আমি অত্যন্ত ক্ষুদ্র মনের মানুষ, হীন। আমি খেলার সাথে রাজনীতি, ইতিহাস মিছিয়ে একাকার করে ফেলি। আমি তাদের মতো মহানুভনব হতে পারিনা যারা খেলা আর রাজনীতির মিশ্রন কখনো করেনা। আমি অনুদার এবং অবশ্যই সময়জ্ঞান হীন, অতীত নিয়ে পরে থাকা এক পিছিয়ে পরা মানুষ। কিন্তু আমি আমার মতো আরো কিছু মানুষের দেখা পেয়েছি।
-ফকল্যান্ড নিয়ে ইংল্যান্ড আর্জেন্টিনার যুদ্ধের কথা সবাই জানে।ফকল্যনাড হারানোর দুঃখ আর্জেন্টিনা কখনোই ভোলেনি। ১৯৮৬ এর বিশ্বকাপে ম্যারাডোনা হাত দিয়ে গোল করে ইংল্যান্ড কে হারানোর পর তার বিখ্যাত কথা ছিলো “চোরের কাছ থেকে কিছু কেড়ে নিলে সেটা চুরী হয়না” । ম্যারাডোনা ফকল্যান্ডের কথায় বলেছিলেন। এখনো আর্জেন্টিনা বাসী মনে প্রানে ইংল্যান্ডের পরাজয় দেখতে চায় সব দিন। আর্জেন্টিনা ইংল্যান্ড খেলা আসলেয় আলোচনাই আসে “চোরের কাছ থেকে কিছু কেড়ে নিলে সেটা চুরী হয়না।“(সুত্র ঃঅসংখ্য জায়গায় পরেছি)
-ব্রাজিলে আসন্ন বিশ্বকাপে ব্রাজিল বাসীর দাবি ব্রাজিল যদি বিশ্বকাপ নাও যেতে অন্তত আর্জেন্টিনা যেনো বিশ্বকাপ না পায় ।(সুত্রঃ প্রথম আলো)
-ব্রাজিল – পর্তুগাল খেলা আসলেই কথা আছে দীর্ঘদিন ব্রাজিল পর্তুগালের উপনিবেশ ছিলো। খেলার চালিকা শক্তিও তাই হয়।
-এক বিশ্বকাপে ভারত ইংল্যান্ডকে হারানোর পর ইন্ডিয়ার প্রথম শ্রেনীর পত্রিকার হেড লাইন ছিলো “১৯৪৭ এর পর দ্বীতিয় বারের মতো বৃটিশ সুর্য অস্তমিত হলো” (সুত্র ঃআনন্দ বাজার)।
-আমি নিশ্চিত একজন ভারত বাসীও পাওয়া যাবেনা যে পাকিস্তান ম্যাচ হারলে খুশী হয়না আবার একজন পাকিস্তান বাসীও পাওয়া যাবেনা ভারত হারলে খুশী হয়না।
আমি আরো উদাহরন নিশ্চয় যোগাড় করতে পারি , তার চেয়ে বড় কথা আমি নিশ্চিত হয়ে গেছি পৃথিবী ভর্তি আমার মতো ছোট মনের মানুষই বেশী যারা রক্ত পানি করা ইতিহাস ভুলে যায়না।খেলার সাথে রাজনীতি মিশিয়ে বসে থাকে।
শুধু আমার দেশেয় আছে কিছু বড় মনের মানুষ, অত্যন্ত বড় মন। তারা পাকিস্তানের খেলার দিন পতাকা হাতে, মুখে পতাকা আকিয়ে স্টেডিয়াম ব বাড়ী কাপিয়ে চেচায়।আমার আফসোস আমি তাদের মতো বড় মনের হতে পারিনি।
অনেক আগে থেকেয় পাকিস্তান খেলতে নামলেই আমার মনে হয় “হেরে যা পাকিস্তান হেরে যা” । বছর তিনেক হলো ইন্ডিয়ার খেলা দেখলেও আমার মনে হয় “ হেরে যা ইন্ডিয়া হে্রে যা”।আজ ইন্ডিয়ার পরাজয় যেমন মন ভরে দেখেছি।
নিজের মনের ক্ষুদ্রতার জন্য আমি অত্যন্ত লজ্জিত।