
সম্ববত সদ্য বিবাহিতা সুন্দরি মহিলা রিকশাওয়াকে রিকোয়েষ্ট করেছিল এইতো দুকদম পথ, উল্টোপথে নামিয়ে দিয়ে আসতে। রিকশা ড্রাইভারের কী আর সাধ্য আছে না বলার!
কিন্তু পথরোধ। রিকশা থামিয়ে দিল ছেলেরা। তাদেরকে বিভ্রান্ত করা যায়নি সুন্দর আর কোমলতা দিয়ে। রিকশা ড্রাইভারকে বলেছে যাওয়া যাবেনা, সঠিক পথ ধরে ঘুরে আসুন। মহিলা ইঙ্গিত দিল এইতো ওখানে কলোনীর গেইট, ঢুকে যাবে। চট্টগ্রাম ইপিজেড থেকে নেভী কলোনীর দুরত্ব আর কতইবা হবে! ছেলেরা সিদ্ধান্তে অটল। আমি বাসের জানলা দিয়ে দেখছিলাম দৃশ্যগুলো। আর হিসাব মেলাতে পারছিলামনা। ছেলেদের গাইড করছে কে? উত্তর পাইনি আদৌ।
বলছিলাম জুলাই বিপ্লব এর স্কুল পড়ুয়াদের কথা। দেশে থানা পুলিশ নেই, ট্রাফিক পুলিশ না থাকাতে রাস্তা অচল হবার যোগাড়। স্কুল/কলেজ পড়ুয়া ছাত্র-ছাত্রীরা নেমে পড়র রাস্তায়। তারা ট্রাফিক কন্ট্রোল এর কাজটা কাঁধে নিয়ে নিল, প্রথম দুই একদিন কাজটা বুঝতে সময় নিয়েছে তায় প্রচুর জ্যাম হয়ে হল, পরে ধীরে সহনিয় হতে থাকল। তারা পালা করে ডিউটি দিতে থাকল, রাত ১০টা পর্যন্ত তারা রাস্তায়, ছেলেমেয়ে ভেদাভেদ নেই। মাঝেমাঝে পাওরুটি কলা পানি সরবরাহ করা হচ্ছে কিন্তু কারা করছে তাও জানিনা।
মনে প্রশ্ন জাগল এমন শৃঙ্খলা কে শেখালে তাদের? এমন দেশপ্রেম কোথা থেকে আসল? টিকটক প্রজন্ম বলে আমরা যাদের ফার্মের মুরগী বলে ঠাট্টা করতাম তারা পুরো বিশ্বকে দেখিয়ে দিল অস্ত্র ছাড়া একটা লাঠি হতে কী করে একটা মাফিয়া স্বৈরাচার তাড়ানো যায়। তারপর কী করে দেশ গঠনে এগিয়ে আসা যায়।
ছাত্ররা গ্রাফিতিতে ভরে দিল পুরো শহর। যে যার মতো করে আঁকছে আর লিখছে। দেয়ালে দেয়ালে দেশপ্রেম, ঘৃণার জোয়ার। আঁকা সুন্দর হচ্ছেনা, লিখা সুন্দর হচ্ছেনা কিছুই যায় আসেনা, মনের ভাব উগরে দেবার সময় তখন।
আজকে হিসাব মিলাই................ কোথায় গেল সেই শৃঙ্খলা? বিপ্লব বা অভ্যুথান হাতছাড়া হবার পথে!! স্কুলের ছাত্ররা ঘরে ফিরে গেল কিন্তু কলেজ ভার্সিটিররা এখনো রাজপথে। তাদের গাইড করা গেলনা, এগিয়ে আসলনা বড় দলগুলো। পুরোনা শক্তি পদেপদে পদ বাগিয়ে আর স্বপদে বহাল থেকে ঘূর্ণিপাকে দেশ।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।

