চাঁপা রঙের সন্ধ্যা দেখেছ?
কবিতার শরীর থেকে ঝরে পড়া কুয়াশায়
পুরো প্রান্তর আক্রান্ত হলে
দেখেছ কি সন্ধ্যাদি’র চোখে জ্বলে ওঠা
বিজলির মত কুহকি আলো?
তার যত অভিমান, যত ভালবাসা
জমা ছিল রাত্রির কাছে-
রাত্রি তার বোন, বয়সে ছোট,
তবে গভীরতায় অতিদীর্ঘ, যেন
মহিঢালে বেঁধেছে ঘর অতিকায় তিমির মত
এক অন্ধকার;
তারে পেয়েছি স্বপ্ন-মন্থনে, সমুদ্রঘাণে
তারে দেখেছি ইনসমনিয়ায়
তারে বেসেছি ভালো
নক্ষত্র বাজি রেখে তার সাথে খেলেছি প্রবল জুয়া
তারে করেছি পান মুত্যুর আস্বাদে...
তারে রমনকালে দেখেছি পরিব্যপ্ত হতে
আকাশে আকাশে, নক্ষত্রে নক্ষত্রে।
শেষ করতে পারব না ব’লে
তার পাঠ চিরকাল অসমাপ্ত রেখেছি,
প্রতিবার ভোরের আগে।
এতসব বিসম্বাদের পরও
অনেক তৃষ্ণার মরু পার হয়ে, অনেক হ্রেষাধ্বনি
ক্ষুরাঘাত, ধুলোবালি, লহু-স্বেদ
আর ভেদজ্ঞানে বুঝেছি:
এ যাত্রায় সন্ধ্যাদি’ই ছিল একমাত্র যাচিত।