একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধ তদন্তে গঠিত সংস্থা থেকে অব্যাহতি পেতে আরো এক সদস্য আবেদন জানিয়েছেন। তিনি হলেন, পুলিশের স্পেশাল ব্রাঞ্চের সহকারী সুপার মো. নূরুল ইসলাম। এর আগে গত ৫ মে সংস্থাটির জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা সাবেক অতিরিক্ত সচিব আবদুল মতিন পদত্যাগ করেন। স্বরাষ্ট্র সচিব আবদুস সোবহান সিকদার তার আবেদন প্রাপ্তির বিষয়টি স্বীকার করেছেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন তদন্ত সংস্থায় তার সহকর্মী ঢাকা সিআইডির ইন্সপেক্টর আবদুর রাজ্জাক খানও।
অব্যাহতির কারণ হিসেবে ব্যক্তিগত সমস্যার কথা উল্লেখ করেছেন নূরুল ইসলাম। তার আবেদনটি পুলিশ মহাপরিদর্শকের দফতর ঘুরে চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের জন্য গত ১২ জুলাই স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আসে। তবে বিষয়টি এতদিন অপ্রকাশিত ছিল। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় গত ২৫ মার্চ ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইম (ট্রাইব্যুনাল) অ্যাক্ট ১৯৭৩ এর ৮(১) ধারা অনুযায়ী সাত সদস্যের তদন্ত সংস্থা গঠন করে। নূরুল ইসলামকে প্রথম দিকেই নিয়োগ দেয়া হয়।
জানা গেছে, নূরুল ইসলামের এক সন্তান গত মার্চে অসুস্থ হয়ে মারা যায়। এ ঘটনায় তিনি মানসিকভাবে কিছুটা বিপর্যস্ত হয়ে পড়েন এবং বিভাগীয় প্রধানের মাধ্যমে তদন্ত সংস্থা থেকে অব্যাহতির আবেদন জানান।
ইতিপূর্বে এক সদস্যের পদত্যাগ ছাড়াও সিআইডির অপর এক সদস্য সংস্থা থেকে অব্যাহতি নিয়েছেন। তিনি হলেন, সিআইডির অতিরিক্ত ডিআইজি মীর শহীদুল ইসলাম। তার অব্যাহতির কারণ ছিল পদোন্নতি প্রাপ্তি। সংস্থার কাজের গতি বাড়াতে এরপর গত ৩০ জুন আরো তিন জনকে সদস্য হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়।
নূরুল ইসলামের অব্যাহতি প্রসঙ্গে স্বরাষ্ট্র সচিব আবদুস সোবহান শীর্ষ নিউজ ডটকমকে বলেন, তার অব্যাহতির আবেদনটি এখনো গ্রহণ করা হয়নি। তদন্ত সংস্থায় জনবল বাড়ানোর পর তার আবেদনটি বিবেচনা করা হবে। তিনি এখন পর্যন্ত তদন্ত সংস্থার সদস্য হিসেবে কাজ করে যাচ্ছেন।
আবদুর রাজ্জাক খান শীর্ষ নিউজ ডটকমকে বলেন, তিনি এখনো নিয়মিত অফিস করছেন। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অপর একটি সূত্র জানিয়েছে, চলতি মাসেই তদন্ত সংস্থায় আরো কয়েকজন নতুন সদস্য নিয়োগ দেয়া হবে।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




