somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

চিড়িয়াখানা (অণুগল্প)

০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৩ সকাল ১১:৫৮
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


গাড়িতে উঠার আগেই আমার একটু সন্দেহ হয়েছিল। এই প্রথম ঢাকা শহর এলাম, চেনাজানা পরিচিত কেউ নেই। একটা বিশেষ কাজে এসেছিলাম রাতের ট্রেনে ফিরে যাব। পুরোটা দিন কী করা যায় ভাবতে ভাবতে ভাবলাম চিডিয়াখানা ঘুরে আসি। দেখাও হল সময়ও পার হল। গাড়িতে উঠে কেমন যেন অস্বস্থি লাগছে। ড্রাইভারকে সুবিধার মনে হচ্ছেনা। সারাক্ষণ মোবাইলে কথা বলছে। বারবার মনে হচ্ছে মাঝপথে দুইপাশে দুই প্যাসেঞ্জার তুলে আমার কাছে যা আছে সব ছিনিয়ে নেবে। নিউজ পত্রিকায় এমন ঘটনা প্রায়ই দেখি, ঢাকাতে খুব বেশী হয়, বিশেষ করে সিএনজি অটো রিকশায়।

ভয় কাটানোর জন্য ড্রাইভার এর সাথে আলাপ জুড়ে দিলাম। ভাই আপনার নাম কী? বাড়ি কোথায়? ইত্যাদি। সেও প্রশ্নের জবাব দিচ্ছে কিন্তু মন থেকে বলছে সেটা বুঝা যাচ্ছেনা। প্রশ্ন করলে জবাব দিচ্ছে এবং সেটা কেমন যেন মন ভারভার ভাব নিয়ে। কথা বলে জানা গেল গ্রামে তার মুদি দোকান ছিল এবং বেশ ভালই চলছিল। দুই মেয়ে। বড়জন চতুর্থ শ্রেণীতে পড়ে আর ছোটজন মাত্র নয় মাস।

গুণেগুণে সাতটা বছর পার হল সে ঘরছাড়া। রাজনীতি করত। প্রতিপক্ষ দল এখন ক্ষমতায়। তার নিজের দোকানটা ভেঙ্গে দেবার পর পরিবারও পাঠিয়ে দিয়েছিল শ্বশুর বাড়িতে। এখনো সেখানে আছে। মাসে একবার গিয়ে দেখা করে আসে। নিজের এলাকায় যাওয়া নিশেধ। কালভদ্রে কোন কাজে গেলেও চুপিসারে চলে আসে। ঢাকায় এসে প্রথমে রিকশা চালিয়েছিল, পরে সিএনজি অটোরিকশা চালনা শিখে। ভেবেছিল এবারের নির্বাচনের আগে ফিরে যাবে ঘরে, কিন্তু মনে হয়না যাওয়া সম্ভব হবে, পরিস্থিতি সুবিধার নয়।

কথাগুলো শুনছিলাম মন দিয়ে, আবার কল আসল তার মোবাইলে। ওকে ওকে জি জি টাইপ কিছু কথাবার্তা। তারপর গাড়ি সাইড করল। আমাকে বলল ভাই নামেন চলে আসছি। তায় নাকি বলে আমিও নেমে ভাড়া দিতে যাব এমন সময় ওনি বলে উঠলেন, না ভাড়া লাগবেনা। আপনার সাথে কথা বলে ভাল লেগেছে, ভাড়া নেবনা। কিন্তু চিড়িয়াখান দেখছিনা, কোথায় জিজ্ঞেস করতেই বলল রাস্তার ওপারে। সে চলে গেল কিন্তু আমি পড়লাম এক ঘোরের মধ্যে। জায়গাটা কেমন চেনাচেনা মনে হচ্ছে। রাস্তার ওপারে তাকাতেই দেখি সংসদ ভবন। তাইতো, ভাবছি চেনাচেনা লাগছে কেন! টিভিতে কতোবার দেখা হয়েছে জায়গাটা।

রাস্তা পার হতেহতে ভাবছি, সে কেন এখানে নামিয়ে দিল! ভাড়াও নিলনা। আমিতো যেতে চেয়েছি চিড়িয়াখানা, সে কেন আমাকে সংসদ ভবন এলাকায় নামিয়ে দিল.....


(অণুগল্প লেখার চেষ্টা কিন্তু হয়ে উঠেনি)
সর্বশেষ এডিট : ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৩ সকাল ১১:৫৯
১২টি মন্তব্য ১২টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

শোকের উচ্চারণ।

লিখেছেন মনিরা সুলতানা, ২৬ শে জুলাই, ২০২৪ সকাল ১০:১৬

নিত্যদিনের জেগে উঠা ঢাকা - সমস্তরাত ভারী যানবাহন টানা কিছুটা ক্লান্ত রাজপথ, ফজরের আজান, বসবাস অযোগ্য শহরের তকমা পাওয়া প্রতিদিনের ভোর। এই শ্রাবণেও ময়লা ভেপে উঠা দুর্গন্ধ নিয়ে জেগে... ...বাকিটুকু পড়ুন

যা হচ্ছে বা হলো তা কি উপকারে লাগলো?

লিখেছেন রানার ব্লগ, ২৬ শে জুলাই, ২০২৪ দুপুর ১:২৮

৫ হাজার মৃত্যু গুজব ছড়াচ্ছে কারা?

মানুষ মারা গিয়েছে বলা ভুল হবে হত্যা করা হয়েছে। করলো কারা? দেশে এখন দুই পক্ষ! একে অপর কে দোষ দিচ্ছে! কিন্তু... ...বাকিটুকু পড়ুন

আন্দোলনের নামে উগ্রতা কাম্য নয় | সন্ত্রাস ও নৈরাজ্যবাদকে না বলুন

লিখেছেন জ্যাক স্মিথ, ২৬ শে জুলাই, ২০২৪ বিকাল ৫:২৭



প্রথমেই বলে নেয়া প্রয়োজন "বাংলাদেশকে ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করার সমস্ত অপচেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে" ধীরে ধীরে দেশে স্বাভাবিক অবস্থা ফিরে আসছে। ছাত্রদের কোটা আন্দোলনের উপর ভর করে বা ছাত্রদের... ...বাকিটুকু পড়ুন

কোন প্রশ্নের কি উত্তর? আপনাদের মতামত।

লিখেছেন নয়া পাঠক, ২৬ শে জুলাই, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:১৬

এখানে মাত্র ৫টি প্রশ্ন রয়েছে আপনাদের নিকট। আপনারা মানে যত মুক্তিযোদ্ধা বা অতিজ্ঞানী, অতিবুদ্ধিমান ব্লগার রয়েছেন এই ব্লগে প্রশ্নটা তাদের নিকট-ই, যদি তারা এর উত্তর না দিতে পারেন, তবে সাধারণ... ...বাকিটুকু পড়ুন

চাকুরী সৃষ্টির ব্যাপারে আমাদের সরকার-প্রধানরা শুরু থেকেই অজ্ঞ ছিলেন

লিখেছেন সোনাগাজী, ২৬ শে জুলাই, ২০২৪ রাত ৯:০৭



আমার বাবা চাষী ছিলেন; তখন(১৯৫৭-১৯৬৪ সাল ) চাষ করা খুবই কষ্টকর পেশা ছিলো; আমাদের এলাকাটি চট্টগ্রাম অন্চলের মাঝে মোটামুটি একটু নীচু এলাকা, বর্ষায় পানি জমে থাকতো... ...বাকিটুকু পড়ুন

×