ঢাকা থেকে বাড়ি যাচ্ছি। সময় বাঁচাতে এবং তারাতারি বাড়ি যেতে মাওয়ার পথ ধরলাম। ৫ তারিখ সকাল ৮টা। গুলিস্তান থেকে ইলিশ পরিবহনে রওনা হলাম। কন্ট্রাটকর এসে ভাড়া চইলো ১০০ টাকা। আগে যার পরিমান ছিল ৫৫ টাকা। না দেয়ার কোন উপায় নাই। ঈদের বকশিশ! সবাইকেই দিতে হল। খবর নিয়ে দেখলাম, এই রুটের সব বাস ঈদে এই ভাড়া নির্ধারণ করেছে।
মাওয়া স্টিমার ঘাট। লাইনে দাড়িয়ে অনেকেই টিকিট কাটছে। মানুষ আর মানুষ। শেষমেষ শেষ মাথায় এসে মাথায় হাত। ১৩০ টাকার টিকিট ২০০ টাকা। না কেটে উপায় নেই।
ওপারে গিয়ে মাইক্রোবাসে যেতে হবে। ভাড়া হাকানো হলো জনপ্রতি ৪০০ টাকা। হেলপারের ডাক, গেলে যান নইলে পস্তান। ২০০ টাকার ভাড়া ৪০০ টাকা!
দেশের প্রত্যেক স্তরের মানুষের নৈতিক স্খলন দেখে অবাক
হই। হবেই বা না কেন। যে দেশে মন্ত্রী আমলা একটাকা পেলে মারতে ছাড়ে না সেখানে খেটে খাওয়া মানুষ টাকা মারার সুযোগ পেলে কাজে লাগাবে না কেন। পার্থক্য হলো মন্ত্রী আমলারা আড়ালে খান। দেশে আবুলের সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। এই আবুল রোগ দেখছি দিন দিন সাধারণ মানুষের মধ্যেও ছড়িয়ে পড়ছে। এখনই এর প্রতিরোধ করে দৃষ্টান্ত স্থাপন না করলে আবুলে আবুলময় হবে দেশ। তখন আর করার কিছু থাকবে না।
সর্বশেষ এডিট : ১১ ই নভেম্বর, ২০১১ সন্ধ্যা ৬:১২

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




