একদল ধর্মীয় জলসার নামে মধ্যরাতে উচ্চস্বরে মাইকে দম আসা-যাওয়ার ভঙ্গিতে জিকির করে ,আবার বেসুরে গান ধরে ,আবার শুনা যায় খিঁচুড়ীর ভাগ নিয়ে হট্টগুল করেছে অন্ধদের কেউ কেউ ৷ক্লান্ত মানুষগুলো যখন ঘুমুতে যাবে ,কিংবা শিক্ষার্থীরা ঘুমিয়ে পরে তখন শুরু হয় তাদের ভন্ডামীক্ষণ ৷ ইসলামে এসব কর্মকান্ডের স্বীকৃতি নেই ৷সহীহ মুসলিমের বর্ণনায় আছে ‘সে যেন স্বীয় প্রতিবেশীর সাথে সদাচরণ করে।’ {সহীহ মুসলিম, হাদীস ৪৮}
আবার অমুসলিম বা মুসলিম প্রতিবেশী তাদের প্রত্যেকের ওপর প্রত্যেকের হক বা অধিকার রয়েছে , তাহলে এসকল প্রতিবেশীর হকের সাথে মুসলিম ও আত্মীয় হিসেবে যত হক আছে সবই তাদের প্রাপ্য ৷মাসের পর মাস তথাকথিত ভন্ডের দল সারা রাত বিরক্ত করেই চলছে ,কারো ঘুম ভাঙ্গছে ,কেউ অসুস্থ হয়ে পড়ছে , অসুস্থ মানুষগুলোকে নিয়ে ভাবার কেউ নেই ,সবার চোখবাধাঁ ধর্মের কালো ফিতায় !কিছু মানুষ আবার জন্মসূত্রে ধর্মান্ধ তারাও শব্দদূষণে বালিশের নিয়ে মাথা গুজে ধীক্কার দিচ্ছে ৷
আরেক দল সঙ্গে সঙ্গে বাড়ে ঢাক-ঢোলের আর্তনাত সঙ্গে সানিলিওনের হটগীত ৷দূর্গা পূজায় কিংবা কালী পূজায় শ্যামাসঙ্গীত বাজেনা ,শ্যামাসঙ্গীতের স্থান দখল করছে হিন্দিরক ও পপসঙ্গীত৷ দেবী ও তার কিছু উদ্মাত ভক্তরা হটগানশুনে হট হয় ,হট করার চেষ্টায় লিপ্ত ৷সাধারণ মানুষের অসুবিধায় কিছু আসে যায় না, কারণ তারা ধর্মসুধায় বিভোর ৷গোটা ইন্ডিয়ায় ,নেপালে ও দেশে ধর্ষণ যেহারে বাড়ছে ,প্রতি মুহূর্তে বিকৃত হচ্ছে কুজনের রুচি ! হয়তো কোন একদিন শুনতে হবে মূর্তিগুলোও রেহায় পায়নি ধর্ষকদের লালসা থেকে ৷
ধর্মীয় অনুষ্ঠানগুলো হোক মানবোচিত ,আনন্দের ৷