সুদীর্ঘকাল থেকে ইসলামের ইজারাদার দাবী করা মানুষদের থেকে নিন্মলিখিত সাবধান বাণী পাওয়া যাইতেছে-
১। হাদীস হইতেছে ইসলামের স্তম্ভ, কোরআন সরাসরি আল্লাহ প্রেরিত হইলেও হাদীস অবিচ্ছেদ্য অংশ।
২। বুখারী শরিফ দ্বিতীয় কোরআন, ইহা নিয়ে প্রশ্ন চলে না।
৩। সহীহ হাদীস নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করা মুনাফিকি/ফাসেকীর লক্ষণ।
৪ এবং আরো
অথচ বাস্তবতা হইতেছে এইরকম-
* প্রতিটি মানুষকে নিজ নিজ কর্মের জন্য জবাবদিহী করতে হইবে। অন্য কোন মানুষ (পিতা/মাতা/ভাই/বোন আত্মীয় স্বজন/পীর/ফকির/ওলী/আউলিয়া/শয়তান) কেহই ঐ মানুষের কর্মের জন্য রেস্পন্সিবিলিটি নিবে না।
* ইসলাম অর্থ শান্তি। ইহা জানার পরেও কেহ যদি কোরআন থেকে শান্তির পথ/সিরাতুল মুস্তাকিম না খোঁজার চেস্টা করে তবে ঐ লোক বিচারের দিনে আল্লাহকে বলতে পারবে না যে আমি ইহা অবগত ছিলাম না।
এখন ঐশ্বরিক ব্যাপারে সাধারণ মানুষদের বিভ্রান্ত করলে কি কি ফায়দা দেখা যাক-
১। মানুষকে আল্লাহর স্পিরিট থেকে দুরে রাখা যাবে, ফলে বেশিরভাগ মানুষই ভিরু হয়ে যাবে। সমাজের নানা রকমের প্রভাবশালী মানুষদের বিরাট উপকার হবে।
২। মোল্লাদের (কৃত্রিম+অপ্রয়োজনীয়) পেশা বন্ধ হয়ে যাবে, এই ভয়ে অনেকে নিজেদের জারিজুরি ফাঁস করতে চায় না।
৩। সমাজে আদর্শিক অবস্থা বিরাজ করলে তাতে চাইলেই ক্ষমতা খাটানো যাবে না ফলে অনেক ক্ষমতাশীল মানুষ ইসলামের দলাদলি দেখতে চায়।
৪। মানুষকে বিভ্রান্ত রাখলে তারা নানা রকমের মতে জড়িয়ে থাকবে তাই কেয়ামত পর্যন্ত তারা বিতর্ক করতে থাকবে কখনোই এক হইতে পারবে না। ফলে ডিভাইড এন্ড রোল সিস্টেম দিয়ে সারাটা জীবন এদের থেকে লাভবান হওয়া যাবে।
যাহারা কোরআনের অপব্যখা করে সাধারণ মানুষকে বিভ্রান্ত করতেছে, জংগীপনার দিকে সাধারণ মানুষকে জড়িত করতেছে তা অনুধাবন করার পরেও যেইসকল আলেম(জ্ঞানী/জানা মানুষ) উহা নিয়ে বিরত থাকতেছে তাদের চরম জবাবদিহী করতে হইবে।
কোরআন অনুসারে ইসলামী রাষ্ট্রব্যবস্থা জরুরী নহে বরং ভাল মানুষ হওয়া জরুরী বলা হইয়াছে। এখন ইসলামী রাজনীতির নামে যেইভাবে জিহাদের ডাক দেওয়া হইতেছে উহা বেশিরভাগই হইতেছে দুনিয়াবী স্বার্থ কায়েমের জন্য ইসলামকে ব্যবহার। এই পথে সাপোর্ট যারা যারা দিতেছেন তারা মুলত খোদার দেওয়া সীরাতুল মুসতাকিম/সরল পথকে অপ্রয়োজনীয় আবরণ দিয়ে আচ্ছাদিত করে ফেলতেছেন।
আসল কথা হইতেছে পৃথিবীতে শান্তি স্থাপনে আপনার অবদান কতটুকু ইহাই পুণ্য বলিয়া বিবেচিত হইবে, আল্লাহর গোলামী মাথায় রেখে আপনে কতটা ভাল কাজ করলেন, কতটা ধৈর্য ধারণ করতে পারলেন, লোভ/রিপু থেকে নিজেকে কতটা বিরত রাখতে সক্ষম হইলেন উহাই আপনার বেহেশতে যাবার নির্ণায়ক হইবে।
অপরদিকে, সমাজের মানুষকে অশান্তির রাস্তায় যদি নেবার পথে আপনি অবদান রাখেন কিংবা না জেনে, কেবল ঝোঁকের বশবর্তী থাকিয়া যদি মানুষের ক্ষতি করেন, ভুল পথে পরিচালিত করেন, জেনে শুনে পৃথিবীর সম্পদ নষ্ট করেন, রিপু নিয়ন্ত্রণের চেস্টা না করেন এবং আল্লাহর কথা মনে হইবার পরেও আপনি খারাপ কাজ থেকে পিছবা হন নাই এইরকম খারাপ কাজের কারণে আপনি দোজখে যাইবার জন্য উপযুক্ত হইবেন।
আল্লাহ তো কোরআনে স্পষ্ট অক্ষরে বলে দিয়েছেন- চয়েস আপনার। কোন পথে আপনি থাকতে চান? যদি আল্লাহর পথে থাকতে চান তবে নিজেকে শান্ত করে কোরআন পড়া শুরু করে দেন। প্রেক্ষাপট অনুসারে কোরআন পড়লে আর কোন মৌলভী লাগবে না, আল্লাহ আপনাকে যে জ্ঞান বুদ্ধি দিয়েছেন উহাই যথেষ্ট।
সর্বশেষ এডিট : ২৭ শে জানুয়ারি, ২০২২ রাত ৯:৪৫

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



