
ভয়াবহ ট্রাফিক জ্যাম এরই মাঝে গাড়িটা কাশতে শুরু করলো থরথর করে কাঁপছেও আবার! এই আসে এই যায় অবস্থা প্রচন্ড কালো ধোঁয়ার সাথে মিস্-ফায়ার! সবাই তাচ্ছিল্যের চোখে তাঁকাচ্ছে।
এই হলো লুব্ ওয়েল ও ফিল্টার জনিত সমস্যাগ্রস্থ একটি গাড়ির অবস্থা।
গাড়ীর সব থেকে প্রয়োজনীয় ও প্রধান যন্ত্র ইঞ্জিনের তৈল কে লুব্ বা লুব্রিকেটিং ওয়েল বলে যাকে আমরা মবিল বলে জানি। এটি ইঞ্জিনের ভেতরকার ধাতব যন্ত্রাংশের ঘর্ষণজনিত ক্ষয়কে রোধ করে। অতিরিক্ত গরম হওয়া থেকে রক্ষা করে এবং ইঞ্জিনের আয়ু বজায় রাখে।

সুতরাং বুঝতেই পারছেন যে, এই তৈলের একটু হেরফেরের কারণে আপনার সখের বাহনটির ইঞ্জিন পটল তুলতে পারে? আর এই ইঞ্জিন ওয়েলকে বিশুদ্ধ বা ময়লামুক্ত রাখতে ওয়েল ফিল্টার ব্যবহৃত হয়। একে আমরা মবিল ফিল্টার বলে থাকি। সুতরাং এই দুই জিনিস আমরা সব সময় সর্বোচ্চ মানেরটা ব্যবহার করবো এবং নিয়মিত পরীক্ষা করে নির্দিষ্ট দিন পর পর বদলাবো।

এখন জেনে নিই কখন বদলাতে হবেঃ
দীর্ঘক্ষণ (৫-৬ ঘন্টা) ইঞ্জিন বন্ধ রাখার পর-
> ইঞ্জিন হুড খোলে ইঞ্জিনের পাশেই লম্বা চেক স্টিক পাবেন। এটি টেনে বের করতে হবে।
> দুই আঙ্গুলে খানিকটা তেল নিন। যদি দেখেন নতুন অবস্থা থেকে অনেক কম ঘণ ও কম আঠালো, এবং রং পরিবর্তন হয়ে কালোমত হয়ে গেছে, তখন বুঝতে হবে বদলানো দরকার।
> তবে ৩০০০ থেকে ৪০০০ কি.মি. চালানোর পর সাধারণ লুব্রিকেন্ট ও ফিল্টার বদলানো উত্তম।

এবার থাকুন সতর্কঃ
সাবধান! নিুমানের পণ্যে বাজার সয়লাব-
> আমাদের দেশে বেশিরভাগ যানবাহন নিজস্ব ড্রাইভার দ্বারা পরিচালিত হয়ে থাকে। আর এ কারণেই গাড়ী মালিকেরা অনেক ব্যাপার টেরই পাননা। ড্রাইভার তার নিজের পছন্দমত নিুমানের পণ্য ক্রয় করে ব্যবহার করে। যে কারণে পরে গাড়ীমালিক পড়েন বিপদে।
> দেশে এত বেশী নিুমানের ও বিভিন্ন স্তরের লুব্রিকেন্ট, ফিল্টার সহ সকল যানবাহনের যন্ত্রাংশ আছে যে, তা আন্দাজ করা অসম্ভব। সুতরাং বিশ্বস্ত এবং পরিচিত দোকান থেকে নিজেই এসব ক্রয় করুন।
> নির্দিষ্ট একটি দামী-নামী কোম্পানীর পণ্য কিনুন। ঘন ঘন ব্র্যান্ড বদলাবেননা।
.
.
.
.
.
.
.
.
.
গাড়ির ইঞ্জিন ভালো রাখার শর্টকাট উপায়-


অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




