somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

নিজেই করুন নিজেকে জয়

১১ ই অক্টোবর, ২০১১ রাত ১০:০২
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

মঞ্চে উঠেই সৈয়দ হারুন কথা শুরু করেন। কখনও হাসিমুখে। কখনও গম্ভীরভাবে। মানুষের জীবনে সমস্যা দুটি। কথা শুনে আমরা মুখ চাওয়া চাওয়ি করি। একটি হলো ‘কী করব জানি না’। অন্যটি ‘কীভাবে করব জানি না’। তিনি বলতে থাকেন। আমরা নিজের খবর নিজেই রাখি না। জানিই না আমরা কী শক্তি নিয়ে বসে আছি। হতাশা, ভয়, পাওয়া না পাওয়ার অতীত আর ভবিষ্যতের শংকায় আমরা মুষড়ে পড়ি। দিন যত এগোয় সময় তত বদলায়। কিন্ত বদলায় না নিজের ভেতকার পদ্ধতিগুলো। ফলে না পাওয়া কিংবা অধিক পাওয়ার আকাঙ্খা আমাদের অস্থির করে তোলে। আমরা ক্রমেই হারিয়ে ফেলি শরীর ও মনের নিয়ন্ত্রণ।
কথাগুলো নতুন। চারপাশে যখন লক্ষ-কোটি ‘না’ এর বসবাস তখন ‘হ্যাঁ’ বোধক কিছু শুনলেই নতুন মনে হয়। সকালে পত্রিকা খুললেই ‘না’ বোধক আর ভয়ংকর সব খবর। টিভি অন করলে একই দশা। নাটকগুলোতে উচ্চবিত্তদের প্রেম কাহিনী আর বিলাসী জীবনের রঙচটা প্রকাশ মধ্যবিত্ত আর নি¤œবিত্তদের দীর্ঘশ্বাস ওঠায়। নাটকের ফাঁকে মিথ্যাচারে পূর্ণ বিজ্ঞাপনের থাবা আমাদের শিশুদের মনে কী যে সর্বনাশ করছে, সে খেয়ল কে রাখে।
সৃষ্টির সেরা মানুষ এখন নিজেকে নিয়ে ব্যস্ত। লাভের আশায় সবখানে চলছে ভেজালের শিল্প। মাছে ভেজাল। ওষুধে ভেজাল। ফলে ভেজাল। খাবারে ভেজাল। মাছওয়ালা ওষুধ খায়, ওষুধওয়ালা মাছ। ফলওয়ালা খাবার খায়, খাবার ওয়ালা খায় ফল। তাহলে কে কাকে ঠকায়?
আপন মনেই ভাবছিলাম এসব। সৈয়দ হারুন তখন বলছিলেন স্বপ্নপুরণের কথা। শত সমস্যায় কীভাবে নিজের মন ও শরীরকে নিয়ন্ত্রণে রেখে অগ্রসর হওয়া যায় নিজের লক্ষ্যের দিকে। কীভাবে সবকিছুতে নিজেকে পজেটিভ রাখা যায়। সঠিক সময়ে নেয়া যায় জীবনের সঠিক সিদ্ধান্তটি। তিনি বলেন হোঁজে সিলভার আবিস্কৃত পদ্ধতিটি।
মানুষের ব্রেইন ফ্রিকোয়েন্সি নিয়ন্ত্রণে রেখে শরীর ও মনকে সুস্থ রাখা যায়। ব্রেইন ফ্রিকোয়েন্সি প্রতি সেকেন্ডে ১৪ বা তদূর্ধবার স্পন্দিত লেভেলকে বলা হয় ‘বিটা’ লেভেল। এই লেভেলে ব্রেইন ফ্রিকোয়েন্সি যত বাড়তে থাকে মানুষের শরীরে তত ইনব্যালেন্সি তৈরী হতে থাকে। মানুষ তখন হয়ে ওঠে অস্থির ও উত্তেজিত। এভাবেই এক সময় সে আর নিজেকে ধরে রাখতে পারে না। তাই বিটা লেভেলে মানুষ ঘটায় নানা অঘটন। টেনশনের সময়ও মানুষের ব্রেইন ফ্রিকোয়েন্সি একইভাবে বেড়ে যায়। এতে ঘটে স্ট্রোক ও হার্ট এ্যাটাকের মতো ঘটনা। তাই ব্রেইন ফ্রিকোয়েন্সি নিয়ন্ত্রণে রাখা খুবই প্রয়োজন।
হোঁজে সিলভার ব্রেইন এ্যাবুয়েলেশন চার্ট অনুসারে প্রতি সেকেন্ডে ৭ থেকে ১৪ বার স্পন্দিত ব্রেইন ফ্রিকোয়েন্সি লেভেলকে বলা হয় ‘আলফা’ লেভেল। এটি সবচেয়ে কার্যকরী লেভেল। যে কোন সিদ্ধান্ত গ্রহণে বা সমস্যা সমাধানের উপযোগি লেভেল। ব্রেইন ফ্রিকোয়েন্সি প্রতি সেকেন্ডে ৪ থেকে ৭বার স্পন্দিত লেভেলটি ‘থিটা’ লেভেল। উন্নত দেশে যে সকল রোগীকে এ্যানেসথেসিয়া দেয়া সম্ভব হয়না তাদেরকে বিশেষ ব্যবস্থায় থিটা লেভেলে এনে ব্যথা মুক্ত সার্জারী করা হয়।

সবশেষ বা প্রতি সেকেন্ডে ১/২ থেকে ৪ বার স্পন্দিত ব্রেইন ফ্রিকোয়েনন্সির লেভেলটি ‘ডেল্টা’। হোঁজে সিলভার ভাষায় এই পর্যায় থেকে স্পিরিচুয়্যাল ডাইমেনশনে উচ্চ বুদ্ধি সম্পন্ন অতীন্দ্রিয় সত্ত্বার সাথে যোগাযোগ করতে পারা যায়। মন নিয়ন্ত্রণে হোঁজে সিলভার সর্বশেষ আবিষ্কার আলট্রা মাইন্ড ইএসপি সিসটেমে এই লেভেলে কাজ করা শেখানো হয়। বিশ্বের ৪০টি দেশের মতো বাংলাদেশে আলট্রা মাইন্ড ইএসপি কোর্সটির কান্ট্রি সুপারভাইজার ও একমাত্র প্রশিক্ষক এই সৈয়দ হারুন। কোর্সটির আয়োজক এমকিউ মিশন (৬/১০, ব্লক- এ, লালমাটিয়া, ঢাকা, মুঠোফোন : ০১৯১৫ ৪৯০৫৪১)।(সুত্র: http://www.silvaultramind.com)।
সৈয়দ হারুন বলেন, ‘মেডিটেট হয়ে শরীরের কোটি কোটি সেলকে কমান্ড করতে পারলে বিস্ময়করভাবে মানুষের নানা নেগেটিভিটিসহ শারীরিক ও মানসিক আসক্তি দূর হয়ে যায়। ফলে গভীর রিল্যাক্সজেশনের মাধ্যমে টেনশন, নিদ্রাহীনতা, মাথাব্যাথা, মাইগ্রেন, মাদকাসক্তিসহ যে কোন মানসিক চাপ থেকে মুক্তি মিলে।’ প্রতিদিন কয়েক মিনিটে পদ্ধতি নিয়মিত অনুশীলনে হতাশা,বিষন্নতা,নার্ভাসনেস,রাগ,ক্ষোভ,হিংসা,উত্তেজনা প্রভৃতি শুধু দূরই হয় না বরং মানুষের সাইকিক এ্যাবিলিটি বৃদ্ধি পায় অকল্পনীয়ভাবে। এতে অন্যের জন্য, অন্যের কল্যাণের জন্য মানুষের মনে পজেটিভ এ্যানর্জির সঞ্চার ঘটে। হোজেঁ সিলভা তার পদ্ধতিতে বলছেন, ‘তুমি অন্যের সাথে ঠিক সেই ব্যবহার কর যে ব্যবহারটি তুমি তার কাছ থেকে আশা কর।’ এতে মানুষের ব্যক্তিগত, দাম্পত্য ও পারিবারিক সম্পর্কসহ সকল সামাজিক সম্পর্কগুলো উন্নত ও সুন্দর হয়। পৃথিবীর প্রতিটি মানুষকে বয়সানুপাতে নিজের বাবা-মা, ভাই-বোন অথবা নিজের সন্তানের সমান মনে করতে বলেছেন হোঁজে সিলভা। তবেই মানুষ হয়ে উঠবে সুস্থ, সতেজ, প্রাণবন্ত ও তারুণ্যদীপ্ত। জীবন হয়ে উঠবে স্বপ্নের মতোই সাফল্যময়।
আমাদের প্রত্যেকেরই ব্যক্তিগত,পারিবারিক ও সামাজিক জীবনে রয়েছে নানা সমস্যা। প্রত্যেকেই চাই এই সমস্যাগুলোর শান্তিময় সমাধান। চাই রোগহীন চিন্তামুক্ত জীবন। না পাওয়ার বেদনা আমাদেরকে করে তুলেছে অস্থির। ফলে আমরা ধীরে ধীরে হারিয়ে ফেলছি নিজের আত্মবিশ্বাসটুকু। ফলে মনের স্বপ্নগুলো স্বপ্নই থেকে যাচ্ছে। অপরের ভাল ও কল্যাণের কথা চিন্তা করার মানসিক সক্ষমতা আমাদের মাঝে লোভ পাচ্ছে প্রবলভাবে। ফলে ক্রমেই ম্লান হয়ে যাচ্ছে মানবতা বোধটুকু। ঔষধ, ডাক্তার, ফকির, পাথর প্রভৃতির ওপর আমরা নির্ভর করছি, করছি অগাত বিশ্বাস। কিন্তু নিজের মানসিক শক্তির উপর বিশ্বাস থাকছে না বিন্দুমাত্র। অন্যরকম এক আমি যেন ফিরছি। ভাবছি এখনই সময় নিজেকে জানার। দৃষ্টিভঙ্গিটাকে বদলানোর। জীবনের বাকী সময়টুকুকে জীবনের শ্রেষ্ঠসময় রুপে গড়ে তোলার। তাই হতাশা, ব্যর্থতা আর দুঃখবোধগুলোকে বিদায় করে দিন। হয়ে উঠুন পরিশুদ্ধ, তারুণ্যদীপ্ত, সফল ও প্রাণবন্ত একজন মানুষ। দেখবেন স্বপ্নপূরণ তখন হাতের মুঠোয়।

মাই অয়েব

২টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। আমের খাট্টা

লিখেছেন শাহ আজিজ, ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৫৪



তাতানো গরমে কাল দুপুরে কাচা আমের খাট্টা দেখে ব্যাপারটা স্বর্গীয় মনে হল । আহা কি স্বাদ তার । অন্যান্য জিনিসের মত কাচা আমের দাম বাড়াতে ভুল করেনি... ...বাকিটুকু পড়ুন

ডাক্তার ডেথঃ হ্যারল্ড শিপম্যান

লিখেছেন অপু তানভীর, ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:০৪



উপরওয়ালার পরে আমরা আমাদের জীবনের ডাক্তারদের উপর ভরশা করি । যারা অবিশ্বাসী তারা তো এক নম্বরেই ডাক্তারের ভরশা করে । এটা ছাড়া অবশ্য আমাদের আর কোন উপায়ই থাকে না... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমার ইতং বিতং কিচ্ছার একটা দিন!!!

লিখেছেন ভুয়া মফিজ, ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৩:০৩



এলার্ম এর যন্ত্রণায় প্রতিদিন সকালে ঘুম ভাঙ্গে আমার। পুরাপুরি সজাগ হওয়ার আগেই আমার প্রথম কাজ হয় মোবাইলের এলার্ম বন্ধ করা, আর স্ক্রীণে এক ঝলক ব্লগের চেহারা দেখা। পরে কিছু মনে... ...বাকিটুকু পড়ুন

বিসিএস শুধু দেশের রাজধানী মুখস্ত করার পরীক্ষা নয়।

লিখেছেন ...নিপুণ কথন..., ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৩:১৪

"আমার বিসিএস এক্সামের সিট পরেছিলো ঢাকা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট এ, প্রিপারেশন তো ভালোনা, পড়াশুনাও করিনাই, ৭০০ টাকা খরচ করে এপ্লাই করেছি এই ভেবে এক্সাম দিতে যাওয়া। আমার সামনের সিটেই এক মেয়ে,... ...বাকিটুকু পড়ুন

কে কাকে বিশ্বাস করবে?

লিখেছেন অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য , ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৩৯


করোনার সময় এক লোক ৯৯৯ এ ফোন করে সাহায্য চেয়েছিল। খবরটা স্থানীয় চেয়ারম্যানের কানে গেলে ওনি লোকটাকে ধরে এনে পিটিয়েছিলেন। কারণ, ৯৯৯ এ ফোন দেওয়ায় তার সম্মানহানি হয়েছে।

সমাজে এমন... ...বাকিটুকু পড়ুন

×