বিজয়ের মাসে লেখাটা না লিখে পারলাম না।
আমার মাকে অনেকবার কাঁদতে দেখেছি। একই কারনে।
আমার মামা মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন। একবার একটা অপারেশন শেষে কয়েক মিনিটের জন্য বাড়িতে আসে। খেতে বসে। ছেলেকে পেয়ে খুশি তার বাবা। খুশি তার মা। ভাইকে পেয়ে খুশি তার বোনেরা। কিন্তু সেই খুশিটা শেকড় গজাতে পারেনি। এলাকার বড় মৌলভী, বিষ-ইষ্ট ধর্মসেবী, ফাকিস্তানের অখন্ডতা রক্ষায় নিবেদিত প্রাণ "ইশহাক" বেহেস্তের ৭০ টা পরীর লোভে তার আল-বাঁদড় বাহিনী নিয়ে ঠিক তখনি আমার নানার বাড়ি হানা দেয়, যখন হয়তো অনেকদিন পরে মামা গরম ভাতে হাত দিয়েছে। মামাকে "ইশহাক" এর জেলখানায় থাকতে হয় ২দিন। মামার শেষ নিশ্বাসটুকু বের হওয়াই বোধ হয় বাকি ছিল।
প্রিয় পাঠক, ভাববেন না, অত:পর মামাকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছিল। হায়েনার দল একবার কাউকে ধরলে কাউকে ছাড়েনি কখনো। আমার বিশ্বাস, আপনাদের কল্পনার শিখর দিয়েও ভাবতে পারবেন না তারা কিভাবে মেরেছিল আমার মামাকে।
আমার জীবন্ত মামাকে তারা বস্তায় বন্ধি করে যমুনার জলে ফেলে যায়।
আমার মামার হাতের স্পর্শ আমরা কখনো পাই নি।
আমার মামার কবর আমরা কখনো দেখিনি।
শুধু মায়ের চোখে জল দেখেছি।
শুধু নানীর চোখে জল দেখেছি।
আমরা সেই যুদ্ধ দেখিনি বলেই হয়তো মায়ের চোখের জলের মূল্য বুঝিনা।
মা,
তুমি আর কাদবে না বলো....
আমরা আবার যুদ্ধে যাবো........
রণক্ষেত্রে আমরা আবার রক্ত ঝরাবো...খুনীর রক্ত......
বাহুতে তোমার আচল বেধে দাও মা......
৩০লক্ষ শহীদের সার এই মাটিতে মিশে আছে বলেই...
আমরা ১৫কোটি হয়ে বেচে আছি......
আমরা যুদ্ধে যাবো........
খুনীর রক্তে হাত লাল করে তবেই মুক্তি....।
তুমি আর কাদবে না বলো....

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




