১.
অন্য কোথাও চোখ গেলে,
দেবো তোমার চোখ গেলে!
২.
আজ তুমি এখানে নেই,
আমার বুকে বৈশাখী ঝড়,
দীর্ঘশ্বাসের হাওয়া পাক দিয়ে উড়ে যায়
একাকী পাখির মতো।
৩.
অণু, আমার বুকে তুমি পুঁতেছিলে
প্রেমের এক পারমাণবিক বোমা।
তবে অমানবিকভাবে এই শীতল শূন্যতায়
আমাকে শীতার্তের মত একাকী ফেলে
তুমি ক্যানো উদ্যত হলে পর করে দিতে?
তোমাকে ছাড়া ভেতরে আমার
চলছে শোকের শৈত্যপ্রবাহ।
কাঁপছি কান্নায় ও শীতে,
তুমি বাঁচাও এসে আমায়,
আদিম অকৃত্রিম আলঙ্গনের উষ্ণতায়!
ভাবছো কুয়াশায় চশমার কাচ ঘোলা,
দেখছো না আড়ালে অশ্রুগ্রন্থি খোলা!
৪.
হিমালয় থেকে এক অণু বরফশীতল হাওয়া
উড়ে এসে জুড়ে বসলো কবির বুকের ওপর!
তার প্রভাবে প্রচণ্ড প্রেমের জ্বরে পড়ে গেলেন,
নিঃশ্বাসের সঙ্গে দমকে দমকে বেরুলো প্রেম,
দেহের এখানে ওখানে জাগলো প্রেমের ফুসকুড়ি!
ডাকসাইটে কবি হয়ে গেলো কাবু তার কাছে,
সেই প্রেমের ভাইরাসকে ডাক্তারবাবুও চেনে না।
বেবী থেকে দেবী অবধি, সব ডেকে ব্যাকুল কবি,
অবশেষে আত্মসমর্পণ করলেন প্রেমের কাছে।
৫.
তোমার বুকে বুঝি ব্যথা জমেছে?
এইদিকে এসে বুক পেতে দাও,
আমি ঠোঁট দিয়ে ব্যথা শুষে নিই!