নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি করে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি বাড়ানো উপর জোর দিয়ে তৈরি করা হচ্ছে ৬ষ্ঠ পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা। ৮ বছর পর তৈরি করা এ পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনায় ধনী-গরিবের আয়ের বৈষম্য দূর করতে নেয়া হবে বিশেষ উদ্যোগ। দারিদ্র্য বিমোচনসহ সামাজিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে। এ জন্য বরাদ্দ বাড়ানো হবে শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাতে। জ্বালানি ও বিদ্যুৎ খাতে রাখা হবে বিশেষ বরাদ্দ। ৮ বছর পর তৈরি করা হচ্ছে ৬ষ্ঠ পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা। ৫ বছরের জন্য এ পরিকল্পনার প্রথম অংশের খসড়া তৈরি করা হয়েছে। প্রথম অংশের খসড়ায় সার্বিক ও সামষ্টিক অর্থনীতির বিভিন্ন বিষয়ে দিকনির্দেশনা তৈরি করা হয়েছে।
খসড়ার প্রথম অংশ নিয়ে বুধবার অর্থনীতিবিদদের সঙ্গে বৈঠক করেছে সাধারণ অর্থনীতি বিভাগ (জিইডি)। নগরীর শেরে বাংলা নগরে এনইসি সম্মেলন কক্ষে এ পরিকল্পনা প্রনয়ণের জন্য গঠিত অর্থনীতিবিদদের প্যানেল খসড়ার বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা করেন। সভায় প্যানেলের সভাপতি ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ সভাপতিত্ব করেন। সভায় বাংলাদেশ ব্যাংক গভর্নর ড. আতিউর রহমান, অধ্যাপক বিনায়ক সেন, আব্দুল জব্বার উপস্থিত থাকলেও প্যানেলের বেশির ভাগ অর্থনীতিবিদ অনুপস্থিত ছিলেন। তবে প্যানেলের ২/৩ জন ছাড়া বাকি সবাই খসড়ার ওপর লিখিত মতামত দিয়েছেন বলে জানা গেছে। জানা গেছে, পরিকল্পনার প্রথম অংশে উন্নয়ন অগ্রগতি, উন্নয়ন কৌশল, জাতীয় প্রবৃদ্ধি ও কর্মসংস্থান কৌশল, ব্যাষ্টিক অর্থনীতি, আর্থিক পরিকল্পনা, মানব সম্পদ উন্নয়ন কৌশল, দারিদ্র্য ও সামাজিক নিরাপত্তা কৌশল এবং জলবায়ু পরিবর্তন পরিকল্পনা শীর্ষক ৮টি অধ্যায় রয়েছে। আগামী ১৮ আগস্ট অর্থমন্ত্রী,পরিকল্পনামন্ত্রী ও অর্থনীতিবিদদের উপস্থিতিতে প্রথম অংশের খসড়া পর্যালোচনা করা হবে। এ বিষয়ে জিইডি সদস্য শামসুল আলম বলেন, খসড়ার প্রথম অধ্যায়ে পরবর্তী ৫ বছরে দেশের উন্নয়ন এবং অথর্নীতির সামষ্টিক রূপরেখা কেমন হবে তা তুলে ধরা হয়েছে। এতে দেশের অতীত ও বর্তমান উন্নয়নের চিত্র তুলে ধরে পরবর্তী করণীয় আলোচনা করা হয়েছে। তিনি জানান, দেশের উন্নয়ন কার্যক্রম পরিচালনায় সরকারের অঙ্গীকার, রূপকল্প-২০২১ এবং পরিপ্রেক্ষিত পরিকল্পনার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে কৌশল নির্ধারণের নীতি প্রণয়ন করা হয়েছে। এতে দেশের বিনিয়োগ পরিস্থিতি, জনগণের সঞ্চয়, ব্যালান্স অব পেমেন্ট, বিনিময় হার এবং আর্থিক খাত পর্যবেক্ষণের বিষয় অন্তর্ভূক্ত রয়েছে।
জিইডি সদস্য জানান, প্যানেলের অর্থনীতিবিদদের সুপারিশগুলো বিশ্লেষণ করে খসড়ায় অন্তর্ভুক্ত করা হবে। অর্থনীতিবিদরা দরিদ্রতা হ্রাস, আয় বৃদ্ধি, সুশাসন ও ক্ষমতার বিকেন্দ্রীকরণ, জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ, কৃষি, পণ্য উৎপাদনকারী শিল্প প্রতিষ্ঠান স্থাপন, বিনিয়োগসহ নানা বিষয়ে মতামত দিয়েছেন।
তিনি জানান, †m‡Þ¤^‡ii মধ্যে পরিকল্পনার প্রথম ও দ্বিতীয় অংশের কাজ শেষে wW‡m¤^‡ii মধ্যে খসড়া চূড়ান্ত করা হবে।
জানা গেছে, খসড়ার দ্বিতীয় অধ্যায়ে খাতওয়ারী উন্নয়নের কৌশল ও পরিকল্পনা প্রণয়ন এবং বাস্তবায়নের বিষয়ে নির্দেশনা থাকবে। পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনার খসড়া রচনার দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠান পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউট (পিআরআই) দ্বিতীয় অংশের কাজ করছে। জিইডির তত্ত্বাবধানে বর্তমানে এ খসড়া চূড়ান্ত করার কাজ চলছে। এর ব্যাকগ্রাউন্ড পেপার তৈরি করেছে সরকারি উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠান (বিআইডিএস)।
(শীর্ষ নিউজ ডটকম/সাইফুদ্দিন/ এআই/ সস/ ২০.২০ঘ
সর্বশেষ এডিট : ১১ ই আগস্ট, ২০১০ রাত ১০:১৮

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




