আজ ছিলো “বেতার দিবস” এবং একই সাথে বসন্তের আগমন। গাড়িতে বসে ভাবলাম বেতার চালিয়ে বসন্তের খবর নেওয়া যাক। আধুনিক বেতারে বসন্ত নিয়ে তেমন কোন হুলস্থুল পেলামনা। তারা অনেক ব্যস্ত আগামী কালকের “ভ্যালেন্টাইনস ডে”নিয়ে। বারবার বলছে “উহ আহ কাল ভালোবাসা দিবস। ফ্রেন্ডস এই উহ আহ ভালোবাসা দিবসের প্লান কি কি জানাও…লেট মি নো… ফাস্ট ফাস্ট উহ আহ…”।
বুঝলাম “ভালোবাসা” এদের কাছে “উহ আহ” এর চেয়ে বেশী কিছু নয়।
ভালোবাসা দিবস উপলক্ষে কাল শহরের ফাকা ফ্লাট গুলোতে অনেক দাবী মেটানোর ব্যাপার ঘটবে। ফ্লাটে যাবার মতো জোড়ালো নার্ভ যাদের নেই তারা অন্তত ফাকা ফাকা রাস্তায় রিক্সা ভ্রমনে বের হবে। বেছে বেছে রিক্সাওয়ালা নেওয়া হবে। বৃদ্ধ, কানে কম শোনে, ঘাড় ঘুরে পিছনে তাকানোর ক্ষমতা নেয়।
টিভি চ্যানেল গুলো জুড়ে “ভাই ব্রাদার” দের ইংগীত ময় কাব্য চলবে।
দেশের অন্যতম প্রতিভাবান সাংবাদিক আবার চটি লেখক হয়ে ওঠবে।“যায় যায় দিন” এর আড়ালে ভালোবাসা বলবে “যাই…যাই।“
কে এদের বুঝাবে এইসব ভালোবাসা নয়! এইসব ভালোবাসা নয়!!
ভালোবাসার সবচেয়ে গভীর অর্থ হতে পারে সংশোধন অথবা সংকল্প অথবা অপার্থিবতার প্রিয় স্পর্ষ।কবি রফিক আজাদের ভাষায়…
“যদি ভালবাসা পাই আবার শুধরে নেব জীবনের ভুলগুলি
যদি ভালবাসা পাই ব্যাপকদীর্ঘপথে তুলে নেব ঝোলাঝুলি ।
যদি ভালবাসা পাই শীতের রাতের শেষে মখমল দিন পাব
যদি ভালবাসা পাই পাহাড় ডিঙ্গাবো আর সমুদ্র সাঁতরাবো ।
যদি ভালবাসা পাই আমার আকাশ হবে দ্রুত শরতের নীল
যদি ভালবাসা পাই জীবনে আমিও পাব মধ্য অন্ত্যমিল ।“