আঙুল ফুলে কলা গাছ। অনেকে হয়েছে, হচ্ছে, সামনে হবে। সেরকম একজন আব্দুল কাদির মোল্লা সাহেব। যে লোকটি ৩৬০ টাকা জোগাড় করে এইস এস সি পরীক্ষা দিতে পারেন নি, তিনি এখন কোটিপতি। শুধু কোটিপতি না, কোটি টাকা দান খয়রাত করেন, মানবসেবায় ব্যয় করেন। টাকা থাকলে আর মন থাকলে এটা করতেই পারেন। ভাল কাজ।
এর মানে তিনি অনেক কিছুর উর্ধে না। টাকা অনেক কিছুরই নির্ণায়ক নয়।এটা প্রতিষ্ঠিত রাখতে হবে। বিশেষকরে একটা বিশ্ববিদ্যালয়ের।
আঙুল ফুলে কলাগাছ বললাম এই জন্য যে, তার টাকা হওয়ার গল্প টার জন্য। অনেকে ফেইসবুকে বলছেন, তিনি তিতাসে দুর্নীতি করেছেন, বিদেশে গিয়ে কি কি করেছেন ইত্যাদি। এ গুলোর ভিত্তি নেই। তবে তিনি বলেছেন, ‘.. এ মিলের উৎপাদন চালু হওয়ার পর থেকে বিশ্ববাজারে সূতার দাম কয়েকগুন বেড়ে যায়। এর ফলে ওই সময় স্পিনিং ব্যবসায় আমি বিশাল অঙ্কের লাভ খুঁজে পাই। এরপর থেকে এ পর্যন্ত আমাকে আর পিছু তাকাতে হয়নি।’ আর এই জন্যই বললাম...আঙুল ফুলে কলাগাছ।
এরকম কলাগাছ এর উদাহরণ আমাদের আশে পাশে অনেক আছে। zero থেকে hero । মেধা খাটিয়ে পরিশ্রম করেছেন, তাই সম্ভব হয়েছে। তিনি আমাদের টাকা income এর পথে মানী বা অনুসরণীয় হতে পারেন। নিঃসন্দেহে শিক্ষাক্ষেত্রে না।
হুম তিনি শিক্ষাক্ষেত্রে অব/দান রাখতে পারেন। খুব ভাল কাজ। যেমন চারটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছেন,বেশ কিছু প্রতিষ্ঠানে অর্থ সহায়তা দিচ্ছেন। এটা তার ইচ্ছা ছিল।
আলোচনা হচ্ছে জাবি র আব্দুল কাদির মোল্লা কনভেনশন সেন্টার নিয়ে।
হঠাৎ বিত্তবান একটা লোকের নামে বিশ্ববিদ্যালয়ে নামকরণ! এটা কিভাবে সম্ভব? এজন্য প্রশাসন ও ফাউন্ডেশন উভয়ই দায়ী।
মজিদ মোল্লা ফাউন্ডেশনঃ মোল্লা সাহেব বলেন, মনে একটা সংকল্প ছিল-জীবনে যদি কখনো অনেক টাকা রোজগার করি, তাহলে জীবন চালানোর পর যত টাকা উদ্বৃত্ত থাকবে, তা মানবকল্যাণে ব্যয় করব। টাকার অভাবে শিক্ষাবঞ্চিত হতে দেব না কাউকে।'
কথা হচ্ছে, কনভেনশন সেন্টারে কি শিক্ষা দান করা হয়? কনভেনশন সেন্টার কেন? যদি ব্যয় করার ইচ্ছা থাকে ত সরাসরি শিক্ষাক্ষেত্রেই করেন। জাবির student রা library পড়ার ছিট পায় না। অনেক department এ পর্যাপ্ত classroom নাই। প্রায় সব হলেই reading room নাই। কিছু দরিদ্র student টাকার অভাবে ঠিকমত পড়তে পারে না। library তে পড়ার বই নাই, lab এ instrument নাই।এসব ব্যাপারে মাথা না ঘামিয়ে কনভেনশন সেন্টার এর চিন্তা টা কেমন উদ্ভুট হলো না?? নাম ফুটানোর ফালতু চেষ্টা।
বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনঃ যার ধন আছে, সে দান করবে। এটা খুব ভাল। কিন্তু এই মানে, তার নামে নামকরণ করতে হবে, এটা মানা যায় না। বাংলাদেশে এরকম শত শত মোল্লা সাহেব আছেন, যারা অনুদান দিয়ে থাকেন। তাই বলে তার নামে নামকরণ করতে হবে। শুধু টাকা দিয়ে কি এটা হয়? তিনি কোথায় পড়েছেন, কি আবিষ্কার করেছেন, কি দর্শন সৃষ্টি করেছেন?
জাতির জনক, সালাম-বরকত,ববীন্দ্রনাথ, শেখ হাসিনা. ...জহির রায়হান, সেলিম আল দীন.. .টাকা দিয়ে কি তাদের কাতারে যাওয়া যায়??
সম্ভব? তাহলে মহান ব্যক্তিরা আস্তে আস্তে হারিয়ে যাবে, টাকার কাছে।।
হুম, এটা হতে পারত অন্য ভাবে।যেমন..
"সেলিম আল দীন কনভেনশন সেন্টার" অর্থায়নে - মজিদ মোল্লা ফাউ..
আপনাদের কাছে এরকম হলে জাতি কার কাছে কি আশা করবে..
তবে আমার কাছে মনে হচ্ছে, টাকার কাছে আমরা হেরে যাচ্ছি!!!!অর্থের বহুত খেমতা!!