সেই সংবাদ উপস্হাপক নিজে আইনের ছাত্র বা আইনজীবী নন। তার স্বামী কিংবা পিতা কালো গাউনের বাসিন্দা। এজন্য তিনি জানেন হাইকোর্টে আপীল করা যায়, কিন্তু হাইকোর্টের কোন আপীল বিভাগ নেই। ফলে, আইন সাংবাদিকতার ছোট্ট অথচ গুরুতর একটি ভুল তার নজড় এড়ায়নি।
যাহোক, সেই সংবাদ উপস্হাপক হয়তো আরো জানেন যে, বাংলাদেশ সংবিধানের ৯৪ থেকে ১১৭ পর্যন্ত অনুচ্ছেদে বিচার বিভাগ সম্পর্কে বলা আছে। সংবিধান অনুযায়ী, সুপ্রিম কোর্ট, বিভিন্ন ট্রাইব্যুনাল, সকল অধস্তন আদালত ও প্রশাসনিক ট্রাইব্যুনাল নিয়ে বাংলাদেশের বিচার বিভাগ গঠিত।
বাংলাদেশের সুপ্রিম কোর্ট হলো বাংলাদেশের সবোর্চ্চ আপীল আদালত। দেশের সকল আদালত ও ট্রাইব্যুনালসমূহকে সুপ্রীম কোর্টের অধীনে থেকে বিচার কাজ করতে হয়। সুপ্রীম কোর্টের দুটি বিভাগ। এক, আপীল বিভাগ। দুই. হাইকোর্ট। কাজেই একই ভবনে অবস্হিত হওয়ায়, কোনটি সুপ্রিম কোর্ট ও কোনটি হাইকোর্ট এ নিয়ে কেউ প্রশ্ন তুললে, বুঝতে হবে প্রশ্ন-কর্তার মনে খানিকটা খুঁনসুঁটি করার মতলব আছে।
সংবিধান, সাংবিধানিক আইন ও রাজনীতি: বাংলাদেশ প্রসঙ্গ বইয়ে ব্যারিস্টার আব্দুল হালিম বলেছেন,
সংবিধান নিজেই একটি স্বাধীন ও নিরপেক্ষ বিচার বিভাগের বিধান করে এবং আইন বিভাগ ও শাসন বিভাগের কাজের বৈধতা যাচাইয়ের কর্তৃত্ব এই বিচার বিভাগের ওপর ন্যস্ত করে। কেউ যেন সাংবিধানিক সীমাবদ্ধতার লংঘন না করতে পারে তার জন্য ক্ষমতা দেয়া হয় বিচার বিভাগকে। এ কারণেই লিখিত সংবিধানের ক্ষেত্রে বিচার বিভাগকে সংবিধানের অভিভাবক বলা হয়।
সুতরাং এমন একটি প্রতিষ্টান এবং এর কর্মকান্ডের বিষয়ে জনতার আগ্রহ থাকবে এটাই স্বাভাবিক। ফলে, এই প্রতিষ্টান থেকে অনেক সংবাদ আসবে, এটা ধরেই নেয়া যায়।
দুই.
আমরা, মানে দেশের জনগণ, যে সংবিধান গ্রহণ করেছি, তা আমাদের অনেক অধিকার দিয়েছে। যে সব আইনে নিজেদের বেঁধে, আমরা সমাজ গড়েছি তা সুযোগ দেয় আক্রান্ত না হবার। তারপরও সংঘাত হয়, অধিকার নিয়ে ছিনিমিনি হয়, তা ছিনিয়েও নেয়া হয়। প্রতিকার পেতেই জনতা আসেন আদালতে। ফলে, অধিকার ফিরে পাবার কথাটি শুনে নিজের নিরাপত্তাবোধকে সন্তুষ্ট করতে, দু’কান সজাগ থাকে জনতার। সেই প্রয়োজনীয় কথাটি জনতার সজাগ কানে তুলে দেয়া নিশ্চয়ই গণমাধ্যমের দায়িত্ব।
সমাজের দুষ্টক্ষত, সামাজিক অসঙ্গতি নাড়িয়ে দেয় সমাজবদ্ধ মানুষের বিবেক, এটি নতুন কোন কথা নয়। এ ধরণের ঘটনার বিচার দিনের পর দিন চলতে থাকলেও, শেষ পর্যন্ত কি হলো, তা জানতে চায় মানুষ। রাষ্ট্রদ্রোহিতা হলো কীনা, সে ক্ষেত্রে কী সাজা হলো তার সংবাদমূল্যও অনেক।
রাজনৈতিক নেতৃত্ব একটি সমাজের তারকা। তাঁদেরকে সবাই চেনেন, তাঁদের পছন্দ-অপছন্দও জানতে চায় মানুষ। তাঁরা মামলায় জড়িয়ে পড়লে, সাংবাদিকদের কাজ বাড়ে।
সংবিধান সমুন্নত রাখতে কী পদক্ষেপ নিলেন মাননীয় বিচারপতিরা, জনস্বার্থে কী নির্দেশনা আসলো বেঞ্চ থেকে- এ সবই একজন আইন-আদালত প্রতিবেদকের কাছে গুরুত্বপূর্ন তথ্য। এসব তথ্যের গভীরেই লুকিয়ে থাকে দিনের সবচেয়ে বড় সংবাদ।
এছাড়া দেশের সঙ্কটে আইনী ব্যাখ্যা দিতে, সঙ্কট মোচনে আইনজীবীদের সাক্ষাৎকার ভিত্তিক প্রতিবেদনও আদালত সাংবাদিকতার একটি অংশ। এককথায় বলা যায়, আদালতের রায়, আদেশ, নির্দেশনা, রুল, জামিন দেয়া না দেয়া, জনস্বার্থে রিট-এসবই এখন উচ্চ আদালত থেকে সংবাদ হয়ে আসে। এছাড়াও বিচারক নিয়োগ বা আইন সংশ্লিষ্ট কোন ঘটনায় সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির অবস্হান, কিংবা আওয়ামী লীগ ও বিএনপি সমর্থিত আইনজীবীদের নানা কর্মসূচির সংবাদও নিয়ে আসেন উচ্চ আদালত প্রতিবেদকরা।
তিন.
বাংলাদেশেই এমন একটি সময় ছিলো, যখন আইনজীবীরাই কোন পত্রিকার আদালত প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করতেন। বড় কোন মামলা জেতার পর সন্ধ্যায় সেই প্রতিনিধি বা সংশ্লিস্ট আইনজীবী প্রেস বিজ্ঞপ্তি লিখে পাঠিয়ে দিতেন পত্রিকা বরাবরে। সেই লেখাই সংবাদ বয়ে আনতো আদালত থেকে। সে দিন বদলে গেছে। এখন বিভিন্ন গণমাধ্যমের জাঁদরেল সাংবাদিকরা উচ্চ আদালতে যান সংবাদ সংগ্রহ করতে।
প্রতিদিন গড়ে অন্তত একুশটি বাংলা সংবাদপত্র ও চারটি ইংরেজি দৈনিকের সাংবাদিকরা উচ্চ আদালতে যান সংবাদ সংগ্রহ করতে। প্রতিদিন আদালতে না গেলেও বড় কোন ঘটনার সংবাদ সংগ্রহ করতে উচ্চ আদালতে তাদের স্টাফ বা সিনিয়র রিপোর্টারদের সঙ্গে যোগ দেন দুটি প্রথম সারির ইংরেজী দৈনিকের চিফ রিপোর্টার ও বিশেষ প্রতিনিধি অপর একটি বাংলা দৈনিকের সহযোগি সম্পাদক। বেশ কয়েকটি পত্রিকায় একাধিক সাংবাদিক এই বিটে কাজ করেন। একটি দৈনিক পত্রিকায় তিনজন সাংবাদিকের সমন্বয়ে একটি ডেস্ক রয়েছে উচ্চ আদালতের সংবাদ সংগ্রহ করতে। তা সমন্বয় করতে বিট(সাংবাদিকদের সংবাদ সংগ্রহের দায়িত্বের খাত ) প্রধানকে চিফ রিপোর্টারের মর্যাদাও দেয়া হয়।
সরকারি বার্তা সংস্হাসহ পাঁচটি বার্তাসংস্হা/অনলাইন পত্রিকার সাংবাদিকরা প্রতিদিন সকালেই আদালতে চলে যান সংবাদ সংগ্রহ করতে। যখন সংবাদ হাতে এলো তখনই প্রকাশ, এই ভিত্তিতে তাদেরকে সংবাদ সংগ্রহ ও পরিবেশন করতে হয়। তাদের সঙ্গে অবশ্য পাল্লা দিতে হয় টেলিভিশনের সাংবাদিকদেরও। তারাও টিকার দিয়ে দর্শক ধরে রাখেন।
এছাড়াও দেশের গুরুত্বপূর্ন দৈনিক পত্রিকাগুলো অন লাইন ভার্সনে তাৎক্ষনিক সংবাদ দেয় বলে প্রতিযোগিতায় থাকেন পত্রিকার সাংবাদিকরাও। কোন কোন পত্রিকায় ৫০ থেকে ১০০ টাকা দেয়া হয় অনলাইনে প্রকাশিত প্রতিটি সংবাদের জন্য। এটি বেতনের বাইরে এক ধরনের প্রণোদনা হিসেবে কাজ করে দৈনিকের সাংবাদিকদের জন্য।
চারটি বেসরকারি রেডিওর সাংবাদিক ছাড়াও, দশটি বেসরকারি স্যটেলাইট চ্যানেলের ও একটি টিভি এজেন্সির সাংবাদিক প্রায় প্রতিদিনই সুপ্রিম কোর্টে যান সংবাদ ও ফুটেজ সংগ্রহ করতে। টেলিভিশনের অন্তত ৫ জন বিশেষ প্রতিনিধি এই বিটে দায়িত্ব পালন করেন। এছাড়াও একটি চ্যানেলের চিফ রিপোর্টার বিশেষ বিশেষ ঘটনায় সংবাদ সংগ্রহ করতে যোগ দেন তার অন্য সাংবাদিক বন্ধুদের সঙ্গে। অবশ্য, বিশেষ বিশেষ মামলার সংবাদ সংগ্রহ করতে বিবিসির সাংবাদিকরা উচ্চ আদালতে আসলেও মামলার গতি প্রকৃতির খোঁজ খবর তাঁরা সব সময়ই রাখেন। বাংলাদেশ টেলিভিশন অনিয়মিত হলেও আদালতে তাদেরও উপস্হিতি থাকে।
এতো সাংবাদিক তৎপর থাকলেও উচ্চ আদালতের সংবাদের প্রধান উৎস মামলার সংশ্লিষ্ট আইনজীবী। একটি মামলা বিষয়ে আইনজীবীর ব্রিফিং থেকেই সংবাদ খুঁজে নিতে হয়। এ ক্ষেত্রে সাংবাদিকরা দু’পক্ষের দু’জন আইনজীবীর সাক্ষাৎকার নিয়ে প্রতিবেদন তৈরী করেন। কখনোই কোন মামলার বিষয়ে মাননীয় বিচারপতিদের সঙ্গে যোগাযোগ বা সাক্ষাৎকার গ্রহনের সুযোগ নেই তাদের। অন্যান্য সরকারি অফিসে যেমন তথ্য কর্মকর্তা বা পিআরও থাকেন, তেমনটিও নেই আদালতে বিশেষ করে মাননীয় বিচারপতিদের জন্যে। ফলে, স্বত: প্রণোদিত হয়ে আদালত কোন আদেশ বা নির্দেশনা দিলে, তার সংবাদ টেলিভিশনের দর্শকদের জন্য সংগ্রহ করতে, সাংবাদিকদের ভরসা করতে হয় অ্যাটর্নি জেনারেলের ওপর। তিনি আদালতের হয়ে একটি ব্রিফিং করেন সাংবাদিকদের অনুরোধে।
এক্ষেত্রে অবশ্য সুবিধাজনক অবস্হানে আছেন এজেন্সি ও পত্রিকার সাংবাদিকরা। তারা মামলার কাগজপত্র সংগ্রহ করে, প্রতিবেদন তৈরী করতে পারেন। কিন্তু রেডিও বা টেলিভিশনে ভালোভাবে সংবাদ প্রচার করতে একটি সাক্ষাৎকারের প্রয়োজন হয়। তবে সব মাধ্যমের সাংবাদিকদেরই মামলার কাগজপত্র সংগ্রহ করতে হয় সংশ্লিষ্ট আইনজীবীদের কাছ থেকে ব্যক্তিগত সম্পর্কের সুবাদে।
একসময় আইনজীবীদের ভীড়ে আদালত কক্ষে সাংবাদিকদের কোনঠাসা হয়ে দাঁড়িয়ে থাকতে হতো। তারপরও দাঁড়িয়ে থেকে অনেক সিনিয়র সাংবাদিক সংবাদের প্রয়োজনীয় তথ্য টুকে নিতেন মাননীয় বিচারপতিদের কথা থেকে। এখন অবশ্য সেরকমটি আর নেই। আদালতে সাংবাদিকরা পেছনের সারিতে বসে যুক্তি তর্ক শুনে, প্রতিবেদন তৈরীর সুযোগ পান। বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার শুনানীর সময় অ্যাটর্নি জেনারেলের অফিস থেকে উদ্যোগ নিয়ে সাংবাদিকদের আদালত কক্ষে শুনানীর সময় বসার ব্যবস্হা করা হয়েছিলো।
আদালত কক্ষে উপস্হিত থেকে, মাননীয় বিচারপতিদের মুখ থেকে শুনে সংবাদ তৈরীর সুযোগ অবশ্য আছে। তবে সেখানে রেডিওর রেকডিং ডিভাইস ও টেলিভিশনের ক্যামেরা নেয়া নিষেধ। ক্যামেরা নেয়া যায় আদালতের সীমানার ভেতর, সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির কার্যালয়ে। ফলে, উচ্চ আদালত থেকে আসা কোন প্রতিবেদনে দর্শক শুধু আদালত ভবনের বাইরের ছবি দেখতে পান। অবশ্য বিচার চলাকালে আদালতের ভেতরে ক্যামেরা নিলে, বিচারকাজ ব্যহত হবে এ বিষয়ে কোন সন্দেহ নেই। তবে, ক্যামেরাম্যানকে বাইরে রেখে আদালতের ভেতরে অনায়াসেই ঢু মারতে পারতে পারেন টিভি রিপোর্টার।
আদালত কক্ষ থেকে সংবাদ সংগ্রহ করতে হলে একজন সাংবাদিককে ভালো দখল রাখতে হবে ইংরেজি ভাষায়। কারণ এখনো উচ্চ আদালতের সব কাজ ইংরেজিতে হয়েই থাকে। যুক্তি তর্ক উপস্হানের সময় আইনজীবী এবং মাননীয় বিচারপতিরা বাংলা ভাষা ব্যবহার করলেও মামলার নথি প্রস্তুত করতে হয় ইংরেজিতে। অবশ্য, সংখ্যায় হাতে গোনা হলেও বাংলায় রায় দেয়ার প্রচলন উচ্চ আদালতে আছে।
এমনও হয় একটি দিনে, একাধিক বেঞ্চে, সংবাদ হতে পারে এমন একাধিক মামলার শুনানী হয়। তখন ইচ্ছে ও সামর্থ্য থাকলেও একজন সাংবাদিকের পক্ষে আদালত কক্ষে অবস্হান করা সম্ভব হয়না। ফলে, আইনী বিতর্কের বিষয়টি প্রতিবেদনে উল্লেখ করার সুযোগ থাকলেও তা থেকে পাঠক বা দর্শকদের বঞ্চিত করতে হয়। এমনকী ব্রিফিং নেয়ার সময় অমনোযোগী হয়ে, রায়ের পরিবর্তে আদেশ লিখে বা উচ্চারণ করে আইনজীবীদের ভ্রু কুঞ্চিত করার সুযোগও করে দেন কেউ কেউ। তাই বলে, উচ্চ আদালত প্রতিবেদক হতে আইনজীবী হতে হবে বা আইনের ছাত্র হতে হবে- এমনটি নয়, তবে নিজের কাজের প্রতি ধারণা ও ভালোবাসা থাকলে, জয় করা যায় সবই ।
আশার কথা, ব্রিফিং নির্ভরতার বাইরেও আদালত থেকে নতুন মাত্রার প্রতিবেদন আসছে। মামলার রায়ের সংবাদ দেয়া ছাড়াও, রায়ের সত্যায়িত কপি হাতে পেয়ে, তা থেকে প্রতিবেদন করা হচ্ছে। এমনকী বিভিন্ন স্হান থেকে ওয়াসার পানি সংগ্রহ ও পরীক্ষা করে তার ফলাফল আদালতে জানানোর নিদের্শ দিলে তা যেমন সংবাদ হয়েছে তেমনি পরীক্ষার প্রাপ্ত ফলাফলও নিয়েও জনস্বার্থে ভালো প্রতিবেদন হয়েছে।
চার.
উচ্চ আদালত প্রতিবেদকদের যে কয়েকটি বিষয়ে সতর্ক থাকতে হয় সব সময়, তার একটি আদালত অবমাননা। এ অপরটি সাবজুডিস বা বিচারাধীন বিষয়ে প্রতিবেদন তৈরী।
গণমাধ্যমের জনমত তৈরীর অসাধারণ ক্ষমতা রয়েছে। ফলে, বিচারধীন বিষয়ে প্রতিবেদন হলে কোন এক পক্ষে জনমত বা প্রভাব ইত্যাদি নানা বিষয় ঘটতে পারে। তাই বিচারক বা আইনজীবী, সবাই সাবজুডিস বিষয়ে প্রতিবেদন করা থেকে দূরে থাকার পরামর্শ দেন।
যা হোক, আগেই বলা হয়েছে, আইনজীবীদের ব্রিফিং উচ্চ আদালতে সংবাদের অন্যতম প্রধান উৎস। তাই সেখানে কর্মরত সাংবাদিকদের সম্পর্ক পেশাগত হাই-হ্যালোর চেয়ে আন্তরিক। ল রিপোর্টার্স ফোরাম নামে সেখানে কর্মরত সাংবাদিকদের একটি সংগঠন গড়ে ওঠেছে, যাদের একটি নিজস্ব কার্যালয় আছে। সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি থাকাকালে ব্যারিস্টার রোকন উদ্দিন মাহমুদ এটি বরাদ্দ করেছেন। নতুন ভবনের নিচতলায় ক্যান্টিনের পাশের রুমটি পেশাগত সম্পর্কের বাইরে, সেখানে কর্মরত সাংবাদিকদের মধ্যে বন্ধুত্বের সম্পর্ক গড়তে বেশ ভূমিকা রেখেছে। এর প্রমাণ সংগঠনটি তাদের সদস্যদের জন্য পারিবারিক বনভোজনের আয়োজন করেই দিয়েছে। প্রেস রিলিজ লিখে সেই কক্ষের টেবিলে রেখে দিলেই তা পৌঁছে যাচ্ছে গণমাধ্যমে, তাদের নিজস্ব সাংবাদিকদের হাত ধরে। তা ছাড়া, বড় কোন মামলার ব্রিফিং এর জন্য সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির মিলনায়তনও খুলে দেয়া হয়। ব্যবহার করা যায় এর সভাপতির কক্ষটিও ।
@ আনোয়ার সাদী । মিডিয়া ওয়াচে প্রকাশিত
সর্বশেষ এডিট : ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১০ রাত ১২:০৯

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




