যারা বিসিএস পরীক্ষা বা বিভিন্ন সরকারী চাকুরীর পরীক্ষা দিয়ে থাকেন তারা কমপক্ষে ২-৩ হাজার টাকার গাইড বই ক্রয় করেন। এসব গাইডে যে সকল তথ্য দেয়া থাকে সেগুলো কতটা প্রয়োজনীয় তা সবাই জানি। তবুও সিস্টেমে আটকা পড়ার কারণে বিসিএস পরীক্ষার জন্য ঐ তথ্যগুলো আপনার জানতেই হবে।
মুখস্ত বিদ্যায় কে কতটা পরদর্শী তার উপর মেধাবীর তকমা জোটে! তারা কি আদৌ মেধাবী? আসলে মেধাটা কিসের ভিত্তিতে বিবেচনা করা হয়? এ যে মুখস্ত বিদ্যার উপর সবকিছু। হতেও পারে ধৈর্যশীলতারও পরীক্ষা হয়। কারণ সাধারণ জ্ঞানের বই যেটা প্রতিমাসে ক্রয় করা হয় সেটা পড়ার ধৈর্য সবারই হবে না।
পদ্মা সেতুর পিলার কয়টা? পানিতে কয়টা, স্থলে কয়টা? আফগানিস্তানের মুদ্রার নাম কি? রাজধানী? কে কবে মারা গেল বিয়ে করল ইত্যাদি। পক প্রণালী কোথায় অবস্থিত? চর্যাপদ কবে আবিষ্কৃত হয়, বিদ্যাসাগর কবে বিদ্যাসাগর উপাধি পান! অসমাপ্ত আত্মজীবনী কার লেখা? ইত্যাদি ইত্যাদি...... আচ্ছা, যদি বলি অসমাপ্ত আত্মজীবনী ক’জন পড়েছেন বিসিএস দেয়ার আগে?
যাইহোক, আফগানিস্তানের মুদ্রার নাম সব বইয়ে একই, সেতুর দৈর্ঘ্য পিলার সংখ্যা, জন্মসাল মৃত্যুসাল, উপন্যাসের চরিত্র (উপন্যাস পড়ার দরকার নাই) ইত্যাদি মুখস্ত রাখা যাদের সম্ভব হয় না তারাও চাইলে বই লিখতে পারবেন। খুবই সহজ। নেট ঘাটুন, পূর্ব প্রকাশিত কয়েকটা বই কিনে নিন। এখন একটু মডিফাই করে দেখে দেখে লিখুন। কপিরাইটে আটকা পড়ার ভয় নাই। কারণ সবার বইয়েই একই তথ্য থাকবে। পদ্মা সেতুর দৈর্ঘ্য সবার বইয়ে একই হবে। তেমনি দেশ মুদ্রার নাম আয়তন ইত্যাদিও একই হবে। শুধুমাত্র একটু এদিক-সেদিক করে লিখবেন।
বইতো লিখলেন। এবার কোনো বিসিএস ক্যাডারকে ম্যানেজ করেন। অভাব হবে না আশা করি। আপনার বাসাতেও আছে হয়তো। আত্মীয়দের মাঝে খোঁজ লাগান। তার নাম, আপনার নাম দিন। অতঃপর প্রকাশনার জন্য প্রকাশক ম্যানেজ করুন। বই ক্রেতার অভাব হবে না।
সত্যিই বই ক্রেতার অভাব হবে না। আপনার বই চলবে। আমি কয়েকজনকে জানি যারা বিসিএস ক্যাডার নয় কিন্তু নামিদামী কোচিং সেন্টার বিজনেস করছে, বই লিখছে। সুতরাং আজ থেকেই শুরু হোক বিসিএস এর গাইড লেখার কাজ। সবার সাফল্য কামনা করছি।
সর্বশেষ এডিট : ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৫:২৫