ছোট্ট মেয়েটি খেতে চাচ্ছিল না, মা পুলিশের ভয় দেখিয়ে খাওয়ানোর কৌশল অবম্বন করলেন। কিছুদিন পর মা মেয়েটিকে নিয়ে বাইরে বেড়াতে গেলে রাস্তায় দাঁড়ানো একদল পুলিশকে দেখিয়ে বলল, 'দেখছ ওই যে পুলিশ, খেতে না চাইলে তোমাকে মারবে।' ছোট্ট মেয়েটির কৌতূহলী জবাব, 'মা ওরা তো মানুষ, আমাকে মারবে কেন'।
শিশুটির জবাবে শতভাগ সত্যতা খুঁজে পেলেও আজকের রাজনৈতিক আন্দোলনের মাঠে পুলিশ আর মানুষকে আমরা আলাদা করে ফেলেছি। এ অবস্থা চলতে থাকলে পুলিশ জনগণের আর বন্ধু হিসেবে পাশে থাকবে না। মানুষ যত বেশি নির্যাতিত হবে তত বেশি ক্ষোভ আর ঘৃণা জন্মাবে পুলিশের প্রতি। দেশের অভ্যন্তরীণ আইন-শৃখলা পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার জন্য সর্বোচ্চ প্রশাসনিক স্থরে এ বিপর্যয় ঠেকানো অতি জরুরি হয়ে পড়েছে। পুলিশ প্রশাসনের ওপর অর্পিত দায়িত্ব সুষ্ঠুভাবে পালনের জন্য সামরিক বাহিনীকে তলব করার বিষয়টি উড়িয়ে দেওয়া যায় না। কারণ ক'দিন আগে গার্মেন্টস শ্রমিক আন্দোলনেঙ্খলা মালিক পক্ষ থেকে এ ধরনের দাবি সোচ্চার হয়ে উঠেছিল।
জ্বালাও-পোড়াও না করে এবং নেতাকর্মী আর সাংবাদিক নির্যাতনের শিকার না হয়ে কীভাবে আন্দোলন বেগবান করা যায় এটা ভাবা যেমন বিরোধী রাজনৈতিক শিবিরের জরুরি প্রয়োজন, তেমনি আন্দোলন প্রতিরোধের নামে পুলিশকে নির্যাতনকারীর পরিচয়ে তুলে না ধরে তাদের গর্বিত ভাবমূর্তি পুনরুদ্ধার এবং জনগণের আস্থা অর্জনের লক্ষ্যে সরকারের উচিত জরুরি পদক্ষেপ নেওয়া। তা না হলে পুলিশ প্রশাসন দিয়ে আইন-শৃঙখলা রক্ষা করা সরকারের পক্ষে কঠিন হয়ে পড়বে।
[গাঢ়]সমকালের রিপোর্টঃ[/গাঢ়]
যুব মহিলা লীগ নেত্রী আয়শা খানম আশার বিয়ে ভেঙে গেছে। এই আশা, যাকে 12 সেপ্টেম্বর প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় ঘেরাও কর্মসূচি চলাকালে বাংলামোটরে পুলিশ বিবস্ত্র করেছিল। পুলিশের বর্বরতা আশার আশা ভেঙে গুঁড়িয়ে দিয়েছে। মেহেদিতে হাত রাঙানো হচ্ছে না তার। আগামী 28 অক্টোবর তার বিয়ের তারিখ ঠিক হয়েছিল। কিন্তু পত্রিকায় বিবস্ত্র হওয়ার ছবি ও বিবরণ ছাপা হওয়ার পর পাত্রপক্ষ মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে। ফলে আপাতত বিয়ের পিঁড়িতে বসা হচ্ছে না তার।
বিস্তারিত দেখুনঃ
http://www.shamokal.com/details.php?nid=37297
সর্বশেষ এডিট : ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৬ বিকাল ৩:৫১

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




