সুচ বা ছুঁচ একটা তুচ্ছ ছোট জিনিস। কিন্তু তা খুবই দরকারি। সুচ যদি না থাকত তাহলে আমাদের জামা কাপড় আর সেলাই হতো না। হাজার হাজার বছর ধরে সুচ মানুষ কে সাহায্য করে আসছে। জামা কাপড় যে সুন্দর ভাবে সেলাই হয়ে সবার গায়ে উঠছে তাতেই বুঝা যায়। কত প্রয়োজনীয় জিনিস এ সুচ। আর ওদিকে লাক্ষ লাক্ষ লোক সুচ দিয়ে কাজ করে তাদের জীবিকা নির্বাহ করছে। সুচ যে কবে আবিস্কৃত হয়েছিল সে বিষয়ে নিশ্চিত ভাবে বলা কঠিন। তবে এটা ঠিক যে, মানুষ যে সময় জীব জন্তুর চামড়া বা গাছের বাকল ইত্যাদী পরিধার করত, তখন তাদের মাথায় সুচের মতো কোন জিনিসের ভাবনা ও এসেছিল। অন্তত সে সময় সুচের কাজ চালানোর মতো হাড়ের টুকরো, কাঁটা ইত্যাদীর কথা ভেবেছিল মানুষ। ঐ ধরনের জিনিস দিয়েই আসলে সে সময় সুচের কাজ চলত। ঐ সুচ দেখতে এখনকার সুচ থেকে ছিল ভিন্ন রকম। সে গুলোর পিছনে ছিদ্র থাকত না। আজ আমরা যে ইস্পাতের সুচ দেখতে পাই এর জম্ম হলো চীন দেশে। চীন থেকে এই সুচ পৌছায় ইউরোপে। সম্ভবত মার্কোপোলো তার ঐতিহাসিক বিভিন্ন যাএায় চীন থেকে সুচ নিয়ে যান। আর তাই চতুর্দশ শতাব্দীতে বর্তমান নুরেমবার্গ এ শুচ তৈরী আরাম্ভ হয়। ইংল্যান্ডের রানী এলিজাবেথের সময় এলিয়াস গ্রাউজ নামে এক জামর্ান ইংল্যান্ডের লোক জনকেসুচ তৈরীর কৌশল শিক্ষা দেন। পরবর্তিকালে সুচ তৈরীর ক্ষেএে ইংল্যান্ড হয় প্রথম,আর ফ্রানস হয় দ্্বিতীয়। আজকাল সুচ সব দেশেই তৈরী হয় । ইংল্যান্ডের উইস্টারশায়ারে 1971 সালর 20মার্চ এক স্কুল ছাএী দুঘন্টায় খুব ছোট একটি সুচে 3795 বার সুতো পরিয়ে এক অদ্্বিতীয় বিশ্ব রের্কড সৃষ্টি করেন।
সর্বশেষ এডিট : ৩১ শে ডিসেম্বর, ১৯৬৯ সন্ধ্যা ৭:০০

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।






