চুড়ি আমি কোনদিন কিনিনি,
কোন চুড়ি ভালো, আর কোনটা মন্দ তাও জানিনা,
তাও গতরাতে আমি অনেকগুলো চুড়ি কিনেছি,
তোমার হাতভর্তি চুড়ি ভাবতেই কেমন একটা শিহরণ জাগে ।
পুরাটা শাহবাগ ঘুরে ঘুরে কুপির আলোর নিচ থেকে ঝলমলে চুড়ি কিনেছি,
চুড়ির খালা বলে, চুড়ি এতো বাছেন ক্যা?
আমি বলি, মনে রঙ, বিয়া করুম আর মনে মনে হাসি ।
জানোই তো, পাগলের সুখ মনে মনে,
যদিও চুড়ির চ টাও বুঝিনা, তাও আমি জানি আমি সবচেয়ে ভালো চুড়িটাই পছন্দ করেছি,
যে মানুষ তোমাকে পছন্দ করেছে, তার পছন্দ যে খারাপনা এটা আমি দিব্বি দিয়ে বলতে পারি ।
হাসছো ??
তোমার এই হাসিটা দেখবো বলে গতরাতে কত জল্পনা-কল্পনা
আহা ! তোমার মায়াভরা দুটা চকচকে চোখ,
নাকের ডগার ছোট্ট নাকফুল
ঠোঁটের কোনে মিষ্টি আভা
বলো তো বাবু, সুখী হওয়া কি খুব কঠিন ??
এই যে তুমি এটা পরছো, আমি মোহগ্রস্তের মতো তোমাকে দেখছি,
আমার চোখের দিকে তাকাও, একজোড়া সুখী চোখ দেখে নাও,
তোমাকে নিয়ে অনেক কবিতা লিখতে চেয়েও লিখতে পারিনি,
সুখী মানুষের কবিতা অনেক কঠিন সোনা,
বিরহের কবিতা তো সবাই লিখে, বিশুদ্ধ প্রেমের কবিতা লিখে কজন,
আমি তোমার জন্য আজ না হয় একটা বিশুদ্ধ প্রেমের কবিতা লিখেই ফেললাম ।