
একটা পাঁচ তলা বাড়ির ছাদে চাদর মুরি দিয়ে ঘুমিয়ে থাকা একজন সোহেল রানা।বয়স আনোমানিক ১৭ বছর হবে।প্রতি রাতেই অস্থায়ী আশ্রয়ের
খুঁজে নামে সোহেল রানা আশ্রয় মিলেও যায় কোন বাড়ির ছাদে অথবা মোরের দোকানের বেঞ্চে।রাত কোনরকমে কাটলে আবারো শুরু হয় জীবন
যুদ্ধে টিকে থাকার চেষ্টা।এ যেন জীবন নয়, মা'কে পাবার শক্তিটুকু সন্ঞ্জয় করতে এই দেহটাকে বইয়ে বেড়ানো।প্রবল আকোলতা বুঝা যায়
তার ভেজা চোখের কথায়।অগোছালো আবেগময় কথাগুলো বুঝিয়েদেয় শিকড়ের টান কত শক্তিশালী।একটা হৃদয় আছে বলেই হয়ত শিকড়ের সন্ধান তাকে তাড়া করে।
মাকে খুজার স্বপ্নে বিভোর এক সোহেল এখনো বেচে আছে একটি বিশ্বাস নিয়ে, সে মাকে পাবে।পুরো নাম সোহেল রানা,
বয়স যখন ৩ কি ৪ হবে তখন একজন পুত্র সন্তানহীন ব্যাক্তি তাকে কুড়িয়ে পেয়েছিল ঢাকার ডেমরা এলাকার একটি ময়লার স্তুপ থেকে।
জীবনযাপন চলছিল ভালই পালক বাবার কাছে।সাংসারীক জটিলতার কারনে একদিন তাকে ঘর ছাড়তে হয়।তার পর বিভিন্ন হোটেল,
আর গাড়ির হেল্পারের কাজ করে অন্য এক জীবনযাপন শুরু করে সোহেল রানা।হঠাৎ একটি সড়কদুর্ঘটনায় সে গুরুতর আহত হলে পালক
পিতাই তাকে সুস্থ্য করে তুলেন কিন্তু এবারো ঘটল বিপত্তি।পালক পিতার মেয়েরা বেশিদিন তাকে এখানে থাকতে দেয়নি।আবারো ঘর ছাড়তে হল রানাকে।
এখন সে রাস্তায় পপকর্ন বিক্রি করে।সন্ধ্যা নামলেই সে কাঁদে, নিজেকে নিয়ে ভাবলে ভিষন কাঁদে , নিজেকে খুব চিনতে ইচ্ছে করে তার।
পালক বাবার বাড়ির লোকজনের সাথে যোগাযোগ করতে চেষ্ঠা করা হয়েছে বহুবার কিন্তু কোন সহায়তা পাওয়া যায়নি।তার কান্না ঝড়া কন্ঠের অনুরোধ
"আমার ছবিটা পত্রিকায় দিয়েদেন, আমার ছবি ইন্টারনেটে দিয়ে দেন, তাইলে আমি আমার মাইরে পামু"।রানা কার কাছে যেন শোনেছে
ইন্টারনেটের কল্যানে আনেক আগে হাড়িয়ে যাওয়া একজন তার মায়ের কাছে ফিরেগেছে।তার সেই বিশ্বাসটাকে
মরতে দেয়া যাবেনা।তার দেয়া ছবিটা এখানে শেয়ার করলাম যদি রানা'র স্বপ্ন সত্তি হয়, যদি সে ঘরে ফিরে যেতে পারে সে আশায়।
ছেলেটির সাথে আরো তথ্যের জন্য সরাসরি কথা বলতে পারেন এই নাম্বারে ০১৯৩৬ ৫৭৫০২৭
এরকম হাজারো সোহেল রানার গল্প আমাদের জানা আছে কিন্তু আশোন একজন সোহেল রানার ভেতরের গল্পটা শোনি আমাদের ভেতরের অনুভুতি দিয়ে।
সহায়তার হাত বড়িয়ে দিই অথবা শান্তনার বানিতে তাকে বেচে থাকার স্বপ্ন দেখাই।


অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




