বাংলা ভাষায় বহুল ব্যবহৃত ‘যথেষ্ট’ শব্দটিকে যদি তার আদি অর্থে ব্যবহার করার নির্দেশ আসে, তাহলে অনেক বাংলা বাক্য পাল্টিয়ে ফেলতে হবে। অন্ততপক্ষে ভাষাবিদরা বেকায়দায় পড়ে যাবেন। কারণ মূল অর্থে এখন আর ‘যথেষ্ট’ শব্দটিকে ব্যবহারের সুযোগ নেই।
বাংলা অভিধানগুলোতে যথেষ্ট শব্দের অর্থ হিসেবে এখন প্রচুর, অনেক, খুব, ঢের ইত্যাদিকে বেছে নেয়া হয়েছে। অথচ যথেষ্ট শব্দের মূল অর্থ ‘যথা বা যা ইষ্ট বা ইস্পিত’। সোজা কথায়, যা মঙ্গলকর ও অভিপ্রেত।
এ কারণে একজন গবেষক বলেছেন, যথেষ্ট খাওয়া হয়েছে বললে হয়তো এখনও শব্দটির মূল অর্থটির কাছাকাছি যাওয়া যাবে। কিন্তু যখন বলা হয়, লোকটি যথেষ্ট মার খেয়েছে, তখন কি আর মূল অর্থে ফিরে যাওয়া সম্ভব হবে? কষ্ট যে কারো ইষ্ট হয় না।
সংস্কৃত যথা + ইষ্ট = যথেষ্ট। সংস্কৃতে যথেষ্ট মানে ইচ্ছে মতো, ইচ্ছানুরূপ। কিন্তু বাংলায় প্রচুর (যথেষ্ট পরিমাণ পানি এখনো কুয়োটিতে রয়ে গেছে), ঢের বা খুব (যথেষ্ট হয়েছে, আর খেতে পারবো না)।
অভিধানকার রাজশেখর বসু অনেক, খুব অর্থে যথেষ্ট শব্দের ব্যবহারকে অশুদ্ধ বলেছেন।
আলোচিত ব্লগ
সাজানো ভোটে বিএনপিকে সেনাবাহিনী আর আমলারা ক্ষমতায় আনতেছে। ভোট তো কেবল লোক দেখানো আনুষ্ঠানিকতা মাত্র।

১০০% নিশ্চিত বিএনপি ক্ষমতায় আসছে, এবং আওয়ামী স্টাইলে ক্ষমতা চালাবে। সন্ত্রাসী লীগকে এই বিএনপিই আবার ফিরিয়ে আনবে।সেনাবাহিনী আর আমলাদের সাথে ডিল কমপ্লিট। সহসাই এই দেশে ন্যায়-ইনসাফ ফিরবে না। লুটপাট... ...বাকিটুকু পড়ুন
রাজনীতির পন্ডিত, ব্লগার তানভীর জুমারের পোষ্টটি পড়েন, জল্লাদ আসিফ মাহমুদ কি কি জানে!

সামুর রাজনীতির ডোডো পন্ডিত, ব্লগার তানভীর ১ খানা পোষ্ট প্রসব করেছেন; পোষ্টে বলছেন, ইউনুস ও পাকিসতানীদের জল্লাদ আসিফ মাহমুদ ধরণা করছে, "সেনাবাহিনী ও ব্যুরোক্রেটরা বিএনপি'কে... ...বাকিটুকু পড়ুন
নীল নকশার অন্ধকার রাত

কায়রোর রাস্তায় তখন শীতের হিম হাওয়া বইছিল। রাত প্রায় সাড়ে এগারোটা। দুইটা বড় সংবাদপত্র অফিস: আল-আহরাম এবং আল-মাসরি আল-ইয়াউম—হঠাৎ করেই আগুনে জ্বলে উঠলো। কিন্তু এই আগুন কোনো সাধারণ দুর্ঘটনা... ...বাকিটুকু পড়ুন
হাদি ভাই, ইনসাফ এবং একটা অসমাপ্ত বিপ্লবের গল্প

ইদানিং একটা কথা খুব মনে পড়ে। হাদি ভাই।
মানুষটা নেই, কিন্তু তার কথাগুলো? ওগুলো যেন আগের চেয়েও বেশি করে কানে বাজে। মাঝেমধ্যে ভাবি, আমরা আসলে কীসের পেছনে ছুটছি? ক্ষমতা? গদি? নাকি... ...বাকিটুকু পড়ুন
আগুন যখন প্রশ্নকে পোড়াতে আসে
আগুন যখন প্রশ্নকে পোড়াতে আসে[
স্বাধীন সাংবাদিকতার কণ্ঠরোধে রাষ্ট্রীয় ব্যর্থতা, মব-রাজনীতি ও এক ভয়ংকর নীরবতার ইতিহাস
চরম স্বৈরশাসন বা ফ্যাসিবাদী রাষ্ট্রেও সাধারণত সংবাদমাধ্যমের কার্যালয়ে আগুন দেওয়ার সাহস কেউ করে না। কারণ ক্ষমতা... ...বাকিটুকু পড়ুন

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।