somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

***মেঘ রঙ ***

১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ৯:০৩
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

নীহা লাজুক লাজুক ভঙ্গীতে বসে আছে জিসানের মুখোমুখি হয়ে।কেমন যেন একটু একটু নার্ভাসও লাগছে তার।নার্ভসনেসটা কাজ করার একটাই কারন আজ তাকে দেখার পর ছেলের মত যদি নেগেটিভ হয় তাহলে খুব বেশি কষ্ট পাবে,কারন যেদিন নীহার আম্মু জিসানের ছবি এনে তাকে দেখিয়েছিলো সেদিন এক দেখাতেই খুব বেশি ভালো লেগেছিলো,বলতে গেলে মনের মাঝে গেঁথে গিয়েছিলো।অতটা আহামরী সুন্দর না হলেও ছেলেটা যে একজন ব্যাক্তিত্বসম্পন্ন মানুষ সেটা এক নজরেই যে কেও বলবে যেটা নীহা সবসময়ই চেয়েছিল।আর তাছাড়া ছেলেটার চেহারার দিকে তাকালে কেমন যেন মায়া কাজ করে।এত মায়াময় চেহারা এর আগে কখনই কারও মাঝে দেখেনি সে।জিসানের ছবি দেখতে দেখতে এক সময় জিসানের সাথে নিজেকে কল্পনা করা শুরু করে দেয়।কবে যে এই ছেলের প্রেমে পড়ে গেছে সেটা সে নিজেও বুঝতে পারেনি।আর তাই নীহা খুব করে চাচ্ছিলো পজিটিভ কিছু যেন হয়!!

কথাবার্তার এক পর্যায়ে জিসানের মা নীহার পাশে এসে বেশ কিছুক্ষন তার দিকে তাকিয়ে থেকে বলেন ‘মা, তোমাকে এক দেখাতেই আমার খুব পছন্দ হয়েছিল,কিন্তু ছেলে আমার খুব চুপচাপ স্বভাবের কিছু শেয়ার করবেনা কিছু বলবেও না..কিন্তু তোমার মত এত সুন্দর মেয়ের ছবি দেখে আমার ছেলেও আর চুপ থাকতে পারেনি। কথাটা বলে হাসতে হাসতে নীহার হাতটা টেনে নিয়ে আঙ্গুলে রিংটা পড়িয়ে দেন।রিংটা পড়ার সাথে সাথে এক অদ্ভুত ভালো লাগায় মনটা ভরে যায় নীহার। নীহার ইয়ার ফাইনাল পরীক্ষা শেষ হতে আরও ২ মাসের মত লাগবে।ঠিক হয় তার পরীক্ষা শেষ হওয়ার পর পরই তারিখ ঠিক করে এক বারের জন্যই নীহাকে ছেলের বউ করে না নিজের মেয়ে করে ঘরে তুলবে।একমাত্র সন্তান বলে কথা…!

ব্যস এখান থেকেই শুরু তাদের পথচলা।স্বপ্নের সুতা গাঁথা।কল্পনার জগতকে প্রসারিত করা সবকিছুই।একবার ফোনে কথা শুরু করা মানেই কথার পিঠে কথা বলতে বলতে কিছু মুহুর্তকে মনের মাঝে আটকে রাখা।সময় কেটে যায় তবুও কথা বলা যেন আর শেষ হয়না।যেদিন জিসান প্রথম নীহাকে ফোন দেয় সে ভেবেছিলো নীহাকে চমকে দেবে কিন্তু ঠিক তার বিপরীতটাই হয়েছে।জীসানই চমকে গিয়েছিলো।রাত ১২টায় জিসান নীহার নম্বরে ফোন দিয়ে জিগেস করেছিলো

-কেমন আছেন মিস নীহা?

উত্তরে গলার স্বরটা একটু কঠিন করে নীহা বলেছিলো

-কে তুমি?আমি নীহার আম্মু।

সাথে সাথেই ফোন কেটে দেয় জিসান।হাসতে হাসতে লুটোপুটি খায় নীহা।ভাবে কি ভীতু রে ছেলেটা বাবা,কিছু না বলেই এভাবে ফোন রেখে দিলো!!

নীহাকে জিসানের মা নাম্বারটা দেয়ায় সে আগে থেকেই তার নাম্বার সেভ করে রেখেছিলো।কিন্তু এই ব্যাপারটা জিসান জানতোনা।জিসানকে এভাবে ভড়কে যেতে দেখে নীহা একা একাই অনেক হাসে।পরক্ষনেই নীহা কল ব্যাক করে।জিসান ফোন রিসিভ করা মাত্রই নীহা বলে উঠে
-আপনি তো দেখছি মারাত্মক ভীতু।
-আ আ আপনি মানে আপনি নীহা?? তার তোতলানো দেখে হাসির মাত্রা আরও বেড়ে যায় নীহার।হাসতে হাসতে বলে
-জি জি জি আমি নীহা।এবার তোতলানো বন্ধ করেন।আর ভয় পেতে হবে না আমি নীহার আম্মু না আমি হচ্ছি নীহা বুঝেছেন মিস্টার ভীতু ?

নীহার স্বভাবটাই এমন।কথায় কথায় হেসে লুটোপুটি খায় আর খুব বেশি কথা বলে।তার সবচেয়ে বড় গুনটা হচ্ছে সবাইকেই খুব সহজেই আপন করে ফেলতে পারে।জিসানের ক্ষেত্রেও তাই হয়েছে।যে ছেলে নাকি অনেক চুপচাপ আর শান্ত স্বভাবের সেই ছেলেই কিনা এখন নীহার সাথে সারাক্ষন বক বক করতেই থাকে।ফোন করার পর থেকেই শুরু হয়ে যায় বকবকানী।নীহাই এখন আর কথা বলার চান্সও পায়না এই ছেলের বকবকানীর জ্বালায়।জিসানের কথার ফুলঝুরি দেখে বেশ অবাক হয় নীহা।একদিন সে খোচা দিয়ে জিসান কে বলে ‘আপনি নাকি খুব চুপচাপ…এই আপনার চুপচাপের নমুনা…’!!

জিসানও কম যায় না ।সেও ফাজলামো করে গম্ভীর হয়ে বলে ‘যদি বল তাহলে একদম চুপচাপ হয়ে যাবো…আর বক বক করবোনা…আর বেশি কথা বলবোনা… কি হব’??

এই কথা শুনার সাথে সাথেই নীহার কিছুক্ষন চুপ থেকে ফোনের লাইন কেটে দেয়।আর মনে মনে হাজার বকা দিতে থাকে…!!!সাথে সাথেই জিসানের ফোন আসে।রিসিভ করেই ইচ্ছা মত তাকে ঝাড়া শুরু করে নীহা
-কেন এভাবে কথাগুলো বললে?আমি কি আপনার সাথে ফাজলামোও করতে পারবোনা?ওকে যান সব কথায় যদি সিরিয়াস হন তাহলে আমিও আর কখনই ফান করবোনা।আমিও সবসময় সিরিয়াস থাকবো?কি খুশি?
এক নিঃশ্বাসে কথা গুলো বলে যায় নীহা।
নীহার কথা গুলো শুনে হো হো করে হেসে উঠে জীসান।

-বোকা আমি যে তোমার সাথে ফান করেছি সেটাও বুঝোনি দেখছি?ওকে রাগ থামাও।একটা কথা বলি রাখবা?

কিছু ক্ষন চুপ থেকে উত্তর দেয় সে

-কি কথা?

-চল কাল দেখা করি।না করোনা প্লিজ !!

নীহা এই মুহুর্তটার অপেক্ষায়ই ছিলো এতদিন।কারন যেদিন জিসানের আম্মু তাকে রিং পড়িয়ে দিয়ে যায় সেদিন জিসান তার মুখোমুখি বসলেও একবারের জন্যও মুখ তুলে তাকায়নি তার দিকে।দু চোখ মেলে দেখা হয়নি মনের মানুষটিকে। তাই সেও মনে মনে চাচ্ছিলো বিয়ের আগে অন্তত একবার হলেও দেখা করবে।আর তাইতো এই মোক্ষম সুযোগটা হাত ছাড়া করেনি।


সেদিন ছিল রবিবার।বিকাল ৪টায় বসুন্ধরায় জিসানের সাথে দেখা করার জন্য সকাল থেকেই অস্থির হয়ে থাকে নীহা।কখন ঘড়ির কাটা ৪টায় পৌছুবে,কখন আসবে সেই মিষ্টি ক্ষন!বের হবার আগে নীহা নিজেকে অনেক সুন্দর করে অনেক সময় নিয়ে রেডি করেছিলো।আজ সেই মানুষটার সাথে প্রথমবারের মত একান্তে কিছু সময় কাটাবে।আজ মনের না বলা অনেক কথা শেয়ার করবে ভাবতেই কেমন যেন লজ্জায় লাল হয়ে যায় সে।বেশ কিছুক্ষন আয়নার প্রতিবিম্বের দিকে তাকিয়ে থেকে নিজকে শেষ বারের মত দেখে নেয়।এরপর বের হয় প্রিয় মানুষটার সাথে দেখা করার জন্য।যাওয়ার সময় রাস্তার ছোট একটা মেয়ের কাছ থেকে এক গুচ্ছ গোলাপ ফুল কিনে নেয়।নীহার চেহারার মাঝে যেন একধরনের খুশির আলোকচ্ছটা ভেসে উঠছিলো।

তখন দুপুরের কড়া রোদ তার সেই কাঠিন্যতা থেকে ধীরে ধীরে স্তিমিত হয়ে আসছিলো।বিকেলের আকাশ থেকে সোনা ঝরা রোদ এসে ঝরে ঝরে পড়ছিলো তাদের দুজনের উপর।বেশ অনেকটা সময় তারা পাশাপাশি হেটেছিলো।অনেকটা সময় কাটিয়েছিলো একসাথে।সেদিনই কথা দিয়েছিলো যত বাঁধাই আসুক পাশাপাশি থাকবে সারাটি জীবন।এক সময় সূর্যের আলো মিলিয়ে গেলে দুজন দুজনের কাছ থেকে বিদায় নিয়ে যে যার পথ খুঁজে নেয়।

বাসায় ফিরেই সোজা মায়ের রুমের দিকে রওনা দেয় নীহা।আজকের সারাদিনের ঘটনা যতক্ষন পর্যন্ত না মায়ের কাছে বলবে ততোক্ষন যেন শান্তি লাগবেনা।নীহা তার সব ব্যাপারই তার মায়ের কাছে শেয়ার করে।এমন কোন কিছু নেই যে মায়ের কাছে লুকিয়েছে।

কিন্তু……

রুমের কাছে যেতেই নীহা থমকে দাড়ায়।কি শুনছে এসব?মা কান্না করছে আর বলছে তোমার দোহাই তাদেরকে কিছু বল না!!মেয়ে জানতে পারলে কিছুতেই মেনে নিতে পারবেনা এই ব্যাপারটা।

আর বাবা খুব কঠিন গলায় বলছেনঃ

-আমি বিয়ের আগেই নিহার ব্যাপারটা সব জিসানকে জানাবো।সব শুনে সে যদি এ বিয়েতে আপত্তি না করে তাহলে তো ভালোই।যা ঝামেলা হবার বিয়ের আগেই হোক বিয়ের পর মেয়ে কষ্ট পেলে সহ্য করতে পারবোনা।

নীহা যেন নিঃশ্বাস নিতে ভুলে যায়।কি এমন কথা কি হতে পারে?কি এমন ব্যাপার যে জিসান বিয়ে করবে কি করবেনা সেই ব্যাপারে সন্দিহান মা বাবা?মাথায় কিছুই ঢুকেনা তার। সে ঠায় দাঁড়িয়ে থাকে।

এরপর মায়ের কন্ঠস্বর ভেসে আসে
-কি বলবে তুমি জিসানকে?
-যা সত্য তাই বলবো।নীহাকে যে আমরা একটা গরীব মহিলার কাছ থেকে কিনে নিয়েছি সেটা সরাসরিই বলে দেবো… নীহার বাবা কিছুক্ষন নীরব থেকে আবার বলা শুরু করে কেন এমন কি হয়না নাকি?আর সবচেয়ে বড় কথা আমরা তো নীহাকে কখনই অন্য কেও ভাবিনি।সবসময় নিজের মেয়েই ভেবে এসেছি তাহলে মেয়ে কেন মানবে না বল?
আর মেয়ে আমার কোন অংশে কম বল পড়া শুনায় ভালো দেখতে শুনতেও খারাপ না তাহলে কেন জিসানও বা কেন অমত করবে?

নীহা নিজের কান কে যেন বিশ্বাস করতে পারেনা।হঠাত করেই তার মনে হয় সারা পৃথিবী দুলছে।হাটার শক্তিটাও যেন হারিয়ে ফেলেছে।কোন মতে নিজের রুমে গিয়ে দরজা লাগিয়ে দেয়।

মা বাবার কথাগুলো বার বার প্রতিধ্যনি হতে থাকে।ভাবতে থাকে ‘এও কি সম্ভব!!যাকে এতটা বছর নিজের মা বাবা বলে জেনে এসেছি এদের সাথে আমার কোনই রক্তের সম্পর্ক নেই?আমি আমার মায়ের পেটে ধরা সন্তান নই? আর নিজের মা ই বা কেমন আমাকে এভাবে বেঁচে দিয়েছে…’

বালিশের মাঝে মুখ ঢেকে কান্না ফুপিয়ে কান্না করতে থাকে।তার কাছে মনে হয় এই পৃথিবীর সব মানুষই অনেক বেশি স্বার্থপর।সবাই নিজের স্বার্থটাই ভাবে।তানা হলে কিসের স্বার্থে আমাকে এভাবে অন্য কারও কাছে বিক্রি করে দেবে?আর কেনই বা এতটা বছর মা বাবা এসব গোপন করে রাখবে??আর ভাবতে পারে না নীহা…

অনেকটা সময় কেটে যায়। নীহার মা রুমের দরজা ঠেলে ভেতরে এসে দেখে যে অন্ধকারে নীহা বসে আছে।বুকের ভেতরটা কেঁপে করে উঠে তাঁর।সব কিছু শুনে ফেলেনি তো! কাছে গিয়ে বসে কপালে হাত দিয়ে জানতে চান বাসায় কখন এসেছে…আর ওমনী নীহা এক ছটকায় হাতটা সরিয়ে ফেলে।এরপর খুব কঠিন সুরে বলে ‘এতদিন আমাকে জানাও নি কেন এই কথাটা?কেন এত বড় ব্যাপার গোপন করেছ?’তেমন কোন জবাব দিতে পারেন নি উনি।শাড়ির আঁচল দিয়ে মুখটাকে লুকিয়ে ডুকরে কেঁদে উঠেন। ‘তুই আমারই মেয়ে, আমার কলিজা,আমার মানিক’ রূম থেকে বেড়িয়ে যাবার আগে শুধু এটুকুই বলে চোখের পানি ফেলতে ফেলতে চলে যান।

এরপর থেকেই নীহার মাঝে অনেক বড় একটা পরিবর্তন চলে আসে।সে খুব বেশি চুপচাও হয়ে যায়।জিসান ফোন করলেও শুধু ‘হু’ ‘হ্যা’ বলে জবাব দেয়।এর বেশি একটা কথাও যেন তার মুখ দিয়ে বের হয়না।মাঝে মাঝে জিসানের ফোনও পর্যন্ত রিসিভ করেনা সে।নিজেকে কেমন যেন গুটিয়ে নেয় সব কিছু থেকেই।সারাক্ষন মন মরা হয়ে বসে থাকে।এভাবেই বেশ কিছু দিন কেটে যায়।

একদিন নীহা তার মায়ের কাছে গিয়ে বলে- ‘মা আমাকে নিয়ে ভেবোনা,যে মহিলা আমাকে পেটে ধরেছে আমি কখনই তার কাছে যেতে যাবোনা,ইনিফেক্ট তাকে দেখতেও চাইবোনা।শুধু তুমি আমার সামনে কখনই কাঁদবেনা’ বলেই সোজা ছাদে গিয়ে মনের ভেতর জমানো কষ্ট গুলো মেঘেদের কাছে পাঠিয়ে দেয়ার ব্যর্থ চেষ্টা করে সে।এক সময় নিচের মাঠ থেকে চিৎকার চেচামেচি শুনে নিচে তাকিয়ে দেখে কতগুলো বাচ্চা ছেলেমেয়ে কি নিয়ে যেন ঝগড়া করছে।নীহার খুব ইচ্ছা হয় এদের মতন সেই ছোটবেলায় ফিরে যেতে।যেখানে থাকবেনা কোন কষ্ট কোন রাগ বা কোন মন ভাঙ্গার খেলা।সময়টা বড় নিষ্ঠুর।নিষ্ঠুর এই জগতের মানুষগুলো।তা না হলে কেনই বা তারই নিজের মা এভাবে করে আরেকজনের কাছে বিক্রি করে দেবে…আর ভাবতে পারেনা।চোখ ভেঙ্গে কষ্টগুলো বের করে দিতে চায়…

-কেমন আছো মিস নীহা??

আচমকা এমন প্রশ্নে চমকে গিয়ে পেছনে ফিরে তাকায় সে।জিসান এসে দাঁড়িয়ে আছে।খুব অবাক হয়ে যায় তাকে দেখে। তার খুব ইচ্ছা হয় ছুটে গিয়ে তাকে জড়িয়ে ধরে বলবে আমার কষ্ট গুলো বের করে দাও আমি যে আর বইতে পারছিনা।কিন্তু নিজেকে সামলে নেয় সে...…
খুব গম্ভীর হয়ে বলে
-কেন এসেছেন আপনি?সব জেনে গেছেন এত দিনে তাই না?এখন কি বলতে এসেছেন হু?নিশ্চয় এটাই বলবেন যে আমি খুবই দুঃখিত এই বিয়েটা আমার পক্ষে করা সম্ভব না।নাকি করুনা দেখাবেন?শুনেন আমার মা বাবা……ওহ আমার মা বাবা তো আমাকে বিক্রিই করে দিয়েছে… যাই হোক উনারা আমাকে এতটা বছর অনেক বেশি করুনা দেখিয়েছেন।আর কেও না দেখাইলেও চলবে।আমি আর কারও করুনার পাত্র হতে চাইনা…আপনি এক কাজ করেন আমাকে না বলে আমার মা বাবাকে গিয়ে বলে দেন যে ‘আপনার পক্ষে এই বিয়েটা করা সম্ভব না…’

অবাক হয়ে শুনতে থাকে নীহার বলা কথা গুলো।আর এক দৃষ্টে তাকিয়ে থাকে মেয়েটার পানে।কান্না করতে করতে মেয়েটার চোখ দুটো ফুলে যাওয়ায় সৌন্দর্য যেন আরও বেশি বেড়ে গেছে।নীহার জন্য খুব বেশি মায়া কাজ করতে থাকে জিসানের।আর তখনই সে বুঝতে পারে অল্প ক দিনেই যে সে মেয়েটাকে অনেক বেশি ভালোবেসে ফেলেছে।

জিসান নীহার কাছে গিয়ে তার দু হাত টেনে নিয়ে বলে ‘শোন মেয়ে, তোমার অতীত ভবিষ্যত জানার আমার বিন্দু পরিমানও ইচ্ছা নেই।আমার শুধু এই পাগলি মেয়েটাকেই লাগবে।আমার জীবনে মিস নীহা নামের মেয়েটা হলেই আর কিছু লাগবেনা।আমি তোমাকে হারাতে চাইনা,তোমার সাথেই বাকিটা জীবন কাটিয়ে দিতে চাই ,আমি সারাটা জীবন তোমার পাশাপাশি থাকতে চাই…’

তখন সূর্য ডুবি ডূবি করেও ডুবছিলোনা।আকাশ থেকে সারাদিনের গুমোট বেঁধে থাকা মেঘের ধূসর রঙগুলো কেটে গিয়ে সূর্যের লাল আভায় চারিদিকে একটা লালচে রঙ বিরাজ করছিলো। জিসানের কাছ থেকে এমন কথা শোনার পর নীহা জিসানের বুকে মাথা গুজিয়ে সমস্ত কষ্টকে বের করে দেয়। হঠাত করেই তার মনে হয় - “সুখ সে তো অনেক মূল্যবান একটা জিনিস…এই মূল্যবান জিনিসটাকে কোন মতেই হারাতে দেয়া যায়না…”


**গল্পটা লিখতে চেয়েছিলাম এক রকম লেখা শেষে দেখি আরেক রকম হয়ে গেছে।লুতুপুতু গল্প লিখতে চাইনাই তবুও লুতুপুতু টাইপ হয়েজ্ঞেছে!!!বুচ্চি আমারে দিয়া ভালো লেখা হবেই না /:) **

সর্বশেষ এডিট : ০১ লা এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১০:২১
৫০টি মন্তব্য ৫০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ছি , অবৈধ দখলদার॥ আজকের প্রতিটি অন‍্যায়ের বিচার হবে একদিন।

লিখেছেন ক্লোন রাফা, ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:১০



ধিক ‼️বর্তমান অবৈধভাবে দখলদার বর্তমান নরাধমদের। মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীন বাংলাদেশে । বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ক্ষমা চাইতে হলো ! রাজাকার তাজুলের অবৈধ আদালতে। এর চাইতে অবমাননা আর কিছুই হোতে পারেনা।... ...বাকিটুকু পড়ুন

আম্লিগকে স্থায়ীভাবে নিষিদ্ধে আর কোন বাধা নেই

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:২২


মঈন উদ্দিন ফখর উদ্দিনের ওয়ান-ইলেভেনে সরকারের ২০০৮ সালের ডিসেম্বরে ভারতের সহায়তায় পাতানো নির্বাচনে হাসিনা ক্ষমতায় বসে। এরপরই পরিকল্পিত উপায়ে মাত্র দুই মাসের মধ্যে দেশপ্রেমিক সেনা অফিসারদের পর্যায়ক্রমে বিডিআরে পদায়ন... ...বাকিটুকু পড়ুন

মিশন: কাঁসার থালা–বাটি

লিখেছেন কলিমুদ্দি দফাদার, ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৯:২৭

বড় ভাই–ভাবীর ম্যারেজ ডে। কিছু একটা উপহার দেওয়া দরকার। কিন্তু সমস্যা হলো—ভাই আমার পোশাক–আশাক বা লাইফস্টাইল নিয়ে খুবই উদাসীন। এসব কিনে দেওয়া মানে পুরো টাকা জ্বলে ঠালা! আগের দেওয়া অনেক... ...বাকিটুকু পড়ুন

আওয়ামী লীগের পাশাপাশি জামায়াতে ইসলামীকেও নিষিদ্ধ করা যেতে পারে ।

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১২:৪৫


বাংলাদেশে আসলে দুইটা পক্ষের লোকজনই মূলত রাজনীতিটা নিয়ন্ত্রণ করে। একটা হলো স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি এবং অন্যটি হলো স্বাধীনতার বিপক্ষ শক্তি। এর মাঝে আধা পক্ষ-বিপক্ষ শক্তি হিসেবে একটা রাজনৈতিক দল... ...বাকিটুকু পড়ুন

J K and Our liberation war১৯৭১

লিখেছেন ক্লোন রাফা, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:০৯



জ্যাঁ ক্যুয়ে ছিলেন একজন ফরাসি মানবতাবাদী যিনি ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইন্সের একটি বিমান হাইজ্যাক করেছিলেন। তিনি ৩ ডিসেম্বর, ১৯৭১ তারিখে প্যারিসের অরলি... ...বাকিটুকু পড়ুন

×