মিস ওয়ার্ল্ড বাংলাদেশ ভূষিতা এভ্রিলের অতীত জীবনের অংশবিশেষ প্রকাশ পেয়ে , চলমান সময়ে যে বিতর্ক সৃষ্টি করেছে তা মোটেও অস্বাভাবিক খবর হতে পারে না। আশ্চর্যদায়ক হতো যদি কোন সাহসী কুমারী তরুণী নিজের কুমারিত্ব হারানো কিংবা স্বেচ্ছায় সতীত্ব বিসর্জনের গল্পটা নির্দ্বিধায় স্বীকার করার নির্ভীকতা দেখাতেন। পুরুষতান্ত্রিক সমাজব্যবস্থায় কিছু আশাহত পুরুষ, সুন্দরি প্রতিদ্বন্দ্বী,ঈর্ষান্বিত দর্শক ও অকর্মন্য মস্তকের অধিকারী শ্রেণী সমালোচকের বৃহৎ অংশ। এভ্রিনের সবচেয়ে বড়ভুল ধর্মমতে বিয়ে করে সতীত্ব হারানো, একমাত্র অপরাধ বিয়ের অধ্যায়টুকু গোপনকরা। এ সমাজব্যবস্থায় অনেক সুন্দরীপ্রতিনিধি অাছেন যারা দেহপুঁজি করে ফায়দালোটে নিজেকে ভার্জিন হিসেবে উপস্থাপন করার চেষ্টায় সর্বদা লিপ্তথাকে। আর কিছু সুপুরুষ সেই সব অপ্সরীদের শয্যাসঙ্গী হওয়ার স্বপ্নেবিভোর থাকে অবিরত। বিবাহিতা নারী বলতে আমরা বুঝি কুমারী ঝিল্লির অবসান, ব্যবহৃত শরীর । তবে অবিবাহিতা বেশ্যার, অথবা লিভটুগ্যাদারে অব্যস্থ যুবতীর সতীচ্ছদ কি অক্ষত থাকে! কুমারী তরুণী বিয়ের পর সুন্দরি হতে পারেনা?
বিবাহিতা নারীরা তবে কি সব অসুন্দর, অসতী, কুৎসিত!দৃষ্টান্তস্বরূপ মিস ওয়ার্ল্ড বাংলাদেশ নির্বাচিতা মিসেস জান্নাতুল নাঈম এভ্রিল।
ধিক্কার জানাই এসব নাটকীয় আয়োজনকে।প্রকাশ্যেই আয়োজন করুক মিস ভার্জিন ........। অনাকাঙ্ক্ষিত ধুম্রজাল তৈরী হবে না, দৈনিককাগজে ছাপানো বিনোদনের পাতা থেকে পুরুষের যৌনাঙ্গে।
পুরুয়শাষিত সমাজের চাহিদাগত ভাবনা সীমান্ত কোথায়? কারোচাই ভার্জিন প্রেমিকা, বা শয্যাসঙ্গিনী, তবে বউ হিসেবে অনিন্দিত সুন্দরী,। কেউবা তার বিপরীত অর্থাৎ বউ হিসেবে মহাসতী নারী লাগবেই, অথচ অতীতে খুঁজেছিলো সস্তা প্রেমিকা বা গণিকারশরীর ।