বারান্দায় বসে সূর্যের প্রখর তাপে
নিজেকে পোড়ানোর অদম্য বাসনা, এখন আর আমাকে কাছে টানেনা ।
অন্ধকার আর নীরবতার মাঝে , একা একা সময় কাটানো হয় না বহুদিন ।
অথবা বুকের অথৈ নদী, দূর সমূদ্রের ধারে বসে মনের কষ্ট ভাগ করে দিতে চায় না ।
কতদিন হয় কষ্টের কান্না নেই, সমূদ্র বক্ষের মত বিশাল কোন সুখের
অশ্রু হয়তো মাঝে মাঝে আসে,
তবে অস্থির সেই রোদন ক্ষনিক পরেই মিলিয়ে যায়, হয়তো মহাকাশে,
অথবা আরো দূরে, যেখানে এখনো পড়েনি কারো পদচিহ্ণ ।
কষ্টের প্রতিটি রাত কত বিবর্ন ছিল, কত ক্রোধ জমা ছিল
কত দীর্ঘ ছিল, কত অজানা আতঙ্কে জমাট বেধে ছিল ।
অথচ গত রাতে, অথবা তোমার সাথে কাটানো প্রতিটি রাত,
কত ছন্দময়, কত শংকুল, কত উদ্দিপনার ছটায় রঙ্গিন ।
সেইসব চিন্তাগুলো কত দূরন্ত ছিলো, কতবার পাহাড় চূড়ায় গিয়ে
আমাকে ফেলে দিতে চেয়েছিল আর এক অন্ধকার জগতে,
আমার প্রতিটি নিশ্স্বাস কত বিষাক্ত ছিলো, কত কপটতায়
বন্দি ছিলাম আমি ও আমার বহুরূপী সত্তা।
আবার স্বপ্নেরা ফিরে এসেছে, এবারের বর্ষায় । তোমার সাথে আমি
ও আমার সত্তা সেই অঝোর ধারায় ভিজে ভিজে এখন নিমজ্জিত প্রায়।
আমার স্বপ্নেরা বর্ষার জল মেখে, নীল হয়ে এখন কোন এক অজানা দ্বীপে
যেখানে পূর্নিমার আলো ফোটে প্রতিদিন।
যেখানে মেঘ কখনো ধূসর কখনো নীল।
যেখানে সারারাত হাস্নাহেনার গন্ধ মাখা।
ওখানে ঝড় নেই, মৃত্যূ নেই, ঘুট ঘুটে অন্ধকার নেই,
ঘুন পোকাদের পাল নেই, ক্রোধ নেই,
সমূদ্রের ঢেউ আছে তবু কোন উন্মত্ততা নেই।
এই সব স্বপ্ন গুলো তবে মেঘের মত জমাট বাঁধুক ।
এবারের সুখের বর্ষা তবে দীর্ঘজীবি হোক ।।
© সাইক চৌধুরী
সর্বশেষ এডিট : ১৬ ই জানুয়ারি, ২০১২ বিকাল ৫:৫৮

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



