রক্তের বিনিময়ে আমাদের পূর্বসূরীদের রেখে যাওয়া অর্জন “বাংলা” ভাষা এই একবিংশ শতাব্দীতে এসে হয়ে গেছে “আধুনিক- ব্যাংলিশ” ভাষা।
রক্তের বিনিময়ে অর্জন করার জন্য আমাদের ভাষা দিবস পেয়েছে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষার মর্যাদা আর ভাষা দিবস একুশে ফেব্রুয়ারী স্বীকৃত হয়েছে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের মর্যাদা।
কিন্তু আমরা আধুনিক বাংলাদেশী বাঙালীরা ফেব্রুয়ারী মাস চলে গেলেই ভুলে যাই আমাদের মাতৃভাষা বাংলায় কথা বলা। অত্যাধুনিক ব্যাংলিশ হয়ে ওঠে আমাদের আধুনিক ভাষা।
এমনকি আধুনিক ভাষা শিক্ষার নামে, সহজ ইংরেজী শেখার নামে অনেকে এই ব্যাংলিশ ব্যবহার করছে।
তবে, আমরা একটু চেষ্টা করলেই সারা বছর বাংলায় কথা বলার চর্চা করতে পারি।
* ফেব্রুয়ারী মাস ভাষার মাস। এই মাসের মর্যাদা রক্ষার জন্য ফেব্রুয়ারীর আগের জানুয়ারী ও ফেব্রুয়ারী এই মাস বাংলায় কথা বলতে পারি।
* মার্চ মাসে আমাদের স্বাধীনতা দিবস। মার্চ মাসের মর্যাদা রক্ষার জন্য মার্চ ও এপ্রিল এই দুই মাস বাংলা ভাষার চর্চা করতে পারি।
* মে মাসে শ্রমিক দিবস। বাংলা ভাষার উৎকর্ষতার জন্য জন্য যারা নিরন্তর শ্রম দিয়ে যাচ্ছেন, তাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে মে মাস এবং জুন মাসে বাংলায় কথা বলার চর্চা করা যেতে পারে।
* আগস্ট মাস আমাদের জাতির জীবনে শোকের মাস। শোকের মাসের স্মরণে আগে জুলাই, মাঝে আগস্ট ও পরে সেপ্টেম্বর এই তিন মাস বাংলা ভাষার চর্চা চালিয়ে যাওয়া আমাদের একান্ত কর্তব্য।
* নভেম্বরে জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবসে (যদিও কিছুটা বিতর্কিত) দিবসের প্রতি সংহতি জানিয়ে এবং বিপ্লবীদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে অক্টোবর ও নভেম্বরে বাংলা ভাষার চর্চা চালিয়ে নেয়া যেতে পারে।
* আর ডিসেম্বর... আমাদের মহান বিজয় দিবসের আনন্দে বাংলা ভাষার চর্চা যদি না করি তাহলে জাতি হিসেবে আমাদের কোন মর্যাদাই নেই।
এভাবে আমরা সারা বছর বাংলা বলার চর্চা চালিয়ে নিয়ে ব্যাংলিশ ছেড়ে বাংলায় কথা বলতে পারি।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




