somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

মাথার খুলির রহস্য। যে রহস্যগুলোর কিনারা হয় নি কখনো!!!!!!!!!!!!!!!!

১৪ ই ডিসেম্বর, ২০১২ রাত ৮:১৪
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


সুদুর প্রাচীন কাল থেকেই মানুষ খুজে আসছে এমন কিছু যা আসলেই রহস্যময় ও যাদের সহজে ব্যাখ্যা করা যায়না । এটা হতে পারে স্বর্ন মুদ্রা কিংবা বৃহৎ পিরামিড। থিক সেই রকম রহস্যই মানুষ খুজে বেরাচ্ছে বিভিন্ন সময় খুজে পাওয়া খুলির মাঝেও । এইখুলি গুলো যেমনবিবর্তনের তত্বকে প্রভাবিত করেছে ঠিক তেমনি তাকে করেছে প্রশ্নবিদ্ধ। ত যাইহোক আজ আপনাদেরকে পরিচিত করিয়ে দিচ্ছি এমন কিছু খুলির সাথে যেগুলো হাজার বছর ধরে মানুষকে রহস্যের সাগরে ডুবিয়ে রেখেছে।

১. ভ্যম্পায়ার বা রক্তচোষার খুলি ঃ-
আমরা যারা ইংরেজি ছবি দেখি তাদের কাছে ভ্যাম্পায়ার শব্দটি অতি পরিচিত। কিন্ত অতি পরিচিত এই ভ্যাম্পায়ার কি আসলেই ছিল? না তা এসেছিল গল্পকারদের উর্বর মস্তিস্ক থেকে? এর উত্তর পাওয়া যায় প্রাচীণ বিভিন্ন গ্রন্থ ও মিথ থেকে।

বেশ কিছু বছর থেকে ভেনিসের বিভিন্ন কবর স্থান গুলো থেকে ভ্যাম্পায়ারের কঙ্কাল খুজে পাওয়ার কথা শোণা যায়। ২০০৯ সালের দিকে প্রত্নতাত্বিকদের একটি দল যখন ভেনিসের Venetian দ্বীপের Lazzaretto Nuovo তে পুরনো প্লেগ এর শিকার মানুষদের কবরস্থান খনন করছিল তখন আশ্চর্য ভাবে একটি ব্যাতিক্রমি কবরের সন্ধান পা য় ।সেখানে তারা এমন একটি কঙ্কালের সন্ধান পায় যার খুলির দুই চোয়ালের মাঝে একটি পাথরের স্লাব বসানো। প্রাচীন নথি থেকে জানা যায় ঠিক এইভাবেই প্রাচীন কালে ভ্যাম্পায়ার ডাকা মানুষদের কবর দেয়া হত।


তবে ভ্যম্পায়ারদের নিয়ে সবচেয়ে রহস্যময় ঘটনাটা পাওয়াযায় আমেরিকার Andover থেকে। ১৯৫০ সালের দিকে নতুন বিবাহিত দম্পতি mr. F moris ও mrs B Moris USA র Andover Massachusetts এ একটি বাড়ি ক্রয় করেন। বাড়িটিতে প্রবেশ করার পর তারআ পুরনো কিছু আসবাব দেখতে পান। আসবাবগুলো ছিলো বেসিরভাগই ভাঙ্গা ও পুড়োনো। ত সেখানে যাওয়ার একবছর পর তারা একটি সিল্গালা সিন্দুকের সন্ধান পায়। অনেক কষ্ট করে তারা যখন সিন্দুক টি ভাংল তখন আশ্চর্য ভাবে ভয়ঙ্কর একটি কঙ্কালের সন্ধান পান। কঙ্কালটি ছিল অন্য যেকোণো কঙ্কালের চেয়ে ভিন্ন। সবচেয়ে রোমহর্ষক ছিল এর খুলি। আঠা দিয়ে মরিস সাহেব যখন মাথার বিভিন্ন অংশ জোড়া লাগাল তখন দেখতে পেল , তার চোখের কোটোরগুলি অনেক বড়। খুলি ছিল অনেক বড় এবং দুপাশের দাত দুটি অনেক লম্বা এবং ধারালো।

2.এলিয়েনের খুলি ( star child skull ) :-
ছবিতে দেখা এই খুলি আমি প্রথম দেখি NET GEO এর একটি জনপ্রিয় অনুস্থান Is it Real থেকে। তারপর এটা নিয়ে নেটে অনেক ঘাটা ঘাটি ও পরা শোনা করলাম এবং এটা নিশ্চিত হলাম যে এই খুলির অস্তিত্ব যে সত্য এতে কোনো সন্দেহ নেই।

স্টারচাইল্ড এর এই খুলি নিয়ে রয়েছে অনেক বিতর্ক ও আলোচনা ও গবেষনা। এটি সম্ভবত ৯০০ বছরের পুরোনো। এটি প্রথম আবিষ্কৃত হয় ম্যাক্সিকোর চিহুয়াহুয়া স্টেটের কপার ক্যানিয়ন থেকে। শোনা যায় এটিকে প্রথম পেয়েছিল একটি আমেরিকান কিশোরি। তার মারা যাবার পর এটি চলে আসে এল পাসো এর বাসিন্দা ray and melanic এর কাছে। এটা পাওয়ার পর ray and melanic বুজতে পারছিল না যে এটা নিয়ে কি করা যায়। তারপর তারা খুলিটিকে নিয়ে mr.Lloyed Pye নামের একজন গবেষকের কাছে যায়। তার কিছুদিন পর mr.Lloyed Pye খুলিটিকে নিয়ে starchild project নামে একটি গবেষনা প্রজেক্ট শুরু করেন। তার উদ্দশ্য ছিল খুলিটি সম্পর্কে ভাল ভাবে জানা। এখানে কোন সন্দেহ ছিল না যে খুলিটি আসল। পরিক্ষা করে দেখা গেছে যে খুলিটির হাড় অন্য যেকোন খুলির চেয়ে অনেক পাতলা এবং মনে হয় এটি ৫ থেকে ৬ বছরের কোন শিশুর খুলি।


সবচেয়ে মজার ব্যাপারটি বেরিয়ে আসল যখন খুলিটির DNA টেষ্ট করা হল। এর DNA পরিক্ষা করার পর দেখা গেলএতে x এবং y এ দু রকমেরই ক্রোমোজমই আছে। তাই একে কোনো মানুষের খুলি বলে বিবেচনা করা হয়। পরবর্তিতে ঠিক একই ধরনের দুটি গবেষক দল খুলিটিকে নিয়ে গবেষনা করে ।একদল তাদের গবেষনায় এমন কিছু ব্যাতিক্রম লক্ষ করে যে তারা খুলি টিকে মানুষ ও এলিয়েনের সংকর বলে দাবী করে। অন্য একটি দল বিশ্বাস করেছিল যে খুলিটির এই বিক্রিতি হয়ত কোনো রোগের ফলাফল। তারা বিশ্বাস করেছিল যে এটা সম্ভবত Brachycephaly , Crouzon Syndrom কিংবা অন্যান্য কোনো জেনেটিক রোগের কারনে হয়েছিল। তবে দু দলই বিশ্বাস করত যে এই খুলিটি এমন কোনো কিছুর উদাহরন যা আসলেই আলাদা ও অদ্বীতিয়। বিস্তারিতঃ- starchild wikipedia

3. রানী নেফারতিতির(Nefertiti) খুলিঃ-
চুনা পাথরে খোদাই করা উপরের যে ছবিটা আপ্নারা দেখছেন তা হল প্রাচীন মীশরীয় সুন্দরী নেফারতিতির । The Relief of a Royal Couple টাইটেলের এই ছবিটির দিকে তাকিয়েই আপ্নারা হয়ত নেফেরতিতির সৌন্দর্যের ব্যাতিক্ক্রম দিকটা লক্ষ করেছেন। হ্যা নেফারতিতি ছিলেন ব্যাতিক্রম। তিনি ব্যাতিক্রম হয়েছিলেন তার মাথার খুলির ব্যাতিক্রম আকৃতির জন্যই। আর এই বিশেষ আকৃতি ই তাকে হাজার বছর ধরে রহস্যে আবৃত্ত করে রেখেছে।

নেফারতিতি ছিলেন মিশরীয় রানী (18 dynesty circa 1330bc). তিনি ছিলেন ফারাও রাজা Akahenaton এর স্ত্রী। Akahenaton ছিলেন অন্য ফারাওদের চেয়ে ভিন্ন ও শক্তিশালী। তিনি জোর পুর্বক প্রজাদের মদ্ধে কিছু ধর্মীয় ও সামাজিক সংস্কার আনতে সক্ষম হয়েছিল। এই সংস্কার গুলোর মাঝে অন্যতম ছিল সুর্য ও তারার পুজা। তার রানী নেফারতিতি ছিল অন্য রানীদের চেয়ে আলাদা ও সুন্দরী। তার কিছু অলৌকিক ক্ষমতা ছিল বলেও ধারনা করা হয়। তার সৌন্দর্যের সবচেয়ে আকর্ষনীয় দিক্টি ছিল তার চৌকো মাথার খুলির আকৃতি। তাকে নিয়ে আকা যে সকল চিত্রকর্ম আবিস্কৃত হয়েছে তার প্রত্যেকটিতেই তার মাথার ব্যতিক্ক্রম আকৃতি লক্ষকরাযায়। প্রায় সকল চিত্রকর্মেই লক্ষ করা যায় যে তিনি তার চোকো মাথাটাকয়ে নানা ককম অলঙ্কারে সজ্জিত করে রেখেছেন।

অনেক বছর ধরেই ইজিপ্টোলজিস্টরা ছবিতে পাওয়া নেফারতিতির খুলির এই আকৃতিকে অবিশ্বাস করে আসছিল। তবে তারা একটা জিনিস সবসময় বিশ্বাস করে যে, মিশরীয় শিল্পীরা যখন কারো ছবি অঙ্কন করত তখন তারা কখনই চেহারা বা দেহের আকৃতিতে পরিবর্তন আন্তনা। বরং তারা তাদের সুনিপুন হাতের ছোয়ায় মানুষ টাকে আরো সুন্দর ভাবে উপস্থাপনের চেষ্টা করত।


যদি এটা সত্য হয় যে নেফারতিতির মাথা আসলেই এইরকম চৌকো ও ব্যাতিক্রম ছিল তাহলে এটাও সত্য হবে যে নেফারতিতি ছিল অন্য যেকোণো মানব রমনীর চেয়ে আলাদা। তার মাথার এই ব্যতিক্রম আক্ক্রিতি তাকে যেমন ক্ক্রে ছিল সুন্দরি। ঠিক তেমনি করেছিল শক্তিশালী। বিস্তারিত ঃ- Nefertiti.

ঠিক তেমনি আরোকিছু রহস্যময়,সুন্দর ও রোমহর্ষক মানব খুলি যুগে যুগে মানুষ আবিষ্কার করেছে। সেই প্রাচীন কাল থেকেই মানুষ এগুলোকে নিয়ে গবেষনা করে আসছে। ব্লগের ক্ষুদ্র পরিসরে এদের সবগুলো বর্ননা করা যাবেনা। তবে আপনাদের যদি ভাল আগে তবে সিরিজটাকে আরো এগিয়ে নিয়ে যাবার চেষ্টা করব।

**********আরেকটি অনুরোধ- বেশি বেশি তথ্যমুলক লিখা পোষ্ট করুন। আপনার দেওয়া একটি মাত্র তথ্যই সাইবার জগতে বাংলাভাষাকে অনেক দূর এগিয়ে নিতে পারবে।*********

বি.দ্র;- অনুবাদে ভুল থাকিলে কিংবা গুরত্বপুর্ন তথ্যের ঘাটতি থাকিলে সবাই ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখিবেন। জাতির এই চরম ক্রান্তিলগ্নে সকল ব্লগার ভাইকে একটূ আনন্দ দিতে লেখকের এই প্রয়াস।
সর্বশেষ এডিট : ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১২ বিকাল ৩:৩০
২৮টি মন্তব্য ১৩টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ডালাসবাসীর নিউ ইয়র্ক ভ্রমণ

লিখেছেন মঞ্জুর চৌধুরী, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ২:৪৪

গত পাঁচ ছয় বছর ধরেই নানান কারণে প্রতিবছর আমার নিউইয়র্ক যাওয়া হয়। বিশ্ব অর্থনীতির রাজধানী, ব্রডওয়ে থিয়েটারের রাজধানী ইত্যাদি নানান পরিচয় থাকলেও আমার কাছে নিউইয়র্ককে আমার মত করেই ভাল ও... ...বাকিটুকু পড়ুন

ধর্ম ও বিজ্ঞান

লিখেছেন এমএলজি, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ ভোর ৪:২৪

করোনার (COVID) শুরুর দিকে আমি দেশবাসীর কাছে উদাত্ত আহবান জানিয়ে একটা পোস্ট দিয়েছিলাম, যা শেয়ার হয়েছিল প্রায় ৩ হাজারবার। জীবন বাঁচাতে মরিয়া পাঠকবৃন্দ আশা করেছিলেন এ পোস্ট শেয়ারে কেউ একজন... ...বাকিটুকু পড়ুন

তালগোল

লিখেছেন বাকপ্রবাস, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:৩৫


তু‌মি যাও চ‌লে
আ‌মি যাই গ‌লে
চ‌লে যায় ঋতু, শীত গ্রীষ্ম বর্ষা
রাত ফু‌রা‌লেই দি‌নের আ‌লোয় ফর্সা
ঘু‌রেঘু‌রে ফি‌রে‌তো আ‌সে, আ‌সে‌তো ফি‌রে
তু‌মি চ‌লে যাও, তু‌মি চ‌লে যাও, আমা‌কে ঘি‌রে
জড়ায়ে মোহ বাতা‌সে ম‌দির ঘ্রাণ,... ...বাকিটুকু পড়ুন

মা

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৩


মায়াবী রাতের চাঁদনী আলো
কিছুই যে আর লাগে না ভালো,
হারিয়ে গেছে মনের আলো
আধার ঘেরা এই মনটা কালো,
মা যেদিন তুই চলে গেলি , আমায় রেখে ওই অন্য পারে।

অন্য... ...বাকিটুকু পড়ুন

কপি করা পোস্ট নিজের নামে চালিয়েও অস্বীকার করলো ব্লগার গেছে দাদা।

লিখেছেন প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ২:১৮



একটা পোস্ট সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেশ আগে থেকেই ঘুরে বেড়াচ্ছে। পোস্টটিতে মদ্য পান নিয়ে কবি মির্জা গালিব, কবি আল্লামা ইকবাল, কবি আহমদ ফারাজ, কবি ওয়াসি এবং কবি... ...বাকিটুকু পড়ুন

×