এশেলনের সূচনা কোলড ওয়ারের সময়। আমেরিকার এনএসএ আর ইউকের গভর্নমেন্ট কমিউনিকেসনস হেডকোয়ার্টারস এর যৌথ উদ্যোগে চালিত এশেলন প্রজেক্ট অহর্নিশ স্যাটেলাইট, ইন্টারনেট, রেডিও, ফ্যাক্স, ইমেইল, ফোন ইত্যাদি সকল প্রকার যোগাযোগের উপর কান পাতছে।
এশেলনের আছে অকল্পনীয় কম্পিউটিং ফার্ম । লোকে বলে এটা ফোর্ট মিডের আন্ডারগ্রাউন্ডে সহাপিত। এই ফার্মে সুপার কম্পিউটার গুলো এতোই দ্রুতগতির যে প্রতি মুহুর্তে এরা বিশ্বব্যাপী সকল রকম যোগাযোগের বিশ্লেষন করতে পারে, তা সে যতো কঠিনভাবেই এনক্রিপটেড করা হোক না কেন।
এশেলনের কল্যানেই 2003 এ পাকিস্তান থেকে আলকায়েদার খালিদ শেখ মোহামেদকে পাকরাও করা সম্ভব হয়।
তবে এনিয়ে চিন্তিত ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন। এশেলনের হাত থেকে বাচতে তারা 11 মিলিয়ন ইউরো খরচ করে উদ্ভাবন করতে ব্যস্ত কোয়ান্টাম ক্রিপটোপ্রাফি ।
অভিযোগ করা হয়, বুশ প্রশাসন 2002 সালে এই প্রযুক্তিকে অভ্যন্তরীন আড়িপাতার কাজেও ব্যবহার করতে শুরু করেছেন।
তবে সবচে' স্পর্শকাতর অভিযোগ হল মার্কিনিরা এটাকে অনৈতিক অর্থনৈতিক সুবিধার জন্য ব্যবহার করছেন। বালটিমোর সান এর খবরে বলা হয়েছিল, সাউদি আরাবিয়াতে এয়ার বাস 6 বিলিয়ন ডলারের ব্যবসা হারায় কারন এনএসএ এবিষয়ক সমস্ত ফ্যাক্স ও যোগাযোগ চুরি করে শুনে ফেলে এবং প্রতহিত করতে উদ্যত হয়। একই অভিযোগ ওঠে মার্কিন কোম্পানী রেথিওনের বিরুদ্ধে, যারা আড়ি পাতা খবর ব্যবহার করে ব্রাজিলে 1.4 বিলিয়ন ডলারে কাজ হাতিয়ে নেয়, ফ্রানসের টমসনকে ডিঙ্গিয়ে!
ভাগ্যিস সফদর আলী চিরকুমার! নাহলে এশেলনে বন্দী হতো যাবতীয় রগরগে প্রেমালাপ..
[link|http://en.wikipedia.org/wiki/ECHELON|mywe
সর্বশেষ এডিট : ২৩ শে জুলাই, ২০০৬ বিকাল ৪:১০

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




