ছোট্ট একটা গল্প শুরু করতে যাচ্ছি । শুরুতেই গল্পের পাত্র পাত্রীদের সাথে একটু পরিচিত হয়ে নেওয়া যাক। গল্পের প্রধান চরিত্র সুমন । পেশায় একজন Software Developer. তার চরিত্র বিশ্লেষন করা হয়তো এই গল্পের মাধ্যমে সম্ভব হবে না । তবে গল্পের বিভিন্ন ধাপে আমি চেষ্ট করব তার সাথে পাঠকদের পরিচয় করিয়ে দিতে। গল্পের প্রধান নারী চরিত্র রাত্রি। পেশায় Student.
সুমন নিজেও জানে না যে সে কেন রাত্রির সাথে এই রকম এতটা অদ্ভুদ সম্পর্কে জড়িয়ে আছে। তবে এই কথাও চরম সত্য যে কোন বিশেষ Logic ছাড়া সুমন খুব কম কাজি করে। নিশ্চই রাত্রির সাথে তার অদ্ভুদ এই Relation পেছনেও বিশেষ কোন Logic আছে। অদ্ভুদ কথাটা এই কারনে বলল কারন সুমন রাত্রিকে Really ভালবাসে না। তবে তার আচার আচরন এবং কথা বার্তায় তা বুঝার কোন উপায় নেই।
তারা দুজনে দীর্ঘ দিন যাবৎ একে অন্যের সাথে কথা বলে আসছে।
এখন রাত ১০.৩০। আমি অফিস থেকে বাসার পথে ফিরছি। এই মূহূর্তে সাইন্স ল্যাবরেটরীর সামনে । বাসায় যেতে আরো মিনিমাম ১০-২০ মিনিট লাগবে। রাত্রিকে একটা কল দিলাম।
সুমনঃ হ্যালো ,হ্যালো !!! হ্যালো কী ব্যাপার কল ধরে কথা বল না কেন??
রাত্রিঃ আমি তো কথা বলছি কেন তুমি শুনতে পাচ্ছে না ?? ও আচ্ছা মনে হয় Network এ কোন problem ছিলো। এখন শোনা যাচ্ছে না ???
সুমনঃ হ্যা এখন শুনতে পাচ্ছি। তুমি কী করছো ???
রাত্রিঃ TV দেখি।
সুমনঃ পড়াশোনা বাদ দিয়ে শুধু TV দেখলেই হবে।
রাত্রিঃ আজ সারাদিন অনেক পড়ছি তো। পড়া শেষ করেই TV দেখতে বসছি। তা তোমার কী খবর ??
সুমনঃ তুমি তো আমার কোন খবরই রাখো না। আগে মাঝে মাঝে মিস কল টিস কল দিতা কিন্তু এখন তাও দেও না। তুমি আমাকে আগের মতো একুটুও মিস করো না।
রাত্রিঃ তুমি মিস কর ???
সুমনঃ আমি তো সারাক্ষনই তোমার কথাই ভাবি। জানি কথাটা বিশ্বাস করছো না কিন্তু এটা সত্য। মোবাইলে ব্যালেন্সের কারনে কল দিতে পারি না।
রাত্রিঃ সারাক্ষন ভাবো । হাহা....হা... এতো ভাইবো না পরে পাগল হয়ে পথে পথে ঘুড়তে হবে।
সুমনঃ আমি তো পাগলই । তোমার জন্য পাগল
রাত্রিঃ কী বলছ শুনি নাই আবার বল
সুমনঃ না শুনলে নাই । এক কথা বার বার বলতে ভালো লাগে না। আমার মনে হয় তোমার কানে কোন Problem আছে সময় থাকতে ডাক্তার দেখাও । সময় গেলে পরে সাধন হবে না।
রাত্রিঃ তুমি একাটা পাগল । তুমি ডাক্তার দেখাও ।
সুমনঃ কী বলছো আমিও শুনতে পাই নাই। ইদানিং কানে একটু কম শুনি। এর উপরে আবার রাস্তায় বাসের শব্দ । এই শব্দের মধ্যে তুমি যদি আমাকে I love you ও বল আমার মনে হয় না আমি শুনতে পারব। বলে দেখ শুনতে পাবো না।
রাত্রিঃ হাহাহাহা বলছি তো শুনতে পাইছো ??
সুমনঃ কী বলছ ??
রাত্রিঃ যা বলতে বলছো , তাই তো বলল কেন শুনো নাই ??
সুমনঃ প্লিজ জান আরেকবার বলো । আরেক বার বলে না আমাকেই ভালো বাসো কাহো না পেয়ার হ্যা ....
রাত্রিঃ তুমি কী জানো যে তুমি আসলেই একটা পাগল । তারাতারি ডাক্তার দেখাও নাহলে কিন্তু খবর আছে।
সুমনঃ আমি তো ট্রেটমেন্ট নিচ্ছেই ডাক্তার দেখানোর প্রয়োজন হবে না। তোমার সাথে কথা বলছি এতেই ইনশআল্লাহ রোগরে আরাগ্য হবে।
রাত্রিঃ হাহাহাহা.. এই শোন কাল না আমরা কাল Picnic এ যাচ্ছি।
সুমনঃ সাথে কে যাবে ??
রাত্রিঃ আমাদের স্কুল টিচারা থাকবে।
সুমনঃ আমাকে ফেলে একা একা যেতে তোমার একটুও খারাপ লাগবে না ??
রাত্রিঃ লাগবে সোনা । তুমি কিছু মনে করো না। তোমাকে নিয়ে আরেকদিন বের হবো। আমরা দুইজন শুধু আর কেউ না। অনেক মজা করব।
সুমনঃ ঠিক আছে জান। তাহলে তুমি Picnic থেকে আসো পরের দিন আমরা লিটনের ফ্লাটে যাই।
রাত্রিঃ কী !!! হা...হা হা...হা আচ্ছা ঠিক আছে যাবে । তবে আমার পরীক্ষাটা শেষ হওয়ার পরে।
সুমনঃ আমি মনে মনে ভাবছি ও কী বুঝে রাজি হলো, না কী না বুঝে। মনে মনে খুব মজা পাচ্ছি। জান লিটনের ফ্লাটে না আমরা অনেক মজা করব।
রাত্রিঃ ঠিক আছে।
রাত্রি ঠিক আছে বলার পর আমি আর কিছু বলার সুযোগ পেলাম না। মোবইলের ব্যালেন্স শেষ। এমন একটা Romantic Moment এ মোবাইল এর ব্যালেন্স শেষ!!! অফফ!! আমি এখন বাসার গেটের সামনে। মোবইলে ব্যালেন্স দিতে হলে আবার অনেক দুর যেতে হবে সো আজ আর কথা বলতে ইচ্ছে করছে না। কাল আবার কল দেব।
চলবে .....
সর্বশেষ এডিট : ২৫ শে জানুয়ারি, ২০১২ বিকাল ৩:৪২

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




