somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

. বর্তমান যুগের তরুণীদের ভালোবাসা।

২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:১৯
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

বর্তমান যুগের তরুণীদের ভালোবাসা শুরু হয় কোন তরুণের মাঝে বিশেষ গুণের উপস্থিতি দেখে। যেমন: ছেলেটা ভালো
লেখে, ভালো গান করে, দেখতে স্মার্ট......ইত্যাদি।
যদি কোন তরুণী বলে, "ছেলেটিকে আমি কোন ধরণের গুণ ছাড়াই ভালোবাসি"
তাহলে বুঝতে হবে, ডালমে কুচ কালা হে। খোঁজ নিয়ে দেখা
যাবে, ছেলেটা ধনীর দুলাল। "টাকাওয়ালা বাপের ছেলে"
এর চেয়ে বড় গুণ আর কি হতে পারে?
.
খুব অবাক লাগে যখন দেখি, কেউ কাউকে প্রপোজ করলো, আর সাথে সাথে কোন সাড়া না পেয়ে চলে গেলো!!
এদের ভালোবাসা গুলো কত সস্তা আর টাইমিং য়ের সাথে
সম্পর্কযুক্ত।
.
আমার দেখা কয়েকটা তরুণীদের বর্ণনা দিই:-
ঘটনা ১. ইনবক্সে......
-ওয়াও আপনি তো খুব ভালো লেখেন।
-ধন্যবাদ।
-আপনার লেখাগুলো পড়তে পড়তে আপনার প্রতি এক ধরণের
ভালোলাগা তৈরি হয়েছে, আমি আপনাকে ভালোবাসি।
- দেখুন, আপনি আমাকে চিনেন না, জানেন না আর ভালোবেসে ফেললেন?
-হুম, ভালোবাসবেন না আমায়?
-সরি, আমি এভাবে অচেনা কারো সাথে রিলেশনে যেতে
পারবোনা।
-ওকে সরি বাই...
. এরপর উক্ত তরুণীর আর কোন খোঁজ পাওয়া যায়নি।
.
ঘটনা ২
তরুণীর ফোনকলে,
- জানো, আজ থেকে আমার দুইটা পৃথিবী, একটা হলে তুমি,
আরেকটা আমার মা। .
অত:পরর একদিন দেখা যায় সেই তরুণী ঠিকি তার পৃথিবী
ছাড়া বেঁচে আছে। থাকবেই বা না কেন, আজ নতুন একজন কে
তার পৃথিবী বানিয়ে নিয়েছে।
.
তরুণীদের হঠাৎ করে আসা ভালোবাসা টা হল একধরণের তথাকথিত আবেগ। আর আবেগকে প্রশ্রয় দিতে নেই, কারণ
আবেগ বায়বীয় ব্যাপার, সামান্য বাতাস পেলেই তা বাড়ে।
.
যে তরুণী একসময় বলতো, তোমার ভয়েস না শুনলে আমার ঘুম
আসেনা, কন্ঠে গান না শুনলে মন ভালো হয়না, তোমাকে
পাওয়ার জন্য ওয়েট করবো সারাজীবন। সময়ের পরিবর্তনে সেই তরুণীদের মন বদলে যায়। যে বলতো,
আজ থেকে তুমি আমার পৃথিবী, কাল তাকে দেখা যায় অন্যজনের
সাথে ইন এ রিলেশনশীপ।
.
স্বার্থপর তো আমরা কমবেশী সবাই।
তবে আজকাল নিঃস্বার্থ ভাবে ভালোবাসার মত তরুণী খুঁজে পাওয়া আর চাঁদে বাতাস পাওয়া একই কথা। চারপাশে এমন
অনেককেই দেখেছি, যারা ভালো ছেলেদের সাথে বাচালের
মত কথা বলতে পারে, স্বপ্ন দেখাতে পারে, আর কিছুটা সময়
অনুভুতির সাগরে ভাসিয়ে ছেলেটার জীবনে জোয়ার-ভাটা
এনে দেয়। অতঃপর একাকী সমুদ্রে তার সঙ্গী নিকোটিনের
অভিশাপ। .
সময়ের সাথে পরিবর্তিত হওয়া তরুণীদের একটা মেসেজ
দিতে চাই। মেসেজটি হল:-
"আজকাল তো ভালোবাসা ক্রাশ নামক শব্দ থেকে শুরু হয়, আর
এভাবে শুরু হওয়া ভালোবাসা গুলো ব্রেকআপ নামক শব্দ দিয়ে
দ্রুতই শেষ হয়ে যায়। আবার কারোর ক্ষেত্রে কর্পোরেট নামক শব্দে সমাপ্তি।
হে মডার্ন যুগের তরুণীরা, ভালোবাসা টাইমিং, গিফট, আর
আবেগ দিয়ে হয়না, সত্যিকারের ভালোবাসার মানে হল,
প্রিয় মানুষটিকে পায় বা না পায়, য়ার জন্য সারাটিজীবন
ওয়েট করে যাবো, তাকে ভালোবেসে যাবো।
. তোমরা তাহসানের নাটক দেখে যে কি শিখো কে জানে?
নাটকে দেখায় একটা তোমরা শিখো আরেকটা।
প্রকৃত ভালোবাসা হল.... একটা পবিত্র বন্ধন, এর মর্যাদা
দিতে শিখো। কাউকে ভালোবাসলে পবিত্র ভাবে ভালোবাসো,
পবিত্র ভালোবাসার ওয়ারেন্টি জিএফ/বিএফ মদ্ধে
সীমাবদ্ধ নয়, এটি এমন এক ভালোবাসার বন্ধন যা প্রিয় মানুষটির সাথে বাঁধা যায়, যা মৃত্যুর পরও টিকে থাকে।
.
এই ভালোবাসার শুরু আছে শেষ নেই। পবিত্র ভালোবাসায় কোন
দৌহিক চাহিদা থাকে না, থাকে শুধু কিছু নিরব অভিমান আর
অফুরন্ত ভালোবাসা।
ফুল দিয়ে প্রেম হয়...... পাতা দিয়ে
নয়.......মেঘ দিয়ে বৃষ্টি হয় .....আকাশ
দিয়ে নয়.....চাঁদ দিয়ে জোসনা হয়....
তারা দিয়ে নয় .....মন দিয়ে বন্ধু হয়....
টাকা দিয়ে নয়,........
কী বুজলেন???
সর্বশেষ এডিট : ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:২০
২টি মন্তব্য ২টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

দু'টো মানচিত্র এঁকে, দু'টো দেশের মাঝে বিঁধে আছে অনুভূতিগুলোর ব্যবচ্ছেদ

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ১২:৩৪


মিস ইউনিভার্স একটি আন্তর্জাতিক সুন্দরী প্রতিযোগিতার নাম। এই প্রতিযোগিতায় বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সুন্দরীরা অংশগ্রহণ করলেও কখনোই সৌদি কোন নারী অংশ গ্রহন করেন নি। তবে এবার রেকর্ড ভঙ্গ করলেন সৌদি... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমার প্রফেশনাল জীবনের ত্যাক্ত কথন :(

লিখেছেন সোহানী, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ সকাল ৯:৫৪



আমার প্রফেশনাল জীবন বরাবরেই ভয়াবহ চ্যালেন্জর ছিল। প্রায় প্রতিটা চাকরীতে আমি রীতিমত যুদ্ধ করে গেছি। আমার সেই প্রফেশনাল জীবন নিয়ে বেশ কিছু লিখাও লিখেছিলাম। অনেকদিন পর আবারো এমন কিছু নিয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমি হাসান মাহবুবের তাতিন নই।

লিখেছেন ৎৎৎঘূৎৎ, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ দুপুর ১:৩৩



ছোটবেলা পদার্থবিজ্ঞান বইয়ের ভেতরে করে রাত জেগে তিন গোয়েন্দা পড়তাম। মামনি ভাবতেন ছেলেটা আড়াইটা পর্যন্ত পড়ছে ইদানীং। এতো দিনে পড়ায় মনযোগ এসেছে তাহলে। যেদিন আমি তার থেকে টাকা নিয়ে একটা... ...বাকিটুকু পড়ুন

মুক্তিযোদ্ধাদের বিবিধ গ্রুপে বিভক্ত করার বেকুবী প্রয়াস ( মুমিন, কমিন, জমিন )

লিখেছেন সোনাগাজী, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৫:৩০



যাঁরা মুক্তিযদ্ধ করেননি, মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে লেখা তাঁদের পক্ষে মোটামুটি অসম্ভব কাজ। ১৯৭১ সালের মার্চে, কৃষকের যেই ছেলেটি কলেজ, ইউনিভার্সিতে পড়ছিলো, কিংবা চাষ নিয়ে ব্যস্ত ছিলো, সেই ছেলেটি... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। সাংঘাতিক উস্কানি মুলক আচরন

লিখেছেন শাহ আজিজ, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:০৪



কি সাঙ্ঘাতিক উস্কানিমুলক আচরন আমাদের রাষ্ট্রের প্রধানমন্ত্রীর । নাহ আমি তার এই আচরনে ক্ষুব্ধ । ...বাকিটুকু পড়ুন

×