চিকন মতো থুতনিতে তার কালো তিলক ছিলো , ছিলো হাল্কা বাদামী বর্ণের চোখ । সারারাত কার মনের সাধনায় রাত জাগে দু-চোখ , একমাত্র বোধহয় সে ই জানে । চোখের ঠিক নিচতায় কালো আঁধারে একদম ঢেকে গিয়েছে! মনের দরজা খোলা রেখেছে বটে, অজানাকে জানার বাসনায় কিছু আশাতীত কল্পনার ভিড়ে সে হয়তো হারায়নি নিজেকে , তবে যে একদম অলৌকিক কিছু ঘটেনি ওই চোখের সাথে, কে তা বলতে পারবে! আশা করতে দোষ নেই বটে, তাই আমি আশায় তাকিয়ে রই ওই চোখের ভীড়ে বারবার নিজেকে হারাতে ।
কে যেন বলেছিলো , নিচের ঠোঁট নাকি আঁকড়ে ধরে থাকতে নেই, এতে নাকি আকুলতা বাড়ে! সত্য না মিথ্যা , তা বলা ভার, তবে আকুলতা কিন্তু আমার বেড়েছে । প্রেমের আকুলতা কিংবা ভালোবাসার আকুলতা, কিছু অর্থহীন দামী শব্দ রঙিন আবেশ পাচ্ছে ওই দু'ঠোটের চাপে। দুই ঠোঁটের মাঝ বরাবর কলমের অনর্থক আকড়ে থাকা কিংবা বাম হাতের কনিষ্ঠ আঙ্গুলের বারবার অস্থির ব্যবহারের সাথে চুল সরানোর ভঙ্গিমাটা কিন্তু এককথায় দারুণ ছিলো । ঠিক মনে হচ্ছিলো যেন ভাবনার বাতাসে উড়ে এলোকেশী সব চিন্তাকে ভাবনায় রূপ দিয়েছে নিজের অগোচরেই আর উড়ে বেড়াচ্ছে সে নিজের মনের না বলা সব পঙক্তিমালার সাথে ।
আচ্ছা , তুমি কি দেখেছিলে আমাকে কখনো স্ব-জ্ঞানে কিংবা ভুলের বেশে? জানি না কিন্তু আমি একদমই! আর হ্যা, এটাও ঠিক যে আমাকে দেখলেই বা কি হতো! অচেনা এক মুসাফিরের গল্প জেনে ঠিক কোন কাজটা হবে , তা আমি নিজেও বলতে পারি না। ধুলোমাখা পথটা মাড়াতে চাইনি বলে এড়িয়ে গিয়েছি বার বার মেঠো পথ । কে জানতো সেদিন এমন কোনো এক শীতের সকালে এসে মনের দরজায় ঠিক এভাবে আলতো টোকা দিয়ে যাবে! আলতো সেই টোকায় হুড়মুড় করে ভেঙ্গে পড়বে সব প্রশিক্ষিত আবেগ!
আচ্ছা , একদিন বিদায় নেবো তোমার কাছ থেকে । কালো সেই তিলক কিংবা বাদামী শুষ্ক চোখ অথবা ঠোট জোড়ার নিত্য কপচানো থেকে বিদায় নেবো । হুট করে ঠিক মুসাফিরের বেশেই চলে যাবো তোমার আয়ত্বের ঠিক বহুটা বাইরে । ধরে রাখতে পারবে আমায়?? জানি, পারবে না তুমি কিংবা কেউই পারবে না ধরে রাখতে এই আমায় ...
সর্বশেষ এডিট : ১০ ই জানুয়ারি, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৩৬