ইয়োকোহামার রাইকেন রিসার্চ এর তৈরি এমডিগ্রেপ-3 সেকেন্ডে এক কোয়াড্রিলিয়ন গননা করতে পারে। চলতি ভাষায় এর স্পিড হল 1 পেটাফ্লপ!!!!!!!! ওয়াও!!
4 বছরের গবেষনা আর 9 মিলিয়ন ডলার খরচ করে তৈরি এমডিগ্রেপ-3, বর্তমান দ্রুততম সুপার কম্পিউটার আইবিএম এর ব্লুজিন এল এর চাইতে তিনগুন দ্রুততর।
আমেরিকানরা কি এতে ভয় পাবে ? না, কারন পৃথিবীর সেরা 500 সুপার কম্পিউটারের মধ্যে 298টি আমেরিকান, 35টি ব্রিটেনের, জাপানের 29টি, চীনের 28টি আর জার্মানীর দখলে 18টি।
বলা হয় যে দেশের সুপার কম্পিউটারের সংখ্যা যতো বেশী সে দেশ অর্থনীতি, সামরিকক্ষেত্র ও জ্ঞান-বিজ্ঞানে ততো উন্নত।
কিন্তু সুপার কম্পিউটার কেন এতো গুরুত্বের?
কারন প্রধানত এর সমস্যা সমাধানের ক্ষমতা। এগুলোকে ব্যবহার করে বিস্ফোরন না ঘটিয়েই করা যায় পারমানবিক গবেষনা, ব্যবহার করা যায় জটিলতম এরোনটিক্যাল ও অটোমোবাইল ইঞ্জিনিয়ারিং ডিজাইনের জন্যেও। এছাড়া আবহাওয়ার পূর্বাভাষ, জ্যোতিপর্দার্থ বিদ্যার তত্ত্ব পরীক্ষা, সিমুলেশন প্রভৃতি কাজে সুপার কম্পিউটারের ব্যবহার দিতে পারে গুরুত্বপূর্ন সিদ্ধান্ত।
কিন্ত জাপানীদের এই এমডিগ্রেপ-3 ব্যবহৃত হবে প্রোটিন নির্বাচনে, যা কিনা নতুন ঔষধ তৈরিতে সাহায্য করবে। এমডিগ্রেপ-3 সেকেন্ডের মধ্যেই প্রোটিন বিচার করতে পারে, ত্রিমাত্রিক ভিাবে দেখাতে পারে অনুর গঠন, বলতে পারে কোন যৌগ কিভাবে কোন ভাইরাস (যেমন এইচআইভি) বা কোন প্রোটিনের এর সাথে যুক্ত হবে, জানাতে পারে কতো দৃঢ় হবে সেই বনধন।
মজার ব্যাপার হল এমন অসাধারন ক্ষমতা সুপার কম্পিউটার তৈরি 9 মিলিয়ন ডলার খরচ করা, তুলনা মূলক বিচারে, ব্যয় হিসেবে খুবই কম! এর প্রধান কারন অবশ্য জাপানী বিভিন্ন কোম্পানীর (হিতাচি, এনইসি, এসজিআই জাপান) সহযোগিতা। আইবিএম এর জন্য যেখানে গিগাফ্লপ প্রতি খরচ 140 ডলার, এমডিগ্রেপ-3 এর জন্য তা মাত্র 15 ডলার!!!
দেখাই যাক, মার্কিনিরা আবার কবে শিরোপা ছিনিয়ে নেয় ....
[link|http://www.businessweek.com/globalbiz/content/jul2006/gb20060726_150659.htm?chan=topStories_ssi_5|g~j c
সর্বশেষ এডিট : ৩১ শে ডিসেম্বর, ১৯৬৯ সন্ধ্যা ৭:০০

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




