মুসলিম জাতির দিশারীগণ আজ হইতে অনেক আগেই আমাদের দুরাবস্থাকে অনুধাবন করিয়াছেন এবং নানাভাবে আমাদের সংশোধনের চেষ্টা করিয়াছেন কিন্তু (কবির ভাষায়)–
“চিকিৎসা যতই করা হইল রোগ ততই বাড়িয়া চলিল“
বর্তমান অবস্থা যখন অধিকতর শোচনীয় পর্যায়ে আসিয়া দাঁড়াইয়াছে এবং অতীতের তুলনায় ভবিষ্যত আরও বেশী বিপদজনক ও অন্ধকারময় দেখা যাইতেছে তখন আমাদের চুপ করিয়া বসিয়া থাকা এবং সক্রিয় চেষ্টা না করা এক অমার্জনীয় অপরাধ।
কিন্তু বাস্তব কোন পদক্ষেপ নেয়ার পূর্বে আমাদের অবশ্যই ঐ সকল কারণসমূহ চিন্তা করিতে হইবে, যে সকল কারণে আমরা এই অপমান ও লাঞ্ছনার আযাবে পতিত হইয়ছি। আমাদের অবনতি ও অধঃপতনের বিভিন্ন কারণ বর্ণনা করা হয় এবং উহা দূর করার জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করা হইয়াছে। কিন্তু প্রতিটি পদক্ষেপ অনুপযোগী ও বিফল প্রমাণিত হইয়াছে। ফলে আমাদের পথপ্রদর্শকগণকেও নৈরাশ্য ও হতাশায় নিমজ্জিত দেখা যাইতেছে।
বাস্তব সত্য হইল এই যে, আজ পর্যন্ত আমাদের রোগ নির্ণয়ই সঠিকরূপে হয়নাই। যে সমস্ত কারণ বলা হয় উহা প্রকৃত পক্ষে রোগ নয় বরং রোগের উপসর্গ মাত্র। সুতরাং যতক্ষন পর্যন্ত প্রকৃত রোগের প্রতি মনযোগ দেয়া না হইবে এবং রোগের মূল উৎসের সংশোধন ও চিকিৎসা না হইবে, ততক্ষন পর্যন্ত উপসর্গের সংশোধন ও চিকিৎসা অসম্ভব ও অবাস্তব।
কাজেই যতক্ষন পর্যন্ত আমরা প্রকৃত রোগের সঠিক নির্ণয় ও উহার সঠিক চিকিৎসা পদ্ধতি জানিয়া না লইব ততক্ষন পর্যন্ত সংশোধনের ব্যাপারে আমাদের মতামত ব্যক্ত করা মারাত্মক ভুল হইবে।
সর্বশেষ এডিট : ২৮ শে আগস্ট, ২০১৫ বিকাল ৪:০৮