somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

~~তা না না না নাচো তো দেখি আমার পুতুলসোনা~~~ !!! জীবনের প্রথম পুতুল নাচের ইতিকথা!!!

২০ শে এপ্রিল, ২০১২ রাত ৯:২৮
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

তারে তুনা তুনা তুন না না না,
নাচোতো দেখি আমার পুতুল সোনা......
পুতুলসোনাদের এই গানটির সাথে নেচেছিলো সেদিন আমার পুতুলগুলো। :) আর গল্পদাদু শুনিয়েছিলেন ইশপের সেই মিথ্যেবাদী রাখালছেলে ও বাঘের গল্প।
পহেলা বৈশাখ, গান, নাচ,আবৃত্তি ও শিশুদের চিত্রাংকন প্রতিযোগীতা নিয়ে আমি বরাবরের মত ব্যাস্ত ছিলাম এবারও। তবে এবার যখন আমার স্কুল কর্তৃপক্ষ বৈশাখের অনুষ্ঠানে পেশাদার পুতুলনাচের দলকে আনার প্রস্তাব করলেন। আমি জানালাম, আমি করবো এবারের পুতুলনাচ। সবাই তো গুল্লু গুল্লু চোখ করে তাকিয়ে রইলো আমার মত এমন বেসম সাহসী, অসীম যাচ্ছেতাই করে ফেলা ব্যাক্তির দিকে। কারো কারো ঠোঁটে তাচ্ছিল্য। ভাবখানা এমন, করোইনা বাছাধন, বেশী বাড় বাড়ার ফল এবারে বুঝবে যাদুমনি।:P কেউ কেউ বললো, ভেবে বলছো? এটা কিন্তু যা তা ব্যাপার নয়। অনেক অনেক ঝামেলার কাজ। অনেক প্ল্যানিং, অনেক খাটুনি।:(

আমি মনে মনে ভাবলাম যা থাকে কপালে, একবার যখন মুখ ফসকে বলেই ফেলেছি। আর কি পিছু হটা যায় ? বিপদে ডরিনা আমি বীর।:P যাই হোক চোখ বন্ধ করে সমুদ্রে ঝাঁপ দিলাম। ( এই কাজে আমি আবার ভীষন এক্সপার্ট।:))

আর ঝাঁপ দিতেই বুঝলাম অকূল দরিয়ায় বুঝি কূল নাই রে.....কূল নাই কিনার নাই, এমনকি পায়ের তলায় মাটিও নাই। আমার সাথে কেও নাই। কেউ আসতে চাইলো না।:((সবার ভয়, না বাবা সাধ করে ঝামেলা ঘাড়ে নেবার কোনোই দরকার নেই । শেষে ফেইল করে মান সন্মান খোয়াবো নাকি? যাইহোক অনেক কষ্টে রাজী করালাম আমাদের একজন মিউজিক টিচারকে। সে রাজি করালো কম্পিউটার টিচারকে। ব্যাস হয়ে গেলো আমার পুতুল থিয়েটারের মিউজিক, লাইট ও সাউন্ড এক্সপার্ট পাওয়া। আরও দুজন পাওয়া গেলো। ছোট্ট পাঁচ জনের গ্রুপ।:P

এবার প্রথম কাজ স্ক্রিপ্ট লেখা। সামুর বদৌলতে যে কোনো কিছুই নির্ভিক চিত্তে লিখে ফেলাতে আমি এখন এক্সপার্ট হয়ে গেছি। ছাতা হোক, মাথা হোক বা হিমালয় পর্বতই হোক না কেনো যে কোনো হাবিজাবি বিষয়েই আমি বেশ লিখে ফেলতে পারি লাইনের পর লাইন আজকাল।:)
তাই লিখে ফেললাম মনপ্রাণ দিয়ে এক মজাদার (নিজের কাছে)স্ক্রিপ্ট। সে লেখা এক চান্সেই ওকে হয়ে গেলো আমাদের কালচারাল কো অর্ডিনেটরের কাছে। :) :) :) স্ক্রিপ্টটা পড়ালাম ফারিহান ভাইয়াকে। আচ্ছা যাইহোক এখন সবাইকে পড়াই-:D

!!! পাপেট শো- রাখালছেলে ও বাঘ !!!
মিউজিক....... নাচো তো দেখি আমার পুতুল সোনা (৫০ সেকেন্ড)
গ্যালারী লাইট অফ
স্ক্রিন ওপেন
স্পটলাইট অন - গল্পদাদু এর উপরে....
ব্যাকগ্রাউন্ড- কুঁড়েঘর-কলাগাছ-কলস-সিকা.......
গল্পদাদু- শুভ নববর্ষ সোনামনিরা। কেমন আছো তোমরা সবাই? তোমরা কি জানো আমি কে? চেনো আমাকে? আমি গল্পদাদু। আজ এখানে এসেছি তোমাদেরকে গল্প শোনাতে। তোমরা নিশ্চয়ই সবাই গল্প শুনতে ভীষন ভালোবাসো। হু হু হু হু .......
কিটলি-আমি ভালোবাসি। আমি গল্প শুনতে ভীষন ভালোবাসি দাদু। আমাকে গল্প শুনাও । তাড়াতাড়ি শোনাও। আমি গল্প শুনবো।
গল্পদাদু- ও হো হো হো । গল্পের গন্ধে গন্ধে তুমি ঠিক হাজির হয়ে গিয়েছো। তো তোমার পরিচয় দাও তো আমাদের বন্ধুদের কাছে।
কিটলি - শুভ নববর্ষ বন্ধুরা। আমি কিটলি।কিটলি....... হ্যাঁ কিটলি। আমাকে যেন আবার চা বানাবার কেটলী ভেবোনা, আমি ছোটবেলায় খুব কট কট কটকট করে কথা বলতামতো তাই আমার বাবা আদর করে নাম রেখেছেন কিটলি। আর এটা আমার দাদু। উনি সবার গল্পদাদু। বলো বলো দাদু। তাড়াতাড়ি গল্প বলো।
গল্পদাদু- আচ্ছা আচ্ছা বলছি বলছি। তাহলে চলো সবাই মিলে ঘুরে আসি গল্পের রাজ্য থেকে। শোনা যাক ইশপ'স ফেবল থেকে সেই রাখাল ছেলে আর এক বাঘের গল্প।
কিটলি- হ্যা হ্যা শোনা যাক শোনা যাক। চলো সবাই গল্প শুনি.... ( মিউজিক)

স্ক্রিন ক্লোজ ও ব্যাকগ্রাউন্ড পিকচার চেন্জ।
ব্যাকগ্রাউন্ড- গরু ছাগল চরানোর চারণভুমি- গাছ, আকাশ, সূর্য্য, পাখি,মেঘ.........
মিউজিক- স্ক্রিন ওপেন।
এদিন আজি কোন ঘরে গো খুলে দিলো দ্বার,
আজি প্রাতে সূর্য্য ওঠা সফল হলো কার?
(গান গাইতে গাইতে গরু নিয়ে রাখাল ছেলের প্রবেশ)
রাখাল ছেলে- আহা আজকের দিনটা কি সুন্দর!! কি সুন্দর ঝকঝকে রোদ উঠেছে! কি সুন্দর চারিধার তকতকে করছে! কি সুন্দর টকটকে লাল ফুল!
ঝকঝকে তকতকে টকটকে .....বাহ বাহ মিল মিল, মিলে গেলো, মিলে গেলো! অনেক ভালো লাগছে আমার!! চল হাম্বা আমরা দুজন মিলে গান গাই।
হাম্বা- মো.......... মো ......মো .......
রাখাল ছেলে- গান ধর হাম্বা। হাম্বা- মো.......... মো ......মো .......
হাই তুলবে রাখাল ছেলে। (এদিক ওদিক ঘুরে।)
রাখাল ছেলে- ধ্যাৎ!কোথাও কেউ নেই । কিচ্ছু করার নেই। কিচ্ছু ভালো লাগছেনা। কি করা যায় কি করা যায়?
ইঁদুরের গর্তে খোঁচা দিলো। (মিউজিক) ইঁদুর বেরিয়ে এসে রেগে বললো,
ইঁদুর- এ্যই দুষ্টু ছেলে আমার ঘুম ভাঙালে কেনো? কিচকিচকিচক।
রাখাল ছেলে- হি হি হি । আসলে কিছু করার মত পাচ্ছিলাম নাতো তাই একটু তোমাকে জাগালাম অথবা রাগালাম। হি হি হি
ইঁদুর- রেগে গিয়ে বললো, খবরদার, কখনও কাউকে বিরক্ত করবেনা। মজা করে কাউকে বিরক্ত করা মোটেও ভালো নয়।
রাখাল ছেলে-মজা করে কাউকে বিরক্ত করা মোটেও ভালো নয়। (জিব ভেংচি)
ইঁদুর- বুঝেছি দুষ্টু ছেলেরা কখনই কারো ভালো কথা কানে তোলে না। ( ফিরে গেলো গর্তে)

রাখাল ছেলে আবার এদিক ওদিক ঘুরে ( লা লা লা লা )
হঠাৎ লাফ দিয়ে উঠে, একটা কাজ করলে কেমন হয়? আমি যদি চিৎকার করে বলি, বাঘ বাঘ , আমাকে বাঁচাও, বাঘ আমার গরু খেয়ে ফেললো, তাহলে নিশ্চয়ই গাঁয়ের সব মানুষজন, ক্ষেতে যারা কাজ করছে কৃষক সবাই আমাকে বাঁচাতে ছুটে আসবে। খুব মজা হবে। হা হা হা হা হা
ভাবতেই আমার মজা লাগছে। তাহলে তাই করা যাক।
রাখাল ছেলে: বাঘ !!!! বাঘ!!! আমাকে বাঁচাও!!!! বাঘ আমার গরু খেয়ে ফেললো!!! বাঁচাও!!!! আমাকে বাঁচাও
গায়ের মানুষ লাঠি হাতে কাস্তে হাতে ছুটে আসবে। আর তাই দেখে রাখালছেলে হা হা হো হো করে হাসবে।
গায়ের মানুষ- কই কই কোথায় বাঘ? পালিয়েছে? কই কোথাও বাঘ দেখতে পাচ্ছিনাতো।
রাখালছেলে-হো হো করে হাসতে হাসতে। আরে আমি তো মজা করেছি। বাঘ আসেনি। আমি শুধু মজা করে চেঁচিয়েছি আর তোমরা সবাই ছুটে এসেছো। এটা মজা ছিলো মজা!!! হা হা হা হো হো হো।
গায়ের মানুষ- শোনো ছেলে। সবকিছু নিয়ে মজা করা ভালো না। অনেক সময় মজা করতে গিয়ে বিপদ হয়। চলো সবাই যে যার কাছে ফিরে যাই।
সবাই ফিরে চললো।
রাখালছেলে হো হো করে হাসতে লাগলো: কেমন মজা। সবাই কেমন ছুটে আসলো। হা হা হা হো হো হো । আমার খুবই হাসি পাচ্ছে।

স্ক্রিন ক্লোজ ও ব্যাকগ্রাউন্ড পিকচার চেন্জ।
ব্যাকগ্রাউন্ড- গরু ছাগল চরানোর চারণভুমি- গাছ, আকাশ, সূর্য্যহীন মেঘলা দিন.......
মিউজিক- স্ক্রিন ওপেন।
রাখাল ছেলে গরু সাথে নিয়ে প্রবেশ।
রাখাল ছেলে-আজকের দিনটা মেঘলা। মন খারাপ করা । হাম্বা তুই তাড়াতাড়ি ঘাস খা। পাগলা হাওয়ার বাদল দিনে। পাগল আমার মন জেগে ওঠে। ধ্যাৎ কি করা যায় কি করা যায়? আচ্ছা সেদিনের মত আজও চিৎকার করে বলি, বাঘ বাঘ , আমাকে বাঁচাও, তাহলে নিশ্চয়ই আজও গাঁয়ের সব মানুষজন সবাই আমাকে বাঁচাতে ছুটে আসবে। খুব মজা হবে। হা হা হা হা হা

টিয়াপাখি: টুউট , টুউট, টুউট!!!! রাখালছেলে রাখালছেলে, তুমি একটা ভুল করছো। তোমাকে নিষেধ করা সত্বেও তুমি আবারও মিথ্যে কথা নিয়ে মজা করতে চাইছো। মিথ্যে বলা ভালো না। মিথ্যে কথা মজা করেও বলা উচিৎ না।
রাখাল ছেলে: যা ভাগ টিয়া পাখি। মিথ্যে বলা ভালো না, মদা কলেও ভালো না( ভেংচি কেটে, রাগ করে, তার কথা না শুনে)
টিয়া ভয় পেয়ে একটু উড়ে গিয়ে দূরে বসে বলতে লাগলো। মিথ্যে বলা ভালো না। মিথ্যে করেও মজা করা উচিৎ না। তা তুমি একদিন ঠিকই বুঝবে। একদিন এর জন্য তোমাকে কাঁদতে হবে।
রাখাল ছেলে- যা যা !!হুস হুস!!!
টিয়াপাখি উড়ে গেলো।
রাখাল ছেলে: যাক আমি আবার মজা করি। আমার খুব হাসি পাচ্ছে। আমার চিৎকারে আজও গায়ের মানুষেরা ভয় পেয়ে যাবে, ছুটে আসবে। তাহলে শুরু করা যাক,
: বাঘ !!!! বাঘ!!! আমাকে বাঁচাও!!!! বাঘ আমাকে খেয়ে ফেললো!!! বাঁচাও!!!! আমাকে বাঁচাও
গায়ের মানুষ- তুমি আজকেও মজা করেছো। তোমাকে না সেদিন বলেছি, সবকিছু নিয়ে, বিশেষ করে বিপদ নিয়ে মজা করা ঠিক না। শোনো ছেলে, এইভাবে মজা করলে একদিন বিপদের সময় কাউকে কাছে পাবেনা।
রাখালছেলে- ( কাঁদো কাঁদো গলা করে) আমার ভুল হয়ে গেছে। আর আমি এমন করবোনা। এবারের মত মাফ করে দিন।
গায়ের মানুষ- আচ্ছা আচ্ছা। আর কখনও এমন করোনা।

সবাই চলে যেতেই রাখালছেলে আবারও হো হো করে হাসতে লাগলো।
হঠাৎ বাঘের গর্জন। হালুম হালুম
রাখাল ছেলে ভয় পেয়ে। : বাঘ !!!! বাঘ!!! সত্যিই বাঘের গর্জন!! আমাকে বাঁচাও!!!! বাঘ আমাকে খেয়ে ফেললো!!! বাঁচাও!!!! আমাকে বাঁচাও
বাঁচাও!!!! আমাকে বাঁচাও( চিৎকার)
(নেপথ্যে) নাহ! ছেলেটাকে নিয়ে আর পারা গেলোনা। কেবলি নিষেধ করা হলো। আবারও সে ভুলে গেলো। থাক আর যাবার দরকার নেই।
এইদিকে বাঘ হালুম করে লাফ দিয়ে গরুটাকে টেনে নিয়ে গেলো।

রাখাল ছেলে কাঁদতে লাগলো। সবাই ঠিকই বলেছিলো বিপদ নিয়ে সবসময় মজা করা ভালো না। তাহলে একদিন সত্যিকারের বিপদের সময় কারো সাহায্য পাওয়া যায়না। আজ আমাকে কেউ বিশ্বাস করলো না। আমার ভুল হয়েছে আমি বুঝতে পেরেছি। আজ বড়দের কথা শুনলে আমার প্রিয় হাম্বাকে হারাতে হ্ত না। ( কান্নার শব্দ)

গল্পদাদু: দেখলে তো সোনামনিরা। মজা করেও মিথ্যে বলতে নেই। আর সবকিছু নিয়ে মজা করতে নেই।বিপদ নিয়ে মজা করলে একদিন তাকে কেউ বিশ্বাস করেনা। তাই তোমরা সবসময় সত্যি কথা বলবে। ভালো থেকো সোনামনিরা। তোমাদের সকলের নতুন বছর শুভ হোক। বিদায়!!!!!
:)

স্ক্রিপ্ট লেখার পরের কাজ ভয়েস দেওয়া। মানে আমি চেয়েছিলাম সিডিতে পুরো গল্প বলাটা চলতে থাকবে আর আমি ও আমার দল পুতুলগুলো দিয়ে ব্যাকস্টেজ ও ব্যাকগ্রাউন্ডের ফাঁকা জায়গাটায় বসে অভিনয় করাবো। এতে আমাদের কাজ অনেক সহজ হয়ে যাবে। এখন ভয়েস দেওয়ার মানুষ খুঁজে পাওয়া যায়না। যাও বা সাউন্ড, মিউজিকের লোক পেলাম কেউ সাহস করে ভয়েস দিতে রাজি নয়। কাজেই ছাই ফেলতে ভাঙা কুলা এই আমিই সেই অসাধ্য সাধন করে ফেললাম।:) গল্পদাদু থেকে রাখালছেলে, টিয়াপাখি, গরু, ইঁদুর গায়ের লোক সবই হতে হলো আমাকেই।:( রেকর্ডিং শেষ করে নিজেকেই নিজে বললাম- চলবে।:) এরপর মনে হলো, ব্যাক গ্রাউন্ড মিউজিক জুড়ে দিলে বেশী ভালো হতো। যেমন সকাল বেলা পাখির ডাক, প্রকৃতির শব্দ! নেট ঘেটে বের করে ফেললাম ইউ টিউব থেকে সেসবও। কিন্তু মিক্সিং জানিনা।:( সব কিছু কি আর ভাঙা কুলায় ধরে?:( মন খারাপ করে ভাবছিলাম ঠিক এ কথাটাই। এমন সময় ফয়সাল তূর্য ভাইয়াকে অনলাইন দেখে কথার কথা জিগাসা করলাম, ভাইয়া তুমি মিউজিক মিক্সিং জানো? ভাইয়া বললো, জানিনা তবে টেরাই কইরা দেখতে পারি।:P

আর কি আশ্চর্য্য একবারেই ভাইয়া ঠিক ঠিক বুঝে গেলো আমার মনের কথা। মানে আমি ঠিক কি রকম চাইছি। গল্পদাদুর কথার পিছে গিটারের সফট মিউজিক, রাখালছেলের গরু চারনভূমিতে সকালবেলার পাখির ডাক। সব একদম ঠিক ঠিক। খুশীতে চিৎকার দিলাম আমি। ভাইয়া তোমার কাছে কৃতজ্ঞতার শেষ নেই আমার। জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত মনে রাখবো তোমাকে।লাভ ইউ ভাইয়ামনি। :)
যাইহোক এরপর পালা পুতুল বানানোর। কিছু পাপেট যোগাড় করা হলো আর কিছু নরমাল পুতুল কিনে তাকে লুঙ্গী, গামছা পরিয়ে আমার পুতুল নাচের যোগ্য করে তোলা হলো। তারপর নানা ঝামেলা। স্টেজ বানানো, পর্দা সেলাই, লাইটের কানেকশন দেওয়া, সাউন্ড সিসটেম। এক সময় দেখি পুরা স্কুল আমার সাথে!!!!:-* মনে পড়লো দাদীমার কথা, আমি নাকি বাঘে গরুকে একঘাটেই জল খাওয়ানো শিখছি সেই ছোটবেলা থেকেই।:P





যাইহোক শেষ মেষ সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত পুরো স্কুলের সবাইকে জ্বালিয়ে পুড়িয়ে ও পাঁচ পাপেটিয়ারদেরকে নিয়ে রিহার্সেল করে, করেই ফেললাম একটা সফল পাপেট শো।:) সফল বলার কারণ পাপেট শো দেখে সকল বাচ্চাদের উচ্ছাস ও আমার স্কুল কর্তৃপক্ষের হাসি ও মন জুড়ানো, প্রাণ ভুলানো এপ্রিসিয়েশন!!!!!!

আবারও বিশেষ বিশেষ ও বিশেষ কৃতজ্ঞতা ফয়সাল তূর্য ভাইয়াকে।:) তার সহযোগীতা ছাড়া এত সুন্দর একটা সাকসেসফুল পাপেট শো কখনও করাই হতনা আমার।

এই সেই অডিও যাতে গলা দিয়েছি আমি আর ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিক মিক্সিং করেছে.......ফয়সাল ভাইয়া
রাখালছেলে ও বাঘের গল্প


https://www.youtube.com/watch?v=DFlLDbdcitQ

Click This Link

https://www.youtube.com/watch?v=0iUTOWTY4W4

উপরে আমার সেই ঐতিহাসিক পুতুলনাচের ভিডিও থেকে একটু একটু ও একটু খানি অংশ....:)


সবাইকে নতুন বছরের শুভেচ্ছা!!!!!




সর্বশেষ এডিট : ০৬ ই মে, ২০১২ সকাল ৯:০৩
১৭৩টি মন্তব্য ১৭৪টি উত্তর পূর্বের ৫০টি মন্তব্য দেখুন

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

বাংলাদেশ একদিন মাথা উঁচু করে দাঁড়াবেই

লিখেছেন নতুন নকিব, ২১ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১:৫৩

বাংলাদেশ একদিন মাথা উঁচু করে দাঁড়াবেই

ছবি এআই জেনারেটেড।

ভিনদেশী আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে সত্যের বজ্রনিনাদে সোচ্চার হওয়ার কারণেই খুন হতে হয়েছে দেশপ্রেমিক আবরার ফাহাদকে। সেদিন আবরারের রক্তে লাল হয়েছিল বুয়েটের পবিত্র... ...বাকিটুকু পড়ুন

রাজাকারের বিয়াইন

লিখেছেন প্রামানিক, ২১ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ২:০৪


শহীদুল ইসলাম প্রামানিক

রাজাকারের বিয়াইন তিনি
মুক্তিযোদ্ধার সন্তান
ওদের সাথে দুস্তি করায়
যায় না রে সম্মান?

কিন্তু যদি মুক্তিযোদ্ধাও
বিপক্ষতে যায়
রাজাকারের ধুয়া তুলে
আচ্ছা পেটন খায়।

রাজাকাররা বিয়াই হলে
নয়তো তখন দুষি
মেয়ের শ্বশুর হওয়ার ফলে
মুক্তিযোদ্ধাও খুশি।

রচনা কালঃ ১৮-০৪-২০১৪ইং... ...বাকিটুকু পড়ুন

দাসত্বের শিকল ভাঙার স্বপ্ন দেখা এক ক্রান্তদর্শী ধূমকেতু ওসমান হাদী।

লিখেছেন মুঃ গোলাম মোর্শেদ (উজ্জ্বল), ২১ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ২:৪২

বাংলাদেশের স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে দেশে যে ধরণের রাজনৈতিক সংস্কৃতি চালু হয়েছে, তাহলো বিদেশী প্রভুরদের দাসত্ব বরণ করে রাজনৈতিক দলগুলোর রাষ্ট্র ক্ষমতায় গিয়ে দেশের মানুষের উপর প্রভুত্ব করা , আর... ...বাকিটুকু পড়ুন

দিপুকে হত্যা ও পোড়ানো বনাম তৌহিদী জনতা!

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ২১ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৩:০৫


পাইওনিয়ার নিটওয়্যারস বিডি লিমিটেড (Pioneer Knitwears (BD) Ltd.) হলো বাদশা গ্রুপের (Badsha Group) একটি অঙ্গ প্রতিষ্ঠান। বাদশা গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান কর্ণধার হলেন জনাব বাদশা মিয়া, যিনি একইসাথে এই... ...বাকিটুকু পড়ুন

সাজানো ভোটে বিএনপিকে সেনাবাহিনী আর আমলারা ক্ষমতায় আনতেছে। ভোট তো কেবল লোক দেখানো আনুষ্ঠানিকতা মাত্র।

লিখেছেন তানভির জুমার, ২১ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৮:২২



১০০% নিশ্চিত বিএনপি ক্ষমতায় আসছে, এবং আওয়ামী স্টাইলে ক্ষমতা চালাবে। সন্ত্রাসী লীগকে এই বিএনপিই আবার ফিরিয়ে আনবে।সেনাবাহিনী আর আমলাদের সাথে ডিল কমপ্লিট। সহসাই এই দেশে ন্যায়-ইনসাফ ফিরবে না। লুটপাট... ...বাকিটুকু পড়ুন

×