা কখনো পুরো শরীর বরফ ঢেকে দাঁড়িয়ে থাকে, যা থেকে নদীগুলোতে বিশুদ্ধ পানির প্রবাহ চলমান থাকে সারাটি বছর। আর পাহাড়ি এলাকার জীবন বৈচিত্র রক্ষায় সেই পানি অপরিহার্য্য। কাশ্মীরের অ্যারো ভ্যালীতে সালমান খানের বজরঙ্গী ভাইজান ছবির শুটিং হয়েছিল বলে গাইড আমাদের জানায়। চলুন ঘুরে আসি অ্যারো ভ্যালী থেকে................
(২) বেতাব ভ্যালী থেকে আ্যারো ভ্যালীতে যাওয়ার সময় রাস্তার পাশ দিয়া আমাদের সাথে সাথে এগিয়ে চলছিল নাম না জানা এই পাহাড়ি নদীটা। তবে সম্ভবত এটাই লিডার নদী, যেটা পেহেলগাম থেকে আ্যরো ভ্যালিতে চলে এসেছে।
(৩) উপত্যকায় চড়ে বেড়াচ্ছিল ভেড়ার পাল।
(৪) আরো দূরের উপত্যকায় পাইন বনের ফাঁকে ফাঁকে নজরে পড়ছিল স্থানীয়দের কূড়েগুলো।
(৫) এক সময় চলে এলাম অ্যারো ভ্যালীতে। উপত্যকায় ছোট একটা পরিসরে অল্প কিছু ঘরে দোকান পাট আর কিছু বসতি নিয়েই এই ভ্যালী। সেই সাথে কিছু ঘোড়া ও স্থানীয় লোকজন যারা পর্যটকদেরকে ঘোড়ার চড়িয়ে আয় করে থাকে। ঘোড়ায় চড়ে ঘুরে বেড়ানোকে ওরা বলে পনি রাইড। পনি রাইড ব্যতিত পুরো উপত্যকা ঘুরে দেখা বেশ কষ্টকর, বিশেষ করে পাহাড়ের চড়াই উৎরাই পেড়িয়ে যাদের অভ্যাস কম। আমরা ঘুরে বেড়িয়েছিলাম পনি রাইডেই।
(৬) ট্যাম্পু ট্রাভেলার থেকে নামতেই পনি রাইডাররা ছেকে ধরল। দাম দর করে উঠে পড়লাম ঘোড়ায়, মনে হচ্ছিল যেন আমি কোন রাজা বাদশা, ঘোড়ায় চড়ে স্বর্গ দেখতে বেড়িয়েছি।
(৭) এখানে প্রচুর যাযাবর শ্রেণীর লোক রয়েছে, যাদের বাড়িঘরগুলো এমনই।
(৮) যাযাবরদের প্রধান সম্পদ এইসব পশু পালন।
(৯/১০) কিছু পথ বেশ খাড়া ও পাথুরে, মাঝে মাঝে মনে হয় যেন ঘোড়া হোচট খেয়ে পড়ে যাবে, বেশ ভয় ভয় লাগছিলো।
(১১) এই পার্বত্যাঞ্চলের মানুষদের পানির প্রধান উৎস, পাহাড়ের বরফ গলা পানির এমন ছোট বড় নালাগুলো।
(১২) দূর পাহাড়ের ঐ সাদা বরফগুলো এই পানির সরবরাহকারী।
(১৩) উপত্যকার একটা অংশে একটা বড় পাথর খন্ড রয়েছে যাতে আবার ছোট্ট একটা দরজার মতো করে একটা অংশ কাটা। এটা যেন পবিত্র কি বলছিল ওরা এখন আর মনে নাই। ওই পাথর খন্ড থেকে চুইয়ে চুইয়ে কিছু পানি ছোট্ট একটা জলাশয়ে এসে পড়ছে। ওটা নাকি পবিত্র জল, মনের আশা পূর্ণ হয়। খেয়ে নিলাম কিছুটা।
(১৪) আমার ভ্রমণ সঙ্গী পবিত্র জল পান করছে।
(১৫) স্থানীয় লোকজন।
(১৬/১৭) ঘোড়ার পিঠে বেধে কোন শস্য নিয়ে যাচ্ছে স্থানীয় বাসিন্দারা।
(১৮) উপর থেকে তোলা উপত্যকার ছবি।
(১৯) পনি রাইড শেষ করে পেছন দিক থেকে তোলা বাজারটার ছবি।
(২০) সব শেষে এটা কিন্তু আমি
সর্বশেষ এডিট : ০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৫:৩৯