ঢাকা শহরের রাস্তায় বের হলে একটি ব্যাপার প্রায়শই লক্ষ্য করা যায়। তা হলো, যাত্রী ভর্তি বাস নিয়ে বাসগুলো রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে আছে। আর কিছু দূরে বাসের হেলপার, কন্ডাক্টর আর আমাদের শ্রদ্ধেয় পুলিশ সার্জেন্ট আর ট্র্যাফিক পুলিশ গুজগুজ, ফিসফিস করছেন। কন্ডাক্টর কিছু একটা গুঁজে দিল হাতে তারপর যাত্রীদের রক্ষা। কিন্তু কথা হলো, এই যে যাত্রীদের সময় নষ্ট হলো, কারো অফিস টাইম, কেউ জরুরী কাজে কোথাও যাচ্ছে, কেউবা অসুস্থ তাদের সময়ের কি কোন মূল্য নেই? এইসব ব্যাপারে পুলিশদের যেন ভ্রুক্ষেপ নেই(খাইয়ালামু) । এই বিষয়গুলো এখন খোলামেলা হয়ে গেছে।
আগে দেখতাম পুলিশ সার্জেন্টরা
উপরি খেত, তবে সরাসরি নয় তাদের কিছু পয়েন্ট ছিল তার আশে পাশে চায়ের ছোট টং দোকান বা কোন ফেরিওয়ালা বা কখনো কখনো ট্র্যাফিক পুলিশ থাকলে তারাই উপরি পাওনা আদায় করতো কিন্তু এখন আর সেই লাজ সরমের বালাই নেই। ''যখন যা পাবো হাত পেতে নেবো, বাকির নাম ফাঁকি'' এই বাণীকে জীবনের পাথেয় বানিয়ে নিজেদের আখের গুছিয়ে নিচ্ছে এখনকার পুলিশ সার্জেন্টরা।সেদিন সকালে ধানমন্ডি থেকে যখন অফিসের জন্যে রওনা হলাম পান্থপথ গ্রীনরোড ক্রসিং এ আসতেই গাড়ীটা আটকে দিল সরকারি পোষাকধারীরা। তখন আমার অফিস জরূরি উপস্থিতির আর 15 মিনিট বাকি। আমাকে আসতে হবে কারওয়ানবাজার । সমস্যা না হলে আমি 5 মিনিট আগেই পেঁৗছে যাবো। কিন্তু পান্থপথ গ্রীনরোড ক্রসিং এ পুলিশ সার্জেন্ট আমার মূল্যবান সেই 15 মিনিট থেকে 10 মিনিট সময় নষ্ট করে দিল। আমাকে শেষে হন্তদন্ত হয়ে যথাসময়ে অফিসে পেঁৗছাতে হলো। কিন্তু যারা গুলশানের দিকে যাবেন তারা নিশ্চয়ই যথাসময়ে তার গন্তব্যে পেঁৗছাতে পারবেন না। এটা যে শুধু একদিনের ঘটনা তা নয়, প্রায় সময়ই এই ধরনের ঘটনা ঘটছে।
ঢাকা শহরে যানজট একটা মহাসমস্যা। দূরে কোথাও যেতে ব্যস্ত রাস্তায় যানজটে পড়তে পারি এই ভয়ে আমরা অনেকেই ঘর থেকে একটু বেশি সময় হাতে নিয়ে বের হই। এখন দেখছি ট্র্যাফিক সার্জেন্টদের জন্যেও কিছুটা সময় বেশি নিয়ে আমাদের বের হতে হবে। কিন্তু এতে কি সমস্যার সমাধান হবে?
আমরা বরাবর দুনর্ীতিতে চ্যামপিয়ন। কিন্তু কেন? অনেকে বলেন, বাংলাদেশের পুলিশ প্রশাসন যদি কোন দুনর্ীতির সাথে জড়িত না থাকে, সন্ত্রাসীদের আশ্রয় না দেয় তাহলে দেশটা আরো সুন্দর হতো। আমরা আরো নিরাপদে থাকতে পারতাম। কিন্তু কে শুনে কার কথা।
যাক
, এতো বড় স্বপ্ন দেখা আমাদের জন্য দূরে থাক। আপাতত পুলিশ সার্জেন্টদের এই হয়রানি থেকে আমরা যাত্রীরা কিভাবে রেহাই পেতে পারি সংশ্লিষ্ট কতর্ৃপক্ষের কাছে সেটাই আমার প্রশ্ন এবং এর থেকে মুক্তির পথ আমরা চাই।
সর্বশেষ এডিট : ৩১ শে ডিসেম্বর, ১৯৬৯ সন্ধ্যা ৭:০০

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



