
মাসে একবার বেড়াতে যাই শ্বশুরের বাসায়। আমার কর্মক্ষেত্র থেকে খানিকটা দুরে। আমার গাড়িটা লক্কর ঝক্কর হয়ে গেছে আর চালাইনা। মাসের কোন এক বৃহষ্পতিবার জব শেষ করে চলে যাই, শুক্র বা শনিবার ভোরে চলে আসি। গত বৃহষ্পতিবারও গেলাম। যাবার সময় কলিগ এর সাথে গেলাম, পথে নামিয়ে দিল, দুজনের পথ যতটুকু অভিন্ন ছিল ততটুকে সাথে গেলাম, পরে নামিয়ে দিল, আমি হাঁটতে লাগলাম একটা জুতসই জায়গায় গিয়ে গাড়ি ধরার জন্য। ওভার ব্রিজের নিচ দিয়ে হাঁটছি। পাশ দিয়ে গাড়ি যাচ্ছে শা শা করে।
এক সওদি গাড়ি থামিয়ে বলল উঠ। উঠলাম। বলল কই যাবা? বললাম জায়গার নাম। আমি ভাবলাম ভাড়া মারবে কিন্তু না। সে বলল আমি সোজা যাব, যতটুকু তোমার পথ ততটুকু চল। ঠিক আছে বললাম। সে বলল হাটছ কেন এখানে? বললাম কলিগ নামিয়ে দিয়েছে, টেক্সি নেব তায়। সেও পথে নামিয়ে দিল। টুকটাক কথা হল।
আরবদের এই অভ্যাসটা আছে, কেউ বিপদে আছে দেখলে এগিয়ে আসে, বিশেষ করে পথে। আমার হাঁটার স্টাইল দেখে সে ধারণা করেছে হয়তো কোন বিপদে আছে। আরবনা তাদের ঘরের বাউন্ডারী ওয়ালের সাথে ঠান্ডা পানির ব্যাবস্থা করে রাখে, যাতে করে পথিক এর পিপাসা পেলে পান করতে পারে। আমি কাতারে থাকা কালিন একবার গাড়ি হিট হয়ে সাইড করে দাঁড়িয়ে ছিলাম, এক আরব গাড়ি থামিয়ে আমাকে এক কেইস পানি দিয়ে কিছু না বলে চলে গেল, সে বুঝতে পেরেছে আমার এখন এটাই লাগবে।
মাস ছয় আগে একই পথে আমার গাড়ি হিট হয়ে গিয়েছিল, আমি রাতের বেলায় ঘাবড়ে গেলাম, এখন কী হবে? গেরেজ পর্যন্ত যেতে পারলে একটা উপায় করা যাবে। এক আরব (সে সওদি ছিলনা অন্য আরব, কালো বর্ণের ছিল) গাড়ি থামিয়ে আমার গাড়ি চেক করে, ওর গাড়ি থেকে পানি এনে গেরেজ পর্যন্ত যাবার ব্যাবস্থা করে দিয়েছিল। সেদিন খুব ভাল লেগেছিল ওনার ব্যাবহারটা।
ছবিতে এক আরব মহিলা, একটু আগে পরিচয় হল গুগলে সার্চ করতে গিয়ে। আমাকে সে চিনেনা, আমিও তাকে। আরব মহিলারা আবায়া বা বোরকার সাথে এমন শৈল্পিক উপায়ে মুখ ঢেকে রাখে। আমাদের প্রধানমন্ত্রী উমরা হজ্জ পালন করতে আসছে, ওনিও আবায়া বা বোরকা পড়েছে, ওনাকে কেউ একজন এমনভাবে সাজিয়ে দিলে মন্দ হয়না, দেখতে ভাল লাগবে।
সর্বশেষ এডিট : ০৬ ই নভেম্বর, ২০২৩ সকাল ১০:৩৭

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



