
ছবিটা একেছে আমার ভাগনি, নাম উনাইসা। আমার বড় মেয়ে উমামা এর চাইতে কয়েক মাসের বড় হবে। ক্লাস নাইনে পড়ে। ওর আম্মু আমার বোনটা তখন জাপানে। উনাইসার আব্বু পিএইচডি (মাইক্রো বায়োলজি) করার জন্য জাপান গেছিলেন এবং পরে সবাইকে নিয়ে যায়। সেখানে আমার বোনের লিভারে সমস্যা দেখা দেয়, পরে জানতে পারে লিভার মোটামুটি ডেমেজ, রিপ্লেস করতে হবে।
উনাইসারা দুই বোন, ছোটটা মাহাদিয়া। তারা যেহেতু চলে আসবে আর সেখানে স্কুলে ভর্তি হয়নি, ঘরেই পড়ত বোনের কাছে। আর ইউটিউব দেখে দেখে ছবি আঁকা শিখতে থাকল। সেখানে কেউ হয়তো উৎসাহ বা সাহায্য করে থাকতে পারে। এখন অনেক ভাল ছবি আঁকে।
এদিকে আমার বোনটা সংকটাপন্ন। উনাইসার আব্বুকে তার টিচার বলে দিয়েছে তুমি যদি ক্লাস ফাঁকি দাও তাহলে পিএইচডি আর করা লাগবেনা, আমার আন্ডারে রাখবনা। অনেক টাকার ব্যাপার সেপার চিকিংসা বাবদে। আল্লাহর রহমতে অনেকেই এগিয়ে আসল বাংলাদেশী সহ বিদেশের অনেক কমিউনিটি পর্যন্ত তাদের সাধ্যমত সময় ও আর্থিক বিভিন্নভাবে সহায়তায় এগিয়ে আসল।
এখন লিভার কোথায় পাবে? বড় আপা এগ্রি হল কিন্তু তার সাথে ব্লাড গ্রুপ মেলেনা। ওর পিঠাপিঠি সবার ছোট বোনটা এগিয়ে আসল সে দেবে। সে থাকে ডেনমার্কে। বড় ছেলের একটু মানসিক সমস্যা এবং ট্রিটম্যান্ড চলে, ছোট মেয়ে এবং দুধের বাচ্চা সবার ছোটটা। তাকেও ফেলে চলে আসল বাংলাদেশ। পাসপোর্টেস সমস্যা ছিল সেটা সেরে জাপানের ভিসা নিয়ে চলে গেল জাপান। তার থেকে কিছুটা লিভার কেটে বোনকে দেয়া হল। সেখান থেকে আবার চলে গেল ডেনমার্ক।
উনাইসারাও পরে চলে আসল দেশে। লেখাপড়ার পাশাপাশি ছবি আঁকে সে। আজকে একটা শেয়ার করলাম। সামনে হয়তো আরো কিছু দিয়ে একটা পোষ্ট দেব।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।

