১। বরাবর এর মত এবছরও আমরা কতিপয় বিসিএস ক্যাডার পেলাম। যাদের মাথায় পদ্মাসেতুর পিলারের সংখ্যা থেকে বারেক ওবামার বউয়ের জন্ম তারিখ নোট করা আছে। যারা জানে প্রশান্ত মহাসাগরের গভীরতা কত। যারা আরো জানে লোহার টুকরা পানিতে না ভাসলেও জাহাজ ভাসে কেন?
২। এই ক্যাডার মহা সন্মানিত একটা চাকুরি! বেসরকারি চাকুরিতে চাকর চাকর ফিলিংস আসলেও এই চাকুরিতে আসবে না।
৩। লোকমুখে শোনা যায়, সরকারি চাকুরিতে শুধু আরাম আর আরাম। একবার পাইলে আর হারানোর চিন্তা নাই।
৪। একঝাঁক তরুণ জ্ঞানী পেয়ে জ্ঞানীদের সাথে আমরাও আবেগে আপ্লুত। তারা হিমালয় জয় করল, দেশ এখন উন্নয়নের জোয়ারে ভাসবে। কৃষি, প্রশাসন, অর্থ-বাণিজ্য সবকিছুতেই উন্নতি আসবে।
৫। বাস্তবতা কি হয় জানি না, লোকে বলে শরীরের সম্মুখভাগের নিচের অংশটা জোয়ারের পানির ন্যায় বেড়ে চলে।
যাইহোক, দেশ উন্নয়নে সরকারি চাকুরিজীবী একাই অংশ নেয় না। বেসরকারীর অবদান অস্বীকার করা যায় না। বেসরকারীরা কম কিসে? তাই শুধু ক্যাডারদের নিয়াই আবেগের গল্প শোনাবেন না। একঘেয়েমী লাগে। আরএফএল এর মালিক ক্যাডার নয়, হানিফ গাড়ির মালিক কততম বিসিএস ভাই?
জর্দ্দার মালিক কাউছ নাকি সবথেকে বেশি ট্যাক্স দেয়? হুমায়ুন আহমেদ কততম বিসিএস ক্যাডার ছিলেন? ইনিতো সাধারণ জ্ঞানের বই ছিঁড়ে টুকরো টুকরো করে ফেলে দিয়েছিলেন। আজ হাজারটা ক্যাডার একত্র করলেও একজন হুমায়ুনকে পাওয়া যাবে না।
তাই যারা বিসিএসে টিকেননি তাদের হতাশ হবার কিছুই নেই। সকল কাজ ও পেশাকে সন্মান করুন, জীবন সবার এগিয়ে যাবেই....
সর্বশেষ এডিট : ১৯ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১:২৭