নকল ও বিষাক্ত ডিমের অজুহাতে সম্প্রতি ইউরোপীয় সুপারমার্কেটগুলো থেকে লাখ লাখ ডিম সরিয়ে ফেলা হয়েছে। বলা হচ্ছে, সেগুলোতে ফিপরোনিল নামের এক ধরনের কীটনাশক দেয়া হয়েছে। অনেক মানুষ ভয়ে ডিম খাওয়া ছেড়ে দেন।
মানুষের মনের ভীতি দূর করতে ১৫ আগষ্ট, ২০১৭ বেলজিয়াম ভিত্তিক সংগঠন ‘দ্য ওয়ার্ল্ড ফ্রাটেরনিটি অব নাইচস অব দ্যা জায়ান্ট অমলেট’ ১০০০০ মুরগির ডিম দিয়ে তৈরি দানবীয় আকারের এক অমলেট তৈরি করে, যা পরে সাধারণ মানুষের মধ্যে বিতরণ করা হয়। পূর্ব বেলজিয়ামের মালমেডিতে তৈরি হয় এ অমলেট। এর জন্য আনা হয় ৪ মিটার (১৩ ফুট) চওড়া বিশাল প্যান। সেখানেই জনসাধারণের সামনে কয়েকজন অভিজ্ঞ রাঁধুনি এ অমলেট তৈরি করেন।
এখন আরেকটু কথা বলি, আমরা আজকাল গুজবটাকে গুড জব মনে করি। একটা সত্য সংবাদ ছড়ানোর ইচ্ছাশক্তি হয়তো তেমন নাই। কিন্তু একটা গুজব, মিথ্যা, বানোয়াট সংবাদ, ছবি, পোস্ট হাজার হাজার শেয়ার হয়। তখন অবস্থা এমন দাঁড়ায় কোনটা মিথ্যা, কোনটা সত্য, কোনটা যে তার আসল তত্ত্ব তা বুঝতে হিমসিম খেতে হয়। যাইহোক, ইউরোপীয় বাজারে ডিমে ফিপনোলিন মেশানোর যে অভিযোগ উঠেছিল তা পুরোই মিথ্যা ও গুজব বলে প্রমাণিত হয়েছে।
সূত্র: কারেন্ট অ্যাফেয়ার্স, দ্যা টেলিগ্রাফ, ফুড.গভ.ইউকে, বিবিসি নিউজ, টরেন্টো সান, ইউটিউব।
সর্বশেষ এডিট : ১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ দুপুর ২:৩৯